স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এ মুহূর্তে বাংলাদেশের সিনিয়র দুজন কুস্তিগীরের মধ্যে আছেন বিল্লাল হোসেন এবং মিজানুর রহমান। তাদের মধ্যে রয়েছে অনেক মজার মিল। দুজন বাংলাদেশের পক্ষে শ্রীলঙ্কাতে অনুষ্ঠিত ২০০৬ এসএ গেমসে অংশ নেন প্রথম। দুজনই পান তাম্রপদক। দুই পালোয়ানের বাড়িই মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থানায়।
২০১০ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত একাদশ এসএ গেমসে দুজনই অংশ নেন। বিল্লাল খেলেন ৯৬ কেজি ওজন শ্রেণীতে এবং মিজান খেলেন ৮৬ কেজিতে। দুজন আবারও জেতেন তাম্রপদক! চলমান দ্বাদশ এসএ গেমসে বাংলাদেশ দলের পক্ষে টানা তৃতীয়বারের মতো অংশ নেন বিল্লাল ও মিজান। হ্যাটট্রিক এসএ গেমসে অংশ নিয়ে দুজনই জেতেন তাম্রপদক! এবার বিল্লাল খেলেন ৯৭ কেজিতে এবং মিজান ৮৬ কেজিতে। হ্যাটট্রিক এসএ গেমসে অংশ নিয়ে হ্যাটট্রিক পদক জয় করার কৃতিত্ব দেখালেন তারা।
মিজান ১৯৯৪ সাল থেকে কুস্তি শুরু করলেও বিল্লাল শুরু করেন ১৯৯৯ সালে। বর্তমানে কুস্তির সুবাদে তাদের চাকরি হয়েছে একই সার্ভিসেস দল বিজিবিতে। এখানেও সংস্থার মিল! দেশে জাতীয় পর্যায়ে বিল্লাল নিজ ওজন শ্রেণীতে সেরা হন সাতবার। তবে এখানে এগিয়ে মিজান। ১৯৯৫ সাল থেকে জাতীয় পর্যায়ে ১২ বার সেরা হয়েছেন মিজানুর।
শুধু দেশে নয়, দেশের বাইরে আন্তর্জাতিক কুস্তি প্রতিযোগিতায়ও রয়েছে দুজনের সাফল্য। বিল্লাল আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ২০১৪ সালে কাজাখস্তানে অনুষ্ঠিত এশিয়ান বেল্ট রেসলিং চ্যাম্পিয়নশিপে তাম্রপদক পান। এর আগে ২০১২ সালে পাকিস্তানে বাচাখান রেসলিং প্রতিযোগিতায়ও পান তাম্রপদক। এছাড়া ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত ইন্দো-বাংলাদেশ বাংলা গেমসে বাংলাদেশের পক্ষে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন।
পক্ষান্তরে ২০০৮ সালটা মিজানের জন্য বেশ স্মরণীয়। কারণ এ বছর তিনি দুটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে পান স্বর্ণ ও তাম্রপদক। ২০০৮ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত ইন্দো-বাংলাদেশ বাংলা গেমসে পান স্বর্ণপদক। সে বছরেই নেপালে অনুষ্ঠিত জুরখানে কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপে তামা পান মিজান। এছাড়া ২০১১ সালে পাকিস্তানের বাচাখানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক রেসলিং প্রতিযোগিতায় তামা জেতেন মিজান।