ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

লঙ্কানদের উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে ভারত

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

লঙ্কানদের উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে ভারত

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে অনুর্ধ ১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে গেছে ভারত যুবদল। মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আনমলপ্রিত সিংয়ের ৭২ এবং ৯৭ রানের বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ভারত। যুব বিশ্বকাপে প্রথম দল হিসেবে সহজেই ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করে নেয়। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার সেমিফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। যে দল জিতবে, তাদের বিপক্ষে রবিবার ফাইনালে খেলবে ভারত। ম্যাচে টস জিতে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু ভারতকে আগে ব্যাট করতে পাঠায়। সুযোগটি ভালভাবেই কাজে লাগায় যুব বিশ্বকাপের তিনবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত। ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৬৭ রান করে। আনমলপ্রিতের ৭২ রানের সঙ্গে সরফরাজ খান ৫৯, ওয়াশিংটন সুন্দার ৪৩ রান করেন। আসিথা ফার্নান্দো ৪ উইকেট নেন। জবাবে ৪২.৪ ওভারে ১৭০ রান করতেই অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। দলের পক্ষে কামিন্ডু মেন্ডিস সর্বোচ্চ ৩৯ রান করতে সক্ষম হন। শাম্মু আশান করেন ৩৮ রান। বল হাতে মায়াঙ্ক ডাগার নেন ৩ উইকেট। প্রায় ১৬ বছর আগে ২০০০ সালে প্রথম ও শেষবারের মতো ঘরের মাঠে যুব বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছিল শ্রীলঙ্কা। আসা ছিল এবারও ফাইনালে খেলবে। লঙ্কান যুবাদের সামনে ছিল ফাইনালে ওঠার হাতছানিও। কিন্তু তা আর করতে পারল না। ভারতের সামনে অসহায় হয়ে পড়ল তারা। ফাইনালে ওঠার স্বপ্নের সমাধি রচনা হলো। এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল ভারত। সর্বশেষ ভারত ফাইনালে উঠেছিল ২০১২ সালে। সেবার স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো শিরোপা জিতেছিল তারা। ২০০০ সালে নিজ মাটিতে প্রথম ফাইনাল খেলেছিল শ্রীলঙ্কা। তবে শিরোপা জিততে পারেনি তারা। সেবার ফাইনালে লঙ্কান যুবারা হেরেছিল এই ভারতের কাছেই। ভারতের গড়া স্কোর অতিক্রম করতে গিয়ে সূচনাটা মোটেই ভাল হয়নি শ্রীলঙ্কার। দলের স্কোরবোর্ডে ১৩ রান যোগ হতেই বিদায় নেন দুই ওপেনার কেভিন বান্দারা (২) ও ফার্নান্দো (৪)। তাদের তৃতীয় উইকেটের পতনটাও খুব একটা দেরিতে হয়নি। দলীয় ৪২ রানের মাথায় বাথামের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন অধিনায়ক চারিথ আসালঙ্কা (৬)। অধিনায়ক বিদায় নিলেও মনোবল ভাঙেনি কামিন্ডু মেন্ডিস ও শাম্মু আশানের। চতুর্থ উইকেটে তারা জুটি গড়েন ৪৯ রানের। এই জুটিতে কিছুটা হলেও জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল লঙ্কানরা। কিন্তু না। ব্যক্তিগত ৩৯ রানে কামিন্ডু ও ৩৮ রানে আশান আউট হলে লঙ্কানদের খোলসবন্দী করে ফেলে ভারতীয় বোলাররা। শেষ পর্যন্ত লঙ্কানরা বের হতে পারেনি সেই খোলস থেকে। যার ফল অবধারিত পরাজয়। হলো ঠিক তা-ই। যুব বিশ্বকাপ থেকে কান্নার বিদায় হলো শ্রীলঙ্কার যুবাদের। ভারতের পক্ষে সেরা বোলার মায়াঙ্ক ডাগার। ৫.৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে নিয়েছেন তিন উইকেট। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২ উইকেট পকেটে পুরেছেন আভিশ খান। একটি করে উইকেট দখলে নেন খালিল আহমেদ, রাহুল বাথাম ও ওয়াশিংটন সুন্দার। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে আসে ২৩ রান। মাত্র ১৪ রান করে আউট হয়ে যান আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান পেন্ট। আসিথা ফার্নান্দোর বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। প্রথম উইকেটের রেশ কাটতে না কাটতেই ভারত শিবিরে আঘাত হানেন লাহিরু কুমারা। অধিনায়ক ইশান কিশান ফিরে যান উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে। মাত্র ৭ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপর আনমলপ্রিত সিং ও সরফরাজ জুটি ৯৬ রান সংগ্রহ করে। দলীয় ১২৩ রানের মাথায় সরফরাজ আউট হন ফার্নান্দোর বলে। যাওয়ার আগে করেছিলেন ৫৯ রান। এরপর ছোট ছোট জুটিতে শেষ পর্যন্ত ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬৭ রান। এ রান করতেই বোঝা যায়, শ্রীলঙ্কার হারের দিন হতে যাচ্ছে আর ভারতের আবারও ফাইনালে ওঠার দিন হচ্ছে। ঠিক তাই হয়েছে। ৪৪ বল বাকি থাকতেই সহজ জয় পায় ভারত। সেই সঙ্গে ফাইনালেও উঠে যায়।
×