ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সুরের ভাষায় ভালবাসা ছড়াতে হাজির প্রান্তিকেরা

প্রকাশিত: ১৯:০৭, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

সুরের ভাষায় ভালবাসা ছড়াতে হাজির প্রান্তিকেরা

অনলাইন ডেস্ক ॥ বিশ্বায়নের ছোঁয়ায় যখন গোটা দুনিয়া প্রায় এক রকম দেখতে হয়ে যাচ্ছে, হারিয়ে যাচ্ছে বৈচিত্র, তখনও এ শহর নিজস্বতাকে সম্মান দেয়। এ শহরের মানুষের যে এখনও দেশ-বিদেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্রে আগ্রহ আছে, তা দেখে আপ্লুত হাঙ্গেরির জিপসি গায়িকা মনিকা। ইতিমধ্যেই বাংলা ভাষার সঙ্গে নিজেদের জিপসি সম্প্রদায়ের নানা শব্দের মিল পেয়েছেন তিনি। শহরবাসীকে সে ভাষায় গান শোনানোর উৎসাহ তাই আরও বেড়ে গিয়েছে। তাঁদের দেশ-সহ ইওরোপের বহু অঞ্চল যখন নানা সমস্যায় জর্জরিত, তখন ভিন দেশের মঞ্চে নিজের সম্প্রদায়ের গানেই ভালবাসা, সহিষ্ণুতার বার্তা ছড়িয়ে দিতে চান তিনি। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তের এক ঝাঁক লোকশিল্পী এসেছেন শহরে। তাঁদেরই এক জন মনিকা। আজ, শুক্রবার থেকে তিন দিন নানা ভাষার গান আর চেনা-অচেনা বহু বাদ্য যন্ত্রের সুরে তাঁরাই জমিয়ে তুলবেন শীত শেষের কলকাতাকে। কেউ শোনাবেন সুদূর লাতিন আমেরিতকার সুর, কেউ গাইবেন স্কটল্যান্ড, হাঙ্গেরি, পোর্তুগালের লোকসঙ্গীত। মোসি সম্প্রদায়ের রকমারি বাজনা নিয়ে হাজির আফ্রিকার বুর্কিনা ফাশোর শিল্পীরাও। তাঁদের সকলের সঙ্গে গান বাঁধবেন বাংলার বাউল-ফকির এবং এ শহরের শিল্পীরা। ২০১২ সালে যখন দাউ দাউ করে জ্বলছিল মিশর, তখন সেখানকার সুফি শিল্পীরা এ শহরের মঞ্চে শান্তির সুর সেধেছিলেন। গোটা বিশ্ব জুড়ে নানা অঞ্চলে এখন অসহিষ্ণুতায় জর্জরিত প্রান্তিক মানুষেরা। বিশ্বায়নের দাপটে হারিয়ে যাচ্ছে বহু আদিবাসী ভাষা-গান-সংস্কৃতি। সেই ঝড়ের দাপট রুখতেই নিজের নিজের গান নিয়ে একজোট হচ্ছেন তাঁরা। তাঁদেরই সুরের বৈচিত্রে মেতে উঠবে এ বছরের ‘সুফি সূত্র’-র মঞ্চ। আগামী রবিবার পর্যন্ত রোজ সন্ধ্যায় আসর বসছে রবীন্দ্র সদনে। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×