ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

শীতের সন্ধ্যায় ছায়ানটে লোকগানের আসর

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

শীতের সন্ধ্যায় ছায়ানটে লোকগানের  আসর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হাজার বছরের বাংলার ঐতিহ্যকে ধারণ করে আছে লোকসঙ্গীত। শিকড়সন্ধানী এই গানের চরণে চরণে উঠে এসেছে মাটি ও মানুষের কথা। সুরে সুরে পাওয়া যায় আবহমান বাংলার রূপের দিশা। শুক্রবার ছুটির দিনে সেই মিঠে সুর শোনা গেল ধানমন্ডির ছায়ানট সংস্কৃতি ভবন মিলনায়তনে। শীতের সন্ধ্যায় এখানে অনুষ্ঠিত হলো ছায়ানটের বার্ষিক লোকসঙ্গীতানুষ্ঠান। লোকগানের এ আসরটি উৎসর্গ করা হয় ফকীর কালু শাহ্কে। পরিবেশিত হয় লোকগীতিকবি ফকীর কালু শাহ, কানাইলাল শীল, হরলাল রায়, এসএম বখত শাহ্ চিশতী ও আব্দুল লতিফের গান। শিকসড়ন্ধানী সুরের আবাহনে শ্রোতায় পরিপূর্ণ ছিল মিলনায়তন। আয়োজনের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ছায়ানট সভাপতি সন্্জীদা খাতুন। উপস্থিত সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এই সঙ্গীতগুণী বলেন, একসময় আমরা যখন লোকসঙ্গীত চর্চা করতাম তখন শহুরে নাগরিকদের মধ্যে সঙ্গীতধারার প্রতি আগ্রহটা খুব কম ছিল। এই প্রেক্ষাপটে একসময় ছায়ানটে যুক্ত করা হয় লোকসঙ্গীত শিক্ষা। আজ যে ক’জন শিল্পীর গান পরিবেশিত হবে এই আয়োজনে তাঁরা সবাই লোকসঙ্গীতের দিকপাল। লোকগান হচ্ছে মাটির গান। এখানে ধুমধাড়াক্কার কোন বিষয় নেই। কারণ, সত্যিকার লোকসঙ্গীত আসে হৃদয় থেকে। সংক্ষিপ্ত কথা শেষে শুরু হয় পরিবেশনা পর্ব। সম্মেলক কণ্ঠে ফকীর কালু শাহ্্র গান তুলে নেন ছায়ানটের শিল্পীরা। অনেকগুলো কণ্ঠ এক সুরে গেয়ে শোনায়Ñ নিরিখ বান্ধরে দুই নয়নে/ভুইলো না মন তারে...। পরের সমবেত গানটি গাওয়া হয় কানাইলাল শীলের বাণীর আলোয়। প্রতীক্ষার কথা বলা সুরে গীত হয় Ñ বসে আছি নদীর কূলে রে...। সম্মেলক গান শেষে শুরু হয় একক কণ্ঠের পরিবেশনা। নারায়ণচন্দ্র শীল গেয়ে শোনায় ‘অসময় বাঁশি বাজায় কে রে’। বিমান চন্দ্র বিশ্বাসের কণ্ঠে গীত হয় ‘তোমার লাগিয়া রে সদায় প্রাণ আমার কান্দে’। মোমতাজুর রহমান মানিক পরিবেশন করেন ‘সাধের দোতরা চামের চামড়া’। ‘ওগো রাখাল তুমি যাও বাজাইয়া’ শিরোনামের গান শোনান ফাতেমা-তুজ-জোহরা। আবুল কালাম আজাদ পরিবেশন করেন ‘তুই গো আমার মন’। মোখলেসুর রহমানের কণ্ঠে গীত হয় ‘আজি কি বা কথা কইলেন’। নিভা সুলতানা পরিবেশিত গানের শিরোনাম ছিল ‘বাড়ির বগল দিয়া কার বা গাড়ি যায়...’। বিমানেশ বিশ্বাসের চিত্র প্রদর্শনী নিসর্গ সুন্দরী ॥ আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকার লা গ্যালারিতে শুরু হলো শিল্পী বিমানেশ বিশ্বাসের ‘নিসর্গ সুন্দরী’ শীর্ষক চিত্রকর্ম প্রদর্শনী। শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রদর্শনীর উদ্বোধন হয়। এছাড়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সুভাষ বিশ্বাসের লেখা ‘এসএম সুলতান : বৈচিত্র্যময় শিল্পজীবন’ শীর্ষক বইয়েরও মোড়ক উšে§াচিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট তারানা হালিম, চারুকলা অনুষদের অধ্যাপক আবুল বারক আলভী এবং সমাজকর্মী এসএম কামাল হোসেন। সভাপতিত্ব করেন আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকার পরিচালক ব্রুনো প্লাস। বিমানেশ বিশ্বাস জšে§ছেন নড়াইলে। সেই সূত্রে ছোটবেলায় সান্নিধ্য পেয়েছেন পথিকৃৎ শিল্পী এসএম সুলতানে। সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী সুলতানের কাছ থেকেই এই শিল্পী পেয়েছেন পথচলার শক্তি। তাঁর চিত্রপটে উঠে এসেছে জলরঙে আঁকা গ্রাম, নদীতীর, খাল-বিল ও শ্বাসমূলের সুন্দরবন। জলরঙ ও এ্যাক্রিলিকের আশ্রয়ে চিত্রিত করেছেন প্রকৃতির অসীম সৌন্দর্য। প্রদর্শনীতে বিশ্বাসের আঁকা ৩৫টি চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে।
×