ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ম্যাককুলামের বিদায়ী সিরিজ

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

ম্যাককুলামের বিদায়ী সিরিজ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ওয়েলিংটনে শুক্রবার (বাংলাদেশ সময় আজ রাত সাড়ে তিনটা) শুরু হচ্ছে নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। দুই তাসমান প্রতিবেশীর সাদা পোশাকের লড়াইয়ে দৃষ্টি থাকছে ব্রেন্ডন ম্যাককুলামের ওপর। এর মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাচ্ছেন আধুনিক নিউজিল্যান্ডের আকর্ষণীয় এই ক্রিকেটার। ২-১এ ওয়ানডে জিতে ম্যাককুলামকে ‘চ্যাপেল-হ্যাডলি’ ট্রফি উপহার দেয় কিউইরা। টেস্টেও স্বাগতিকরা সেই ধারা ধরে রাখতে চাইবে। অন্যদিকে রঙিন পোশাকের ব্যর্থতা ভুলে ঘুরে দাঁড়াতে চাইবে স্টিভেন স্মিথের অস্ট্রেলিয়া। বেসিন রিজার্ভের গতিময় ঘাসে ভরা গতিময় বাউন্সি উইকেটে দুই পরাশক্তির মধ্যকার আভিজাত্যের লড়াইটা জমবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। প্রথম ওয়ানডেতে ১৫৯ রানের বড় ব্যবধানে জয় পায় নিউজিল্যান্ড। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দ্বিতীয় ম্যাচে ৪ উইকেটের জয়ে ঘুরে দাঁড়ায় অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় ওয়ানডেটা হয়ে ওঠে ‘অঘোষিত’ ফাইনাল। হ্যামিল্টনে বোলারদের দাপটময় ম্যাচে ব্ল্যাক-ক্যাপসরা সেদিন ৪৫.৩ ওভারে ২৪৬-এ অলআউট হলেও ৪৩.৪ ওভারে প্রতিপক্ষকে ১৯১ রানে গুড়িয়ে দিয়ে রঙিন পোশাকের বিদায়ী ম্যাচে ম্যাককুলামকে দারুণ এক জয় উপহার দেয় কিউইরা। মোড় ঘুরিয়ে দেয়া গুরুত্বপূর্ণ দুটি উইকট তুলে নেয়ার পাশাপাশি ৮ ওভারে মাত্র ৩১ রান দিয়ে ম্যাচসেরা সোধি। জীবনের ওয়ানডেতে ব্যাট হাতেও সেডন পার্কের দর্শকদের আনন্দ দেন নিউজিল্যান্ডের ভয়ঙ্কর এই ব্যাটসম্যান। ২৭ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় খেলেন ৪৭ রানের টর্নেডো ইনিংস। ওয়ানডে ইতিহাসের মাত্র চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে নিজের শেষ ম্যাচে ২শ’ ছক্কা হাঁকানোর অনন্য নজির স্থাপন করেন ৩৪ বছর বয়সী ম্যাককুলাম। টেস্টে নিশ্চয়ই অধিনায়ককে দারুণ কিছু উপহার দিতে চাইবেন কেন উইলিয়ামসন-ট্রেন্ট বোল্টরা। ওয়ানডের সাফল্যই স্বাগতিকদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। কোচ মাইক হেসন যেমন বলেন, ‘দুটি আলাদা ভার্সন, তবে ওয়ানডের সাফল্য ছেলেদের উজ্জীবিত করবে। টেস্টে প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া শক্তিধর দল। তবে নিজেদের সেরাটা দিয়ে আমরাও ভাল কিছু করতে চাই।’ ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায়ের আগাম ঘোষণা দেন ম্যাককুলাম। এজন্য নিউজিল্যান্ড নির্বাচকদের কাছে নিজের নাম টি২০ বিশ্বকাপে অন্তর্ভুক্তি না করারও আহ্বান জানান তিনি। ঘরের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চলমান সিরিজটাই তার শেষ আন্তর্জাতিক সিরিজ। যার অর্থ, আর দুটি মাত্র টেস্ট। নেতৃত্ব-ব্যাটিংয়ে যিনি দেশটির ক্রিকেটের চলমান ‘আইকন।’ গত বছর নিউজিল্যান্ডের বর্ষসেরা ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব নির্বাচিত হন। তার অধীনে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলে কিউইরা। ২০০২ সালের জানুয়ারিতে সিডনিতে এই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আগমন ম্যাককুলামের। তার দুই বছর পর টেস্ট অভিষেক। ২৬০ ওয়ানডেতে করেছেন ৬০৮৩ রান। সেঞ্চুরি ৫ ও হাফসেঞ্চুরি ৩২। ৯৯ টেস্টে রান ৬২৭৩। সেঞ্চুরি ১১ ও হাফসেঞ্চুরি ৩১। ‘আমি খুব ভাগ্যবান যে ১৪ বছর নিউজিল্যান্ডের জার্সিতে খেলার সুযোগ হয়েছে। দীর্ঘ এ সময়ে অনেক ভাল বন্ধু পেয়েছি। ভালবাসা ও সমর্থনের জন্য ভক্তদের ধন্যবাদ। অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের বিপক্ষে খেলে বিদায় নেয়ার স্মৃতিটা কোনদিনই ভুলতে পারব না।’ বলেন ম্যাককুলাম। ১৯৪৬ থেকে ৫৫ টেস্টে মুখোমুখি হয়ে অস্ট্রেলিয়ার জয় ২৯ ও নিউজিল্যান্ডের ৮টিতে। ড্র ১৮।
×