ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বোরো আবাদে সেচ সঙ্কট

প্রকাশিত: ০৭:১৯, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

বোরো আবাদে সেচ সঙ্কট

স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ লক্ষ্যমাত্রা ৪৬ হাজার ৭৩৫ হেক্টর, যা গত বছরের চেয়ে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর কম। এই চিত্র জেলার বোরো আবাদের। রাজশাহী বিভাগের অন্যতম শস্যভা-ার চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ পুরো বরেন্দ্র অঞ্চলে এবার বোরো আবাদের পরিমাণ কমেছে। লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছিও পৌঁছতে পারছে না। এর মূল কারণ চিহ্নিত করেছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। মৌসুমের অনেক আগে থেকেই তিনটি নদী, ২৫টি বড় বিল, সাড়ে চার হাজার পুকুর, যার মধ্যে খাস পুকুর ১১৬৭ সহ একাধিক ডোবা ও ঝিলে পানির শুকিয়ে গেছে। একই সঙ্গে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর অস্বাভাবিকভাবে নিচে নামার কারণে সেচ সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করেছে। জেলার সর্ববৃহত সেচ প্রকল্প “অগ্রণী সেচ প্রকল্প” মার খেতে বসেছে। বিজিবি ব্যাটেলিয়ন সংলগ্ন এলাকা হয়ে মহানন্দা নদী থেকে এই প্রকল্পে পানি উঠানো হতো। কিন্তু মহানন্দার পানির স্তর নিচে নামার কারণে প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত পানি পাচ্ছে না। ক্যানেলের অনেক নিচ দিয়ে পানি যাচ্ছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ পুরো বরেন্দ্র অঞ্চলের একমাত্র ভরসা গভীর নলকূপ। সরকারী (বিএমডিএ) বেসরকারী মিলিয়ে গভীর ও অগভীর নলকূপের সংখ্যা প্রায় ১২ হাজার ২৫২। বিএমডিএর গভীর নলকূপ ১ হাজার ৬ শতটি। কোনটিতেও পর্যাপ্ত পানি নেই এবার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তার মতে গভীর নলকূপে পানি উত্তোলন প্রবাহ এক চতুর্থাংশে নেমে এসেছে। তাই কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ইতোমধ্যেই বরেন্দ্র অঞ্চলে গভীর নলকূপের পানি ব্যবহারে কৃষকদের অনুৎসাহিত করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কৃষি সম্প্রসারণের জনৈক কর্মকর্তা জানান এবার বোরো চার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অধেকে নেমে আসতে পারে। নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৭৯ হাজার ৩৬৩ টন। বিধায় পুরো জেলায় বোরো চাষীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। আগৈলঝাড়ায় এক শ’ একর জমির চাষ বন্ধ স্টাফ রিপোর্টার বরিশাল থেকে জানান, চলতি বোরো মৌসুমে সেচ সঙ্কটের কারণে আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের তিনটি ইরি ব্লকের প্রায় ১শ’ একর জমির চাষাবাদ বন্ধ রয়েছে। ফলে ওই সব ব্লকের জমির মালিক ও চাষীরা তাদের পরিবারের খাদ্য যোগান নিয়ে চরমভাবে উদ্বিগ্ন হয়ে পরেছেন। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি বিভাগের কাছে কোন তথ্যই নেই। ভুক্তভোগী চাষীরা জানান, উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের রথখোলা থেকে ভদ্রপাড়া পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার খালে দীর্ঘদিন যাবত খনন না করায় তা ভরাট হয়ে গেছে। ফলে গৈলা গ্রামের বোরো ক্ষেত্রের ব্লক ম্যানেজার সিরাজ সরদার, শুকলাল ম-লের ব্লকের প্রায় ৭০ একর জমির চাষাবাদ গত এক কছর আগ থেকে বন্ধ রয়েছে। এর সঙ্গে চলতি মৌসুমে একই এলাকার আরেক ব্লক ম্যানেজার সেলিম সরদারের ৩০ একরের ব্লকটিও চলতি বছর পানির অভাবে বন্ধ রয়েছে। ফলে ওই সকল ব্লকের জমির শতাধিক মালিক ও চাষীরা তাদের জমিতে কোন ফসল ফলাতে না পাড়ায় তাদের পরিবারের সদস্যদের সারাবছরের খাদ্য সঙ্কট নিয়ে চরম সমস্যায় পড়েছেন। এছাড়াও আশপাশের ব্লকগুলোতেও সেচ সঙ্কট তীব্র আকার ধারণ করেছে। কোন খালে পানি নেই। নেত্রকোনায় অপহৃত স্কুলছাত্রী উদ্ধার ॥ ইমাম আটক নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোনা, ৪ ফেব্রুয়ারি ॥ পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীকে ফুঁসলিয়ে অপহরণের দায়ে এক মসজিদের ইমাম গ্রেফতার হয়েছে। একই সময় উদ্ধার করা হয়েছে অপহৃতা কিশোরীকেও। ওই ইমামের নাম সোহেল মিয়া (২৩)। সে জেলার কেন্দুয়া উপজেলার মোজাফরপুর ইউনিয়নের হারুলিয়া গ্রামের শাহজাহান মিয়ার ছেলে। জানা গেছে, হাফেজ সোহেল মিয়া কিছুদিন ধরে কান্দিউড়া ইউনিয়নের পালড়া গ্রামের জামে মসজিদে ইমামতি করে আসছিল। সোমবার রাতে সে পালড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে (১৩) ফুঁসলিয়ে অপহরণ করে পালিয়ে যায়। পরদিন (মঙ্গলবার) ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ইমাম সোহেল মিয়াসহ চারজনকে আসামি করে কেন্দুয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে ওই দিন রাতেই পুলিশ কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলার জাওয়ার গ্রাম থেকে সোহেল মিয়াকে গ্রেফতার এবং অপহৃতা ছাত্রীকে উদ্ধার করে।
×