ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শনে থাই প্রতিনিধি দল

সরাসরি জাহাজ যোগাযোগে সমঝোতা চুক্তি

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

সরাসরি জাহাজ যোগাযোগে সমঝোতা চুক্তি

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামের সঙ্গে থাইল্যান্ডের সরাসরি জাহাজ যোগাযোগ স্থাপনে সমঝোতা চুক্তির প্রেক্ষিতে বুধবার চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন করেছে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন একটি থাই প্রতিনিধি দল। তারা বন্দর ও কাস্টমস কর্র্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন। এতে সমঝোতা চুক্তিকে বাস্তবে রূপ দিতে করণীয় বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে ব্যবসায়ী সমাজের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা সকলেই একমত হন যে, চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে থাইল্যান্ডের সংযোগ স্থাপিত হলে পণ্য পরিবহনে দূরত্ব ও ব্যয় দুটোই কমবে। থাইল্যান্ডের প্রতিনিধি দলটি বুধবার সকাল ১০টার দিকে বৈঠকে মিলিত হয় বন্দর কর্তৃপক্ষ ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে। গুরুত্বপূর্ণ এ সভায় সভাপতিত্ব করেন বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রকৌশল) জুলফিকার আজিজ। সেখানে পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরের অপারেশনসহ বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। আর থাইল্যান্ডের র‌্যানোং বন্দরের বিস্তারিত তুলে ধরেন থাইল্যান্ড পোর্ট অথরিটির বিজনেস প্রমোশন প্রধান তানাই ভিপাসাথাভাচ। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন) জাফর আলম, বন্দর সচিব ওমর ফারুক, পরিচালক (প্রশাসন) সাদেকা বেগম, চিটাগাং চেম্বার পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ ও কাস্টমসের সহকারী কমিশনার মুকিতুল হাসান প্রমুখ। এ সময় সকলেই যত দ্রুত সম্ভব চট্টগ্রাম বন্দর ও থাইল্যান্ডের র‌্যানোং বন্দরের মধ্যে জাহাজ যোগাযোগ স্থাপন করা প্রয়োজন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। থাইল্যান্ডের প্রতিনিধি দলটি বৈঠক শেষে বন্দর জেটি ও বিকেলে ইপিজেড পরিদর্শন করে। প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি ঢাকায় নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে দুদেশের প্রতিনিধি দলের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে স্বাক্ষরিত হয় সমঝোতা চুক্তি। ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব অশোক মাধব রায় ও থাইল্যান্ড পোর্ট অথরিটির সহকারী পরিচালক প্রজাক শ্রীভাথানা। বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসা বাণিজ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান, মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরের পাশাপাশি থাইল্যান্ডকেও চট্টগ্রাম বন্দরের নেটওয়ার্কে নিয়ে আসা হলে আমদানি-রফতানিতে সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় হবে। বর্তমানে থাইল্যান্ড থেকে পণ্যবাহী কন্টেনার চট্টগ্রামে আসে সিঙ্গাপুর কিংবা মালয়েশিয়া হয়ে। একইভাবে চট্টগ্রাম বন্দরের রফতানি পণ্যের কন্টেনারকেও ওই দীর্ঘপথ ঘুরে যেতে হয়। এতে করে পরিবহন ব্যয় অনেক বেশি হয়। ফলে দুদেশের মধ্যে সরাসরি জাহাজ যোগাযোগ স্থাপনের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে উভয় দেশ।
×