সংসদ রিপোর্টার ॥ নতুন জাতীয় বেতন স্কেলের গেজেট জারির কারণে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য ২ লাখ ৬৫ হাজার ১৪৮টি আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ ২৩ হাজার ৩৩২টি আবেদন সংশোধন করে ভোটারদের সংশোধিত জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়া হয়েছে। তবে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের প্রচ- ভোগান্তি হচ্ছে এ তথ্য সঠিক নয়।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান সংসদ কার্যে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি জানান, মোট নিবন্ধিত ভোটারের মাত্র দশমিক ৬১ শতাংশ জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য আবেদন করেছেন। এর মধ্যে দশমিক ৫৯ শতাংশ সংশোধনের আবেদন এসেছে ভোটার তার নিজের তথ্য পরিবর্তন করতে চায় বলে। অবশিষ্ট সংশোধনের প্রয়োজন হয়েছে করণিক ভুলের কারণে।
জাতীয় পরিচয়পত্রে কমিশনের ভুল এবং সংশোধনে ভোগান্তির বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে মন্ত্রী আরও জানান, নির্বাচন কমিশনকে ওয়ান স্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে অনেক বেশিসংখ্যক জনগণকে সেবা করতে হয় বলে অনেককে অপেক্ষা করতে হয়। এরপর সংশোধনের জন্য যাদের কাগজপত্র সঠিক থাকে তা যাচাই করে একদিনের মধ্যেই সংশোধন করা সম্ভব হয়। তবে যারা সংশোধনের পক্ষে গ্রহণযোগ্য দলিল দাখিল করতে পারেন না তাদের ক্ষেত্রে সময় লাগে। ভোগান্তির অভিযোগ এই ব্যক্তিরাই করে থাকেন।