ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আশার আলো কালো সোনা

প্রকাশিত: ০৫:০২, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

আশার আলো কালো সোনা

বাংলাদেশের কয়লা খনি আজ থেকে ১৫৯ বছর আগে ১৮৫৬ সালে অবিভক্ত ভারতে ব্রিটিশ ভূতত্ত্ববিদ মি. মেলেট পারিপার্শ্বিক ভূতাত্ত্বিক গঠন পর্যালোচনা করে বাংলাদেশের মাটির নিচে কয়লার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছিলেন এবং তা প্রকাশও করেছিলেন। এর ১০৩ বছর পর ১৯৫৯ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত ৩৮ বছরে ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশে ৭টি প্রধান অন্তভূপৃষ্ঠীয় কয়লা খনি আবিষ্কৃৃত হয়। এই ৭টি খনিতে সর্বশেষ পাওয়া হিসাব অনুযায়ী কয়লার মজুদের পরিমাণ ৩ হাজার ৭২০ মিলিয়ন টন। ১৯৫৯ সালে প্রথম বগুড়ার কুচমায় ভূতাত্ত্বিকরা তেল অনুসন্ধানের কাজ শুরু করেন। কিন্তু সেখানে তেল না পাওয়া গেলেও খনন কাজ চালাতে গিয়ে পরিত্যক্ত কূপে কয়লার সন্ধান পান তারা। এখানে মোট ৫টি কয়লার স্তর রয়েছে, যার একীভূত গুরুত্ব ৫১.৮২ মিটার এবং খনিটি ভূপৃষ্ঠের ২ হাজার ৮৭৬ মিটার গভীরতা পর্যন্ত বিস্তত। এখানে ভূপৃষ্ঠ থেকে ২ হাজার ৩৮১ মিটার গভীরতায় গন্ডোয়ানা কয়লার সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর ১৯৬০-৬২ সালে পাকিস্তান জিওলজিক্যাল সার্ভে (জিএসপি) বাংলাদেশ মেঘালয় সীমান্ত বরাবর সুনামগঞ্জ জেলার টাকেরঘাট বাগলিবাজার এলাকায় ভূপৃষ্ঠের ৪৫ থেকে ৯৭ মিটার গভীরতায় টারশিয়ারি কয়লা ক্ষেত্রের ২টি স্তর আবিষ্কার করে। ১৯৬১ সালে জিএসপি ও জাতিসংঘের সহযোগিতায় টঘ-চধশ গরহবৎধষ ঝঁৎাবু প্রকল্পের আওতায় জয়পুরহাট জেলার জামালগঞ্জে ১ হাজার ৫০ মিলিয়ন টনসমৃদ্ধ আরেকটি কয়লা খনি আবিষ্কৃত হয়। ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতর (জিএসবি) দিনাজপুর জেলার বড়পুকুরিয়া ১৯৮৯ সালে রংপুর জেলার খালাশপীড়ে এবং ১৯৯৫ সালে দিনাজপুরের দীঘিপাড়ায় পার্শিয়ান যুগের গন্ডোয়ানা কয়লার খনি আবিষ্কার করে। সর্বশেষ ১৯৯৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার ব্রোকেন হিল প্রোপাইটার আবিষ্কার করে দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়িতে ভূপৃষ্ঠের ১৫০ মিটার গভীরে গন্ডোয়ানা কয়লার আরেকটি খনি। আবিষ্কৃত এই ৭টি কয়লা খনির মধ্যে অন্যতম দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া খনিতে ২০০৫ সালে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদন শুরু হয়। বর্তমানে এ খনিটি থেকে প্রতিদিন প্রায় দেড় হাজার টন কয়লা তোলা হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রধান খনিজসম্পদ প্রাকৃতিক গ্যাস, যা বিদ্যুত উৎপাদন, শিল্পকারখানা, যানবাহন এবং গৃহস্থালী কাজে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আর এ সম্পদ অফুরন্ত না হওয়ায় আগামীতে আমাদের কয়লার ওপরই ভরসা করতে হবে। আজিজুর রহমান ধানম-ি, ঢাকা আবেদন আমার মরহুম স্বামী বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ উল্যা পিতা মৃত. মতিউল্যা পাটোয়ারী, গ্রাম- নাওড়ী, ডাকঘর- নাওড়ী ১০নং আমিশাপাড়া ইউনিয়ন, থানা- বেগমগঞ্জ বর্তমান সোনাইমুড়ি, জিলা নোয়াখালী। তিনি ২নং সেক্টরে স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তার জন্মতারিখ ০১/০১/১৯৫০। প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে ১৩/০১/২০০৩ তারিখে মৃত্যুবরণ করেন। রেজিস্টার্ড নং ডি-এ-১, বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত সংখ্যা সোমবার ১৬ জানুয়ারি ২০০৬ প্রকাশিত তালিকায় ১১৮ পাতায় ৩৭২১নং ক্রমিকে মুক্তিযোদ্ধার নাম প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন সোসাইটি ঢাকা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল ঢাকা সনদ নং খ/১২৫২২৯ তারিখ ০১/০৩/২০১১ আমার মুক্তিযোদ্ধা স্বামী কর্নেল ওসমানী সাহেবের ইসুকৃত মুক্তিযোদ্ধা সনদ দ্বারা মুক্তিযোদ্ধাভাতা পাচ্ছিলেন সম্মানী ভাতা পরিষদ ১০নং আমিশাপাড়া বহি নং১১৭ জুলাই ২০১৫ পর্যন্ত প্রতি মাসে ৫০০০ টাকা ভাতা পেয়ে এসছিলাম। তা দ্বারা আমার ও আমার স্বামীর ৩ ছেলে ২ মেয়েসহ ৬-৭ জনকে নিয়ে জীবন ধারণ করে আসছিলাম। কেন ওই ভাতা বন্ধ করা হলো সোনাইমুড়ি উপজেলার সমাজসেবা কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি বলেন মন্ত্রণালয় কর্তৃক ইস্যুকৃত সনদপত্র লাগবে। বর্তমান আমি বৃদ্ধ অবস্থায় আছি, বহু রোগে ভুগছি। অর্থের অভাবে আহার ও বিনা চিকিৎসায় মরছি। অদ্য ২৭/০১/২০১৬ তারিখে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে সনদপত্রের জন্য দরখাস্ত জমা দিয়েছি। সংশ্লিষ্ট উপ-সচিবের কাছে কেন ভাতা বন্ধ করা হলো, সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গেজেটে নাম থাকলে ভাতা বন্ধ করা যায় না। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে ফোনে আলাপও করেছেন। অতএব, মরহুম মুক্তিযোদ্ধা সিরাজের মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ওয়ারিশ হিসেবে স্ত্রীর নামে পুনরায় চালু করতে জরুরী সনদ প্রদানের ব্যবস্থার আবেদন করছি। আনোয়ারা বেগম সোনাইমুড়ি, নোয়াখালী শিশুদের জঙ্গী প্রশিক্ষণ! আইএস সভ্যতাকে, মানবতাকে পায়ের জুতায় পিষ্ট করে পৃথিবীকে ক্রমাগত অন্ধকার জগতে ডুবিয়ে দিচ্ছে। অন্ধকারের যুগ চালু করতে প্রকাশ্য ঘোষণার মাধ্যমে আইএস নামক একটি দুষ্ট চক্র অর্থের বিনিময়ে, প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পৃথিবীকে কাঁপিয়ে চলেছে। কম্পনের আওয়াজ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। পৃথিবী আজ হুমকির মধ্যে। প্রকৃত সত্য এই যে, আইএসের কোন নিজস্ব ভূমি নেই, মানচিত্র নেই, সার্বভৌমত্ব নেই, আইএসের নিজস্ব কোন পরিচয় নেই। সংবিধান, সরকার, পার্লামেন্ট, সেনাবাহিনী কিছুই নেই, তবু আইএস নামটি সারা পৃথিবীতে সুপরিচিত, ভয়ঙ্কর একটি জঙ্গী গোষ্ঠীর নাম। এই জঙ্গী গোষ্ঠীর সদস্য সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে এমনটাই ধারণা। যুবক-যুবতী তথা নারী-পুরুষ সদস্য তৈরি করে এবার অবুঝ শিশুদের টার্গেট করেছে আইএস। আতঙ্কিত হচ্ছি এই ভেবে যে, পশু নামক জঙ্গী গোষ্ঠী আইএস ৭ থেকে ১৬ বছরের কোমলমতি অবুঝ শান্ত শিশুদের জঙ্গী প্রশিক্ষণে বাধ্য করেছে। আত্মঘাতী বোমা হামলাসহ নানা বিপজ্জনক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জঘন্যতম অপরাধ করতে বাধ্য করেছে। রাজি না হলে হাত বা পা অথবা উভয় অঙ্গ কেটে ফেলে অপর শিশুদের জঙ্গী প্রশিক্ষণে বাধ্য করছে। ভয়ঙ্কর যতসব খবর পাওয়া যাচ্ছে, সিরিয়ার বোকো শহরে, জঙ্গী আইএসের নির্দেশে সদ্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আইএস সদস্য ২২ বছরের পুত্র গর্ভধারিণী মাকে গুলি করে হত্যা করেছে প্রকাশ্যে। ৭ বছরের শিশুর হাতে ভারি অস্ত্র তুলে দেয়া হচ্ছে। আইএস জঙ্গী গোষ্ঠী বেছে বেছে সুন্দরী নারীদের যৌনকর্মে লিপ্ত হতে নির্যাতন চালাচ্ছে। কোথায় মানবতা, কোথায় সৌদি আরব, কোথায় সব ইসলামিক রাষ্ট্র, জবাব দিতে হবে সবাইকে। মানবতার কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে সকলকে। জাতিসংঘ পৃথিবীর অভিভাবক, মানবতা বাঁচিয়ে রাখার বিরুদ্ধে যেসকল শক্তিধর দেশ ভেটো প্রয়োগ করার ক্ষমতা পেয়েছে সে সকল দেশের ভূমিকা রহস্যজনক। বিষধর সাপ একসময় সুযোগ পেলে সাপুড়ে বা ওঝাকে দংশন করে চলে যায়। সেসকল ক্ষমতাধর দেশ বা দেশের সরকার প্রধান সাপ নিয়ে খেলা করছেন। এমন একদিন আসবে ঐ আইএস নামক জঙ্গী গোষ্ঠী দ্বারা তারাই ধ্বংস হয়ে অন্ধকার যুগে পতিত হবে। ভেটো প্রয়োগকারী দেশগুলো পৃথিবীর মানবতা ও সভ্যতাকে বাঁচিয়ে রাখার তাগিদে কয়েক দিনে আইএস নামক জঙ্গী গোষ্ঠীকে খতম করে দিতে পারে। পৃথিবীর ভেটো প্রয়োগকারী দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের উদ্দেশ করে বলছি, আপনারা প্রকাশ্য ঘোষণার মাধ্যমে আইএসের বিরুদ্ধে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একমত পোষণ করেন। নারী ও শিশুদের রক্ষা করার দায়িত্ব যাদের ওপর অর্পিত তারা অতিদ্রুত শিশু ও নারীদের মুক্ত করুন। মেছের আলী শ্রীনগর, মুন্সীগঞ্জ অসহনীয় শব্দদূষণ চিকিৎসাবিজ্ঞান মতে মানুষের শ্রবণক্ষমতার একটা সীমা নির্ধারিত আছে। যখন কোন মানুষ নির্ধারিত সীমার চেয়ে অতিরিক্ত শব্দ শ্রবণ করে, তখন সেই মানুষের শ্রবণক্ষমতা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনার সঙ্গে নানা রকমের শারীরিক ও মানসিক বৈকল্যও দেখা দিতে পারে। কোন ব্যক্তি একাধারে কিংবা দৈনিক বিশেষত নির্দিষ্ট বিশ্রামের সময় উচ্চমাত্রার শব্দ শ্রবণ করতে থাকলে স্থায়ীভাবে শোনার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে, মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে পাগল হয়ে যেতে পারে, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। আমাদের দেশের হাট-বাজার, মাঠ-ঘাট, পাড়া-মহল্লা, আবাসিক-অনাবাসিক, মসজিদ-মাদ্রাসা সর্বত্রই লাউড স্পীকারের উচ্চমাত্রার শব্দের উৎপাত রাতদিন চলছেই। দেশের সকল মানুষই এই উৎপাত নির্বিকারভাবে সহ্য করে যাচ্ছে। শত শত মাইক লাগিয়ে রাজনৈতিক বক্তব্যের উৎপাত, মিছিলে চিৎকার- সেøাগান, বিয়েবাড়িতে গান-বাজনা, ঢাক-ঢোল ও ড্রাম পেটানো, বাজি ফোটানোর উৎপাত, বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উৎপাত। সকল ক্ষেত্রেই নির্দয়-নিষ্ঠুরভাবে মাইক লাগিয়ে অতি উচ্চমাত্রার শব্দ করা হয়। আশপাশের পাড়াপ্রতিবেশীর ঘুম-নিদ্রা, বাচ্চাদের পড়াশোনা, অসুন্থ রোগীর কষ্টÑ এসব বিষয়ে সামান্যতম বিবেচনা না করেই উচ্চশব্দে হর্ন বাজানো হয়। লাউড স্পীকার ব্যবহারের বিষয়ে নির্দিষ্ট আইন আছে। আইনটির নাম পাবলিক নুইসেন্স ল। কিন্তু সেই আইনের যথাযথ প্রয়োগ কেন করা হয় না, সেটা কারও বোধগম্য নয়। সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষ বিশেষত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অনুরোধ করছি, লাউড স্পীকার বা মাইক ব্যবহারের যে আইন সেটা কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হোক এবং যেখানে-সেখানে যখন-তখন বিশেষ প্রয়োজনীয় কারণ ব্যতিরেকে কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে লাউড স্পীকার বা মাইক ব্যবহার করে জনজীবন অতিষ্ঠ করা যেন না হয়। বিশেষ করে রাতব্যাপী কোন অবস্থাতেই যেন মাইক ব্যবহার করা না হয় সে বিষয়ে কঠোর হতে হবে। হাবিবুল ইসলাম হালিশহর, চট্টগ্রাম দাবি কি অযৌক্তিক! নতুন জাতীয় বেতন স্কেল ঘোষণা হয়েছে। এখন তা বাস্তবায়নের পালা। টাইমস্কেল, সিলেকশনগ্রেড নিয়ে যেটুকু টানাপোড়েন চলছে তারও একটা নির্ভর সমাধান হবে। এমন আশা সংশ্লিষ্ট সবারই। চলমান এ কার্যক্রমের মধ্য দিয়েই প্রাপ্তির পরিসমাপ্তি ঘটবে। জাতীয় বেতন স্কেলভুক্ত সবাই প্রাপ্যতার বদৌলতে উৎফুল্ল হবেন, পরিতৃপ্ত হবেন। কিন্তু এর মাঝেও কারও কারও ক্ষেত্রে কিছুটা মনস্তাপ, কিছুটা বেদনা থেকে যাবে। পূর্ণতার দাবি উত্থাপিত হবে, আগামীর দিকে চোখ রেখে দিন গত হবে। নিষ্ফল আকাক্সক্ষা নিয়ে জীবনকে জড়িয়ে নিচ্ছে যারা তারা সবাই বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) এর অধীন উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিঃ (ইউসিসিএ লিঃ) এর ভাগ্যাহত কর্মচারী। চাকরিকালীন জীবনে যাদের ভাগ্যে কখনও টাইমস্কেল, সিলেকশনগ্রেড তো দূরের কথা, বিগত বিভিন্ন সময়ে ঘোষিত স্কেলের বেতনভাতাও বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা তো আরও দুরূহ ব্যাপার। এমনিতেই বেতনভাতা অনিশ্চিত, মাসের পর মাস বছরের পর বছর বিনা বেতনে অর্ধবেতনে কর্মময় দিন কাটে। তার ওপর বর্তমানে বাস্তবায়নাধীন নতুন জাতীয় বেতন স্কেল তাদের ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনে কতটা দুঃসহ প্রভাব ফেলবে তা ভুক্তভোগী মাত্রই অনুভব করতে পারেন। মাস শেষে বেতন নিয়ে গোল বাধে। কর্মচারীদের দাবি বেতন চাই। বিআরডিবি কর্তৃপক্ষের জবাব বেতন নেই। ‘চাই আর নাই’ এর বেড়াজালে পড়ে অনেকেই চাকরি জীবন পার করে শূন্য হাতে অবসরে গেছেন। যারা পড়ে আছেন তারা চাকরির মায়ায় সীমাহীন নিরাশায় হাবুডুবু খাচ্ছেন। রবীন্দ্রনাথের পুরাতন ভূত্য কবিতার মতো, ‘তবু মায়া তার ত্যাগ করা ভার, বড়ো পুরাতন ভৃত্য।’ সারাদেশে বিআরডিবির ৪৭৬টি ইউনিটের অধীন ৪৬০টি ইউসিসিএ রয়েছে। প্রায় হাজার পাঁচেক-কর্মচারী ইউসিসিএগুলোতে কাজ করে। এই জনশক্তি উপজেলায় বিআরডিবির মোট জনবলের (তিনজন করে কী পার্সোনেল) অপেক্ষা প্রায় তিনগুণ বেশি। বিআরডিবি কর্তৃপক্ষের নিকট সংখ্যাগরিষ্ঠ ইউসিসিএ কর্মচারীদের আবেদন তাদের বেতনভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে স্থায়ী উৎস হিসেবে বিআরডিবির রাজস্বখাতভুক্ত করে নেয়া। এটি যুগ যুগ ধরে অবহেলিত, উপেক্ষিত, এই বিপুল সংখ্যক কর্মচারীর বাঁচা-মরা সংবলিত ন্যায়সঙ্গত দাবি। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই আবেদন আজও বাস্তবায়ন হয়নি। জাতীয় পর্যায়ে পল্লী উন্নয়ন কার্যক্রমে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক সমবায়ী কৃষকদের সেবায় নিয়োজিত, বিআরডিবি কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত, ভুক্তভোগী ইউসিসিএ কর্মচারীদের জীবনমান রক্ষায় মানবিক সাড়া পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সমীপে সবিনয় নিবেদন রইল। নজীর আহমেদ কালীগঞ্জ, গাজিপুর
×