ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শান্ত-মারিয়ামের প্রতিবাদ

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

শান্ত-মারিয়ামের প্রতিবাদ

‘রাষ্ট্রপতির দেয়া নিয়োগ নিয়ে জালিয়াতি শান্ত-মারিয়ামের’ শিরোনামে গত ২৫ জানুয়ারি জনকণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির রেজিস্ট্রার স্থপতি হোসনে আরা রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদলিপিতে দাবি করা হয়েছে, ভিসি নিয়োগ প্রসঙ্গে যে সকল অভিযোগ তোলা হয়েছে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। অনুমোদনহীন আউটার ক্যাম্পাস ও অননুমোদিত ক্যাম্পাস সম্পর্কে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তাও ভিত্তিহীন। প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজ ভিসি নিয়োগে কোন ধরনের প্রতারণা, তামাশা, কিংবা জালিয়াতির আশ্রয় নেয়নি। বরং অধ্যাপক মিজানুর রহিম ‘শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি’ কর্তৃপক্ষকে প্রতারণা করে প্যানেলে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। তার কারচুপির বিষয়টি বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজের কাছে অজ্ঞাত ছিল বিধায় বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজ তাকে ৩ নং প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করে রাষ্ট্রপতির সচিবালয় (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) প্যানেল প্রস্তাব প্রেরণ করেন। কিন্তু ৩নং প্রার্থী হওয়া সত্ত্বেও অধ্যাপক মিজানুর রহিম রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হন। বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজ কেনইবা অধ্যাপক মিজানুর রহিমের মতো একজন অযোগ্য প্রার্থীকে যোগ্য প্রার্থী দেখিয়ে তার নাম ভিসি প্যানেলে ৩ নং প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করবেন। তাতে করে বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজেরই বা কি লাভ? এই বিশ^বিদ্যালয়ে ভিসি হওয়ার মতো আরও অনেক যোগ্য অধ্যাপক রয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবাদলিপিতে। ইউজিসির তদন্ত প্রসঙ্গে প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, তদন্ত কমিটির চাহিদা মোতাবেক সমস্ত তথ্যাদি তাদের আমরা প্রদান করেছি। তবে প্রায় আড়াই মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও ইউজিসি আমাদের এ বিষয়ে আর কিছুই জানায়নি। অনুমোদনহীন আউটার ক্যাম্পাস ও অননুমোদিত ক্যাম্পাস সম্পর্কে তোলা অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবি করে শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ বলেছে, ইউজিসি কর্তৃক অননুমোদিত ক্যাম্পাসের তালিকায় আমাদের নাম প্রকাশ করাতে আমরা একেবারেই ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে গিয়েছি। কেন, কিভাবে এবং কাদের দ্বারা এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল তা আমাদের কাছে আজও রহস্যজনক।
×