ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ক্রমশ বাড়ছে ঢাকার বাইরের পাঠকের আনাগোনা

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

ক্রমশ বাড়ছে ঢাকার বাইরের পাঠকের আনাগোনা

মনোয়ার হোসেন ॥ সারাবছর এই সময়টার অপেক্ষায় থাকি। সেই প্রতীক্ষার অবসান ঘটে ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিতে। মাসটি এলেই হাজির হই অমর একুশে গ্রন্থমেলায়। এখানে এসে বেছে নেই আপন মননের উপযোগী বইটি। প্রাণের মেলায় প্রতিটি স্টল ঘুরে ঘুরে সংগ্রহ করি সদ্য প্রকাশিত কিংবা আগে পড়া হয়নি এমন গ্রন্থটি। সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বই কেনার পালা শেষ হলে সন্ধ্যায় চলে যাই বাংলা একাডেমির মেলা মঞ্চে। উপভোগ করি আমাদের শেকড়সংলগ্ন সাংস্কৃতিক আয়োজনটি। তবে গত বছর রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে বঞ্চিত হয়েছি মনের খোরাক মেটানো এই আনন্দ থেকে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে এ বছর আর সেই আনন্দ থেকে বঞ্চিত হতে হয়নি। রবিবার রাতে বরিশাল থেকে রওনা হয়ে আজ (সোমবার) সকালে মামার বাসায় এসে উঠেছি। এরপর দুপুর গড়াতেই চলে এসেছি বইমেলায়। সোমবার একুশে গ্রন্থমেলার অষ্টম দিনে সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানের মেলা প্রাঙ্গণে কথাগুলো বলছিলেন জাহিদুল ইসলাম। এদিন বরিশালের এই বাসিন্দার মতোই ঢাকার বাইরের বেশ কিছু বইপ্রেমীর দেখা মেলে মেলায়। রাজনৈতিক অস্থিরতা না থাকায় এ বছর দিন যত এগুচ্ছে ততই বাড়ছে রাজধানীর বাইরের জেলাগুলোর পাঠকের আনাগোনা। প্রকাশকরা আশা করছেন, সামনের দিনগুলোতে এই সংখ্যা আরও বাড়বে। এ প্রসঙ্গে সময় প্রকাশনের প্রকাশক ফরিদ আহমেদ বলেন, এ বছরের গ্রন্থমেলার জন্য সবচেয়ে ইতিবাচক বিষয় হচ্ছে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। এর ফলে ঢাকার বাইরে গ্রন্থানুরাগীরা নিঃসংকোচে আসছেন মেলায়। অন্য জেলা থেকে যাঁরা সব সময় মেলায় আসেন গত বছর রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে চাইলেও তাঁরা আসতে পারেননি। এ বছর আর সেই শংকাটা নেই। ফলে মেলায় দেশের অন্য জেলার পাঠকরা আসতে শুরু করেছেন। আমাদেরও প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। আশা করছি, সময় যত গড়াবে এই শ্রেণীর পাঠকের সংখ্যাও বাড়বে। অনিয়মের অভিযোগে ২১ প্রকাশনীকে একাডেমির চিঠি ॥ অবশেষে যেন ঘুম ভাঙলো গ্রন্থমেলার আয়োজক বাংলা একাডেমির। মেলা শুরু হওয়ার আগে থেকেই নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ ওঠে ২১টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে নির্ধারিত স্থানের পরিবর্তে নিজেদের পছন্দমতো জায়গায় স্টল সাজায় এই প্রকাশনা সংস্থাগুলো। তবে মেলার সপ্তম দিন পর্যন্ত এ বিষয়ে নিশ্চুপ ছিল একাডেমি। অষ্টম দিন সোমবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান দেন একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। জানানো হয়, নিয়ম ভঙ্গকারী ওই ২১টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়ে কৈফিয়ত চাওয়া হয়েছে। অভিযোগের প্রমাণ মিললে প্রকাশনাগুলোর বিরুদ্ধে নেয়া হবে কঠোর পদক্ষেপ। একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বলেন, মেলার নিয়ম ভঙ্গ করায় ২১টি প্রকাশনা সংস্থার কাছে কৈফিয়ত চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। এদের বেশিরভাগই মেলার সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানের পেছনের অংশে ছিল। স্টলসজ্জা পরিবর্তনের নাম করে এই প্রকাশনাগুলো স্থান পরিবর্তন করেছে। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে প্রকাশনা সংস্থাগুলোকে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। যদিও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একাডেমির মহাপরিচালক প্রকাশনা সংস্থাগুলোর নাম প্রকাশ করেননি। একাডেমি ও প্রকাশক সূত্রে ২১টির মধ্যে ১২টি প্রকাশনা সংস্থার নাম জানা গেছে। প্রকাশনীগুলো হলো অন্বেষা প্রকাশন, তাম্রলিপি, বিজ্ঞান একাডেমি, এ্যাডর্ন পাবলিকেশন, সালাউদ্দিন বইঘর, পার্ল পাবলিকেশনস, শোভা প্রকাশ, শিখা প্রকাশনী, কাকলী প্রকাশনী, সুবর্ণ, গল্পপদ্য ও শব্দশিল্প। তবে এসব প্রকাশনা সংস্থার মধ্যে ছয়টির স্বত্বাধিকারী চিঠি না পাওয়ার কথা জানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই প্রকাশক চিঠি প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত এ্যাডর্ন পাবলিকেশনের প্রকাশ সৈয়দ জাকির হোসাইন বলেন, আমাদের স্টলে অনেক পেছনে ছিল ও স্টলের মুখ উল্টো ছিল। এ নিয়ে আমাদের মন খারাপ থাকলেও, স্টলের স্থান পরিবর্তনের কথা ভাবিনি। পরে একাডেমি কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই আমরা স্টল সামনের দিকে এনেছি। এ বিষয়ে আমরা এখনও কোন চিঠি পাইনি। অন্বেষা প্রকাশনের শাহাদাত হোসেন বলেন, অন্বেষার ইতিহাসে এমন কা- কোনদিন করেনি। এবারও তেমন কিছু ঘটেনি। অনেকেই আমাদের ওপর ঈর্ষান্বিত হয়ে অভিযোগ করছে। আমরা কোন ধরনের চিঠি পাইনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রকাশক বলেন, আমার স্টল অনেক পেছনে ছিল। সেখানে পাঠকরা আসত না। সামনের দিকে স্থান ফাঁকা থাকায় আমরা সেখানে স্টল বসিয়েছি। তবে এখনও আমরা কোন চিঠি পাইনি। এ প্রসঙ্গে শামসুজ্জামান খান বলেন, স্থান পরিবর্তন করা প্রকাশকরা এখন অভিযোগ করছেন, তাদের জন্য বরাদ্দকৃত স্থানে পাঠক আসছে না। এর কারণ হিসেবে বলছেন, রমনা কালী মন্দিরের গেট বন্ধ থাকা। নিরাপত্তার খাতিরে ওই গেটটি বন্ধ আছে। সুতরাং স্থান পরিবর্তন করে এখন তারা তেমন একটা সুবিধা করতে পারছেন না বলেও জানান তিনি। শীঘ্রই টাস্কফোর্সের অভিযান ॥ শীঘ্রই নকল বইয়ের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করবে মেলা পরিচালনা কমিটি। সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়ে শামসুজ্জামান খান বলেন, মূলত নকল বইয়ের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র ও কপিরাইট অফিস। এই সংস্থা প্রধানরা বর্তমানে কলকাতা বইমেলায় অবস্থান করছেন। তারা ফিরলেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে অভিযান পরিচালনা করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, এবার প্রায় ৫ লাখ বর্গফুট জায়গায় সর্ববৃহৎ পরিসরে বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ফলে বইপ্রেমীরা স্বাচ্ছন্দ্যে মেলায় ঘোরার সুযোগ পাচ্ছে। ছুটির দিনে মানুষের ঢল নামলেও চাপ পড়ছে না মেলায়। বরাবরের মতোই মেলায় ধুলা উড়া প্রসঙ্গে তিনি জানান, এ জন্য আমরা অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে প্রতিদিন পানি দেয়ার ব্যবস্থা করছি। প্রকাশকদের কাছে গ্রন্থমেলার আয়োজন ছেড়ে দেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার মনে হয় না প্রকাশকদের পক্ষে বইমেলার মতো এতবড় আয়োজন সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব। কারণ, এতবড় আয়োজনের জন্য তাদের নিজেদের মধ্যে তেমন সমঝোতা নেই। তারা নিজেরাই কয়েকটি ভাগে বিভক্ত। অন্তত আগামী দুই-চার বছরের মধ্যে তাদের দিয়ে মেলার আয়োজন সম্ভব না। তবে তাঁরা মেলা করার মতো সক্ষম হলে আমাদের সাধুবাদ থাকবে। আমরা মেলা আয়োজনের দায়িত্ব তাদের ওপর ছেড়ে দিয়ে আরও বেশি গবেষণাধর্মী কাজ করতে পারব। অষ্টম দিনের মেলা চিত্র ॥ শৈশব পেরিয়ে এখন কৈশোরে পড়েছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা। ক্রমশই আড়মোড়া ভেঙে সরব হচ্ছে মেলা। সোমবার তেমন দৃশ্যই চোখে পড়ে মেলার আঙিনাজুড়ে। দুপুরের গ্রন্থানুরাগীর স্বল্পতা ঘুচিয়ে সন্ধ্যায় জমে উঠে মেলা। সৃজনশীল প্রকাশনা সংস্থাসমূহের স্টলে সজ্জিত সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানের মূল মেলা প্রাঙ্গণে সরগরম হয়ে ওঠে বইপ্রেমীদের আগমনে। সবাই বই না কিনলেও অধিকাংশ স্টলে দেখা গেছে পাঠকের ভিড়। নতুন বই ॥ একাডেমির তথ্যকেন্দ্রে জমা পড়া বইয়ের তালিকা অনুযায়ী সোমবার মেলার অষ্টম দিনে নতুন বই এসেছে ৭৫টি। এর মধ্যে গল্পগ্রন্থ দুইটি, উপন্যাস ১৯, প্রবন্ধ ৫, কবিতা ১৫, গবেষণা ২, শিশু সাহিত্য ৭, জীবনী ৩, মুক্তিযুদ্ধ ১, বিজ্ঞান ২, ভ্রমণ ২, ইতিহাস ৩, রম্য/ধাধা ২ ও অন্যান্য বিষয়ের উপর বই এসেছে ১২টি। মাওলা ব্রাদার্স থেকে এসেছে মুহম্মদ হাবিবুর রহমানের ‘প্রবন্ধ সংগ্রহ ৩’ ও জয়া চ্যাটার্জীর ‘দেশভাগের অর্জন : বাঙলা ও ভারত ১৯৪৭-১৯৬৭’। বেরিয়েছে সৈয়দ আবুল হোসেন রচিত ‘পবিত্র স্মৃতির স্মারক’ শীর্ষক গ্রন্থ। বিশ্বসাহিত্য ভবন থেকে প্রকাশিত বইটি পাওয়া যাচ্ছে মেলার ২৫৩-২৫৫ নম্বর স্টলে। চন্দ্রদ্বীপ থেকে এসেছে মুহম্মদ জাফর ইকবালের ‘ইদুঁর এবং দুষ্টু হাতি’ ও হরিশংকর জলদাসের ‘বাছাই বারো’। অন্য প্রকাশ থেকে প্রকাশিত হয়েছে ইমদাদুল হক মিলনের ‘সেরা দশ গল্প’, বিরূপাক্ষ পালের ‘সিডনির পথে পথে’ ও ফেরদৌস হাসানের ‘মায়া’। র‌্যামন পাবলিকেশন থেকে এসেছে তরুণ কবি এমদাদুল হক তুহিনের কাব্যগ্রন্থ ‘থমকে গেছে প্রেম’। ঐতিহ্য থেকে এসেছে বুলবুল সরওয়ারের ‘হৃদয় আমার মির্জা গালিব’। কথা প্রকাশ এনেছে আবুল কাশেম ফজলুল হকের ‘বাংলাদেশের প্রবন্ধ সাহিত্য’। পার্ল পাবলিকেশন্স থেকে এসেছে আনিসুল হকের ‘কৌতুক যৌতুক’। অন্বেষা থেকে বেরিয়েছে মোস্তফা মামুনের ‘আবরার শিশির এবং জয়িতা’। আদর্শ এনেছে তুষার আবদুল্লাহর ‘এনার্জি রিপোর্টিং’। ম্যাগনাম ওপাস থেকে এসেছে শাহজাহান চাকলাদারের সম্পাদনায় ‘বাংলা সাহিত্যের কীর্তিমান লেখকদের সেরা গল্প’। ঐতিহ্য থেকে এসেছে তাপস রায়ের ‘রসিক রবীন্দ্রনাথ’। দেশ পাবলিকেশন্স থেকে বেরিয়েছে তানিম ইশতিয়াকের ‘আমাকে আরোগ্য দেবে একটি হৃদয়’। বাংলাদেশের সাহিত্যের জনপ্রিয় সাহিত্যিকদের লেখা ছোটগল্পের সংকলন নিয়ে ‘সেরা দশ’ শিরোনামে ধারাবাহিক বই প্রকাশ করছে প্রকাশনা সংস্থা অন্য প্রকাশ। কবি প্রকাশনী এনেছে ত্রিশাখ জলদাসের ‘মোমঘর’। মেলা মঞ্চের আয়োজন ॥ সোমবার বিকেলে একাডেমির মেলা মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘বাংলা একাডেমির হীরকজয়ন্তী : পাঠ্যপুস্তক রচনা, অতীত থেকে বর্তমান’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রাবন্ধিক বলেন, বাংলা একাডেমি বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তক চাহিদা পূরণে বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে। দেশের বিভিন্ন সময়ের প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক এবং বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের শিক্ষা-পরিস্থিতি বিবেচনা করলে আমরা দেখব একাডেমির বিপুল পরিমাণ পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন ও প্রকাশ করেছে। তবে পাঠ্যপুস্তক কেবল শ্রেণীকক্ষের নির্দিষ্ট পরিসরে অনুসরণের জন্য রচিত হয় না। তার পরিসর ব্যাপক হওয়া প্রয়োজন যাতে অধীতব্য বিষয়ের সার্বিক ব্যাপ্তি তাতে প্রতিফলিত হয়। অন্যদিকে এসব পাঠ্যপুস্তক যাঁরা ব্যবহার করবেন সেই শিক্ষার্থীদের কথাও রচয়িতাকে বিশেষভাবে মনে রাখতে হয় যেন ব্যবহারকারীদের প্রয়োজনও তাতে মিটতে পারে। আলোচকরা বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলা একাডেমি পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন ও প্রকাশকে যে গুরুত্ব দিয়ে আসছে তার মূল লক্ষ্য ছিল দেশের ক্রমবর্ধমান শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তক চাহিদা নিরসন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে একাডেমি ছাড়াও পাঠ্যপুস্তক প্রকাশের অনেক বিকল্প সংস্থা তৈরি হয়েছে, যার ফলে একাডেমিকে বিশ্বমানের সুনির্বাচিত পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন ও প্রকাশের দিকে জোর দিতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক অজয় রায় বলেন, পাঠ্যপুস্তকের মান একটি দেশের সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলা একাডেমি এ পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ পাঠ্যপুস্তক প্রকাশ করে জাতীয় শিক্ষা ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখেছে। আজকের আয়োজন ॥ আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় মেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ‘বাংলাদেশের প্রকাশনা কার্যক্রম : অতীত থেকে বর্তমান’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।
×