ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ এমপির এ কি কাণ্ড!

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ এমপির এ কি কাণ্ড!

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিকৃত ছবিসংবলিত ফেস্টুনে বিতর্কের ঝড় উঠেছে সংসদ সদস্য এমএ লতিফকে নিয়ে। গত ৩০ জানুয়ারি চিটাগাং চেম্বারের শতবর্ষ উদযাপন ও ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে স্বাগত জানিয়ে স্থাপিত ফেস্টুনগুলোর মধ্যে ছিল বঙ্গবন্ধুর বিকৃত ছবিও, যাতে মুখম-ল বঙ্গবন্ধুর হলেও শরীরের নিচের অংশ সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। অনেকেই এমপি লতিফের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। তবে সংসদ সদস্য এমএ লতিফ বলেন, এই ছবি আমার করা নয়, কেউ শত্রুতাবশত আমার নামে করে থাকতে পারে। যারাই করুক না কেন খুঁজে বের করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। চট্টগ্রামে গত ৩০ জানুয়ারি আগ্রাবাদ থেকে শুরু করে পতেঙ্গা পর্যন্ত এলাকায় সড়কের আইল্যান্ডে লাগানো হয় অনেকগুলো ফেস্টুন। এগুলোতে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি দিয়ে নিচে কবিতার লেখা হয় বিভিন্ন ধরনের সেøাগান। এর নিচে থাকে এমপি লতিফের নাম। তন্মধ্যে একটি ছবির দিকে দৃষ্টি আটকে যায় সাধারণ মানুষের। ওই ছবিতে দেখা যায় মুখম-ল বঙ্গবন্ধুর হলেও নিচের অংশ একেবারেই অসামঞ্জস্যপূর্ণ। বঙ্গবন্ধু পড়তেন ঢিলেঢালা পায়জামা। কিন্তু ছবিটির পায়জামা ছিল নিচে বর্ডারযুক্ত। এছাড়া পাঞ্জাবীর ঝুল অনেক লম্বা ও পায়ে হাল ফ্যাশনের কালো জুতো (স্নিকার)। এ ধরনের পরিচ্ছদ বঙ্গবন্ধু কখনই পড়তেন না। তাছাড়া দাঁড়ানোর স্টাইলও বঙ্গবন্ধুর নয়। এই ছবি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রামে। বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির অভিযোগে আওয়ামী লীগের কোন কোন নেতা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবির পাশাপাশি কেউ কেউ রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনে মামলা দায়েরের দাবি করেন। সংসদ সদস্য এমএ লতিফের কাছে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সাধারণত নেতার ছবি দিয়ে পোস্টার ছাপানো হয়ে থাকে কোন বেনিফিট লাভের আশায়। বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃত করে আমি কি বেনিফিট পাব? আমার ক্ষতি হয় এমন কাজ আমি কেন করব? একটি মহল আমাকে বিতর্কিত করতে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে চলেছে। এটিও সে ষড়যন্ত্রেরই ধারাবাহিকতা।আমি ঢাকায় রয়েছি, চট্টগ্রাম এলে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’ এমপি লতিফ আরও বলেন, একটি মহল সেই ২০০৮ সাল থেকেই আমার বিরুদ্ধে নানাভাবে লেগে আছে। তারা নতুন নতুন কৌশলে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের কোন এমপি বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃত করতে পারে এমন অভিযোগ কেউ বিশ্বাস করবে না। তারপরও এ ধরনের ফেস্টুন কিভাবে স্থাপিত হলো এ প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, যেহেতু আমি আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি সেহেতু দলের মধ্যে আমার বিরোধিরাও মিলেমিশে রয়েছে। তারা গর্হিত এ কাজটি করে থাকতে পারে। তাছাড়া এলাকায় কেউ আমার নাম ব্যবহার করে পোস্টার বানাতে পারে। কারা এ কাজটি করেছে তা নিশ্চয়ই অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসবে। এ ব্যাপারে তিনি কঠোর ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
×