ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

অপটিক্যাল ফাইবার কেবল স্থাপন কাজ শেষ পর্যায়ে

২৯০ উপজেলায় জুনের মধ্যে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছানোর উদ্যোগ

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

২৯০ উপজেলায় জুনের মধ্যে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছানোর উদ্যোগ

ফিরোজ মান্না ॥ এ বছরের জুনে ২৯০ উপজেলায় ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য ৪শ’ ৯৯ কোটি ১৪ লাখ টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে বিটিসিএল। টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক বিস্তার করা এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। নেটওয়ার্ক আধুনিকায়ন ও ইন্টারনেট সুবিধা বাড়ানোর জন্য অপটিক্যাল ফাইবার কেবল স্থাপনের কাজ প্রায় শেষের পথে। এখন যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হচ্ছে। বেসরকারী মোবাইল অপারেটররা সারাদেশে ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা দিলেও তা অনেক ব্যয়বহুল। এই সেবা সাধারণ মানুষের পক্ষে নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে গ্রাম পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবা দেয়ার জন্য এনএসএনভিত্তিক টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক স্থাপনের জন্য চীন প্রকল্পে সহযোগিতা দিচ্ছে চীন। সরকারী অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে। অপটিক্যাল ফাইবার কেবল সংযোগ স্থাপিত হলে গ্রাহকরা নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সুবিধা পাবেন। তখন শহর ও গ্রামের বৈষম্য অনেকাংশে দূর হবে। বিটিসিএল সূত্র জানিয়েছে, সারাদেশকে ইন্টারনেট সুবিধার আওতায় আনতে ‘অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক ডেভেলপমেন্ট এ্যাট উপজেলা লেভেল প্রজেক্ট’ নামের একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)। এ প্রকল্পের আওতায় ৭ বিভাগের ৬৪ জেলার ২৯০ উপজেলায় অপটিক্যাল ফাইবার কেবল বসানোর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। গত বছরের জুলাই মাসে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এই প্রকল্পের কাজ শেষ করার সময়সীমা ২০১৬ সালের ৩০ জুনে। প্রকল্পের আওতায় রয়েছে ঢাকা বিভাগের ১৬ জেলার ৬৭ উপজেলায়, চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলার ৫৯ উপজেলা, রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলার ৩৮ উপজেলা, খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ৩৭ উপজেলা, রংপুর বিভাগের ৮ জেলার ৪২ উপজেলায়, সিলেট বিভাগের ৪ জেলার ২৬ উপজেলা এবং বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার ২১ উপজেলায় অপটিক্যাল ফাইবার কেবল সংযোগ স্থাপন করা হবে। এদিকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) বাংলাফোন লিমিটেডকে সম্প্রতি একটি নোটিস দিয়েছে। ওই নোটিসে বলা হয়েছে, বাংলাফোন অবৈধভাবে এনটিটিএন সেবা দিচ্ছে। তাদের কোন এনটিটিএন লাইসেন্স নেই। তাদের কাছ থেকে অনেক প্রতিষ্ঠান ব্যান্ডউইথ কিনে ব্যবসা করে যাচ্ছে। বাংলাফোন লাইসেন্স নবায়ন না করায় গত বছরের ২২ এপ্রিল বাংলাফোনকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়। ফলে তাদের নেশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) সুবিধা পাবে না। এনটিটিএনের বৈধ লাইসেন্স রয়েছে, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ, ফাইবার এ্যাট হোম লিমিটেড, বাংলাদেশ রেলওয়ে ও সামিট কমিউনিকেশন। এর বাইরে আর কেউ এনটিটিএন সেবা দিতে পারবে না। যে সব প্রতিষ্ঠান বাংলাফোন থেকে সেবা নিচ্ছে তাদের অনতিবিলম্বে বিটিআরসির সঙ্গে যোগাযোগ করে বৈধ এনটিটিএন কোম্পানি থেকে ব্যান্ডউইথ নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যদি তা না করা হয় তাহলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন ২০০১ বিধান অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×