ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

তাইওয়ানে ধসে পড়া ভবনে আটকে আছে ১৫০জন, নিহত ১৮

প্রকাশিত: ১৯:৩৮, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

তাইওয়ানে ধসে পড়া ভবনে আটকে আছে ১৫০জন, নিহত ১৮

অনলাইন ডেস্ক ॥ তাইওয়ানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ধসে পড়া ১৭ তলা ভবনের নিচে এখনও প্রায় ১৫০ জন আটকে পড়ে আছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ জনে। দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্য কেন্দ্রের বরাত দিয়ে আজ রোববার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার দিনগত রাত ১টা ৫৭ মিনিটে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় তিয়ানান শহরে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। ৬ দশমিক ৪ মাত্রার এই ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল দক্ষিণাঞ্চলীয় ইউজিং থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে। খবরে বলা হয়, তিয়ানান শহরে ধসে পড়া ওই ১৭ তলা ভবনে বনে ৬০টি পরিবারের বাস ছিল। সেখান থেকেই শিশুসহ ১৬ জনের মরদেহ ও ৪৩৬ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও সেখানে এখন পর্যন্ত ১৫০ জনের মতো মানুষ আটকা পড়ে আছে। দেশটির মেয়র উইলিয়াম লাইয়ের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম আরও জানায়, তারা আশা করছেন, রোববার উদ্ধার তৎপরতায় কিছু মানুষকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার কর‍া যাবে। এদিকে তাইওয়ানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা জানায়, ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকা পড়াদের উদ্ধারে প্রায় এক হাজার উদ্ধারকর্মীর সঙ্গে সেনাবাহিনীর ৮৪০ সদস্য, ছয়টি হেলিকাপ্টার ও ২৩টি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর কাজ করে যাচ্ছে। এদিকে, ওই ভবনটি ছাড়া আরও তিয়ানানের বেশ কয়েকটি ভবন এ ভূকম্পনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলো থেকে এখন পর্যন্ত দুই জনের প্রাণহানির খবর জানিয়েছে সংবাদ সংস্থাগুলো। প্রাথমিকভাবে ভূমিকম্পটির মাত্রা রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৭ বলে জানায় মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস)। পরে তা কমিয়ে ৬ দশমিক ৪ বলে সংস্থাটি। প্রায় ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড স্থায়ী ছিল ভূমিকম্পটি। এ ঘটনায় কোনো সুনামি সর্তকতা জারি করা হয়নি। ইউএসজিএস বলেছে, বিশ লাখ অধিবাসীর শহর তিয়ানানে আঘাত হানা ভূমিকম্পটি অগভীর ছিল। যার অর্থ, এর শক্তি বিবর্ধিত হয়েছে। তাইওয়ানজুড়ে ভূকম্পন পরবর্তী বেশ কয়েকটি পরাঘাতও অনুভূত হয়েছে। এমনকি তিয়ানান থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরবর্তী রাজধানী তাইপেও কেঁপে উঠেছে। ১৯৯৯ সালে দেশটিতে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে দুই হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যায়।
×