ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঘাটতির মুখে রাজস্ব আদায়

প্রকাশিত: ২০:৫২, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

ঘাটতির মুখে রাজস্ব আদায়

অর্থনৈতিক রিপোর্টার॥ চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ছয় (জুলাই-ডিসেম্বর) মাসে ৬৮ হাজার ৮৩ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আলোচ্য সময়ে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৭ হাজার ৯৮ কোটি টাকা। যেখানে আদায় হয়েছে ৬৮ হাজার ৮৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ ৬ মাসে রাজস্ব ঘাটতি ৯ হাজার ১৫ কোটি টাকা। প্রসঙ্গত, এর আগে জুলাই-নভেম্বর পর্যন্ত (৫ মাসে) ৬২ হাজার ৭১৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয় ৫৪ হাজার ৪০৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। পাঁচ মাসে ঘাটতি ছিল ৮ হাজার ৩০৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা। প্রথম পাঁচ মাসে প্রবৃদ্ধি হয় ১৪ শতাংশ। এনবিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) রাজস্ব আদায় হয়েছে ৬৮ হাজার ৮৩ কোটি টাকা। যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৭ হাজার ৯৮ কোটি টাকা। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে একই সময়ে আদায় হয় ৫৯ হাজার ৯৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। ছয় মাসে প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ২১ শতাংশে। এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান বলেন, আমরা রাষ্ট্রের রাজস্ব ভান্ডারকে সুসংহত করার লক্ষ্যে ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করার দৃঢ় প্রত্যয়ে সব অংশীজনদের সহযোগিতায় কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, বাজেট বক্তৃতায় মাননীয় অর্থমন্ত্রীর অন্যতম পলিটিক্যাল গাইডেন্স ছিল করনেট বৃদ্ধি বা কর ভিত্তি সম্প্রসারণ। এ লক্ষ্যে কর বিভাগ চলতি অর্থবছরে দেশব্যাপী মোট ৩ লাখ ২০ হাজার নতুন করদাতাকে কর নেটে আনয়নের লক্ষ্যে জরিপ কার্যক্রম শুরু করেছে। ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ের কর অঞ্চলগুলো হতে ওই জরিপ কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য কর অঞ্চল ভিত্তিক একাধিক জরিপ টিম গঠন করে তাদের জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, জাতীয় জীবনের সর্বত্র একটি রাজস্ব বান্ধব, করদাতা বান্ধব সংস্কৃতি গড়ে তোলার জন্য দেশব্যাপী জাতীয় আয়কর দিবস ও আয়কর মেলা উদ্যাপন করা হয়েছে। মেলায় করদাতাগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে রিটার্ন দাখিল ও বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করেছেন এবং নতুন করদাতাদের ব্যাপক সাড়া পরিলক্ষিত হয়েছে। আমরা আশা করছি, চলতি অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক নতুন করদাতা সৃষ্টির এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে। উল্লেখ্য, চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এনবিআরের রাজস্ব আহরণের মোট লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। এর মধ্যে আয়করে ৬৫ হাজার ৯৩২ কোটি, ভ্যাটে থেকে ৬৩ হাজার ৯০২ কোটি ও শুল্কে ৪৬ হাজার ৫৩৬ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ##
×