টানা ৬ দিন ২৫ ফুট বরফের স্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকার পর সোমবার এক জওয়ানকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হলো। উদ্ধার হওয়া ওই জওয়ান হলেন ল্যান্স নায়েক হানামান থাপা। ছয় হাজার মিটার ওপরে, অন্তত আট মিটার গভীর তুষারের নিচে আরও নয় জন সৈনিকের সঙ্গে তিনিও চাপা পড়েন। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নর্দার্ন আর্মি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডি এস হুডা বলেন, এটা সত্যিই একটা আশ্চর্যজনক ঘটনা। বুধবার হঠাৎ নেমে আসা ধ্বসে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সিয়াচেনের সেনা চৌকিটি পুরোপুরি তুষারের নিচে চলে যায়। আরও ৯ জন জওয়ানের সঙ্গে সেখানে ছিলেন কর্নাটেকের বাসিন্দা হানামান। প্রবল তুষার ধসে পুরো সেনা চৌকিই বরফের তলায় চাপা পড়ে যায়। এরপরই ভারতীয় সেনাবাহিনী আরও বিমান বাহিনী সৈনিকদের সন্ধানে ‘লাইন অব কন্ট্রোলের’ কাছাকাছি অভিযান শুরু করে। কিন্তু সেনাবাহিনী তখন জানিয়েছেন, সেখানে কাউকে জীবিত উদ্ধারের আশা খুবই কম।
এমনকি দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক টুইটার বার্তায় সৈনিকদের জন্য শোকবার্তা জানিয়েছিলেন। জোর কদমে উদ্ধার কাজ চালিয়ে গত পাঁচ দিনে পাঁচ জন সেনা জওয়ানের দেহ উদ্ধার করা হয়। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। প্রায় ২৫ ফুট বরফের স্তূপের নিচ থেকে হানামানকে উদ্ধার করার পর সকলেই চমকে যান। কারণ তখনও তিনি জীবিত ছিলেন। শরীরে শুধু তার নাড়িস্পন্দনই ছিল। সিয়াচেন হিমবাহ বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু যুদ্ধক্ষেত্র বলে পরিচিত। এই জায়গার দাবি করছে ভারত-পাকিস্তান উভয় দেশই। ফলে এখানে দুই দেশের সৈন্যরাই টহল দেয়। গত মাসেও আরেকটি তুষার ধসে চারজন ভারতীয় সৈন্য নিহত হয়। খবর জি নিউজের।
উত্তর কোরিয়ার ছোড়া রকেটের পাল্লা ১২ হাজার কিলোমিটার
উত্তর কোরিয়া চলতি সপ্তাহে যে রকেট নিক্ষেপ করেছে তা ২০১২ সালে ছোড়া রকেটের চেয়ে বেশি শক্তিশালী বলে ধারণা করা হচ্ছে। নতুন রকেট ১২ হাজার কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত যেতে পারে এবং এর আওতার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ এলাকা পড়ে। খবর এএফপির।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানান, কক্ষপথে একটি স্যাটেলাইট স্থাপনের জন্য তৃতীয় পর্যায়ের এ রকেট ছোড়া হয়েছে তা নিশ্চিত। তবে এটি কাজ করছে কিনা তা যাচাই করা যায়নি।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: