স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ মুন্সীগঞ্জের চরআব্দুল্লাহ’র কাছে মেঘনায় বাল্গহেট ডুবির ঘটনায় শ্রমিক মো. নাদের (২০) লাশ উদ্ধার করেছে ডুবরিরা। সে ডুবে যাওয়া বাল্গহেটের স্টাফ ছিলেন। এই নিয়ে এই দুর্ঘটনায় জাহ্জা মালিক পিতাপুত্রসহ তিন জনের লাশ উদ্ধার হল।
ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা হেডকোয়াটার স্টেশন অফিসার মো. শামসুল হুদা জানান, জাহাজের ভিতর থেকে বুধবার সন্ধ্যায় শ্রমিকের লাশ উদ্ধার হয়। এর আগে দুপুরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরীরা বাল্গহেটের কেবিন থেকে মতিউর রহমানের পুত্র ব্যবসায়ী মো. মাসুমের (৪০) লাশ তুলে আনে। এর আগের দিন মঙ্গলবার বাল্গহেট মালিক পিতা মতিউর রহমানের (৬৫) লাশ দুর্ঘটনাস্থলের কাছে ভেসে উঠে। তবে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অপর পুত্র রাজধানীর পলিটেকনিক অ্যান্ড টেক্সটাইল কলেজের শিক্ষক মামুনুর রহমান মামুন (৩২)। প্রায় ১শ’ ফুট নিচে মেঘনার তলদেশে বালুর জাহাজটি রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে টানা বিকাল সাড়ে ৫ টা পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতা চাললেও নিখোঁজ শিক্ষক মামুনুর রহমান মামুনকে পাওয়া যায়নি। স্টেশন অফিসার মো. শামসুল হুদা জানান, বালুর জাহাজের ভেতরে আর কোন লাশ নেই। তবে ভেসে গিয়ে থাকতে পারে।
নিহত মতিউর রহমানের জামাতা বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ার সার্ভিস ব্যাচের অধিনায়ক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম জানান, এখনও তার শ্যালক এবং আরও দু’ শ্রমিকের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
সোমবার সন্ধ্যায় নতুন বাল্গহেটে বালু তোলার সময় লোট কুলাতে না পেরে ফেটে তলিয়ে যায়। নতুন বাল্গহেট চালু করায় উৎসাহবশতঃ মালিক দু’পুত্রসহ জাহাজটিতে ছিল। #
শীর্ষ সংবাদ: