ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

টেক্সটাইল শিল্পখাতকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেয়ার সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত: ২০:১৯, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

টেক্সটাইল শিল্পখাতকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেয়ার সিদ্ধান্ত

অর্থনৈতিক রিপোর্টার॥ স্বাধীনতার পর থেকেই নির্দিষ্ট কোনো মন্ত্রণালয়ের অধীনে ছিলো না দেশের বস্ত্রশিল্প। যে কারণে নতুন শিল্প কারখানা স্থাপন, উৎপাদন কিংবা রফতানি অনুমোদন পেতে উদ্যোক্তাদের পোহাতে হয়েছে সীমাহীন ভোগান্তি। আর এসব সমস্যা দূর করতেই সম্প্রতি টেক্সটাইল শিল্পখাতকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীনে আনতে নেয়া হয়েছে সরকারি সিদ্ধান্ত। তবে, শুধু নির্দিষ্ট মন্ত্রণালয় দিলেই হবে না বরং বস্ত্র খাতকে গতিশীল করতে দক্ষ জনবল আর গ্যাস বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে বিদ্যমান বাঁধা দূর করার পরামর্শ শিল্প মালিকদের। টেক্সটাইল শিল্পে বাংলাদেশের রয়েছে দীর্ঘ ইতিহাস, স্বাধীনতার আগে থেকেই এদেশে গড়ে ওঠে বেশ কয়েকটি কারখানা। কিন্তু পোশাক প্রস্তুতের সঙ্গে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পদচারণা শুরু হয় ১৯৮১ সালে ০.১ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানির মাধ্যমে। এরপরের গল্পটা শুধুই সাফল্যের, মাত্র ১০ বছরের ব্যবধানে ১৯৯১ সালে রফতানির পরিমাণ দাঁড়ায় ১ হাজার ৪শ ৪৫ মিলিয়ন ডলারে। সবশেষ ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এ খাত থেকে রফতানি আয় হয়েছে ২ হাজার ৫শ ৪৯ কোটি মার্কিন ডলার। তবে এতো সব সাফল্যের পেছনে বিরাট অবদান থাকলেও সমস্যাগ্রস্তই রয়ে গেছে দেশের টেক্সটাইল শিল্প। নতুন কোন কারখানা স্থাপন কিংবা রফতানির অনুমোদন, আনুষঙ্গিক কাজ সারতে এখনও উদ্যোক্তাদের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে ১৪টি মন্ত্রণালয়ের। স্বাভাবিকভাবেই ব্যবসায়ীদের ইঙ্গিত সব কাজ এক দপ্তরে নিয়ে আসার সরকারি সিদ্ধান্তের প্রয়োজনীয়তার দিকেই। যদিও এ অবস্থা নিরসনে শিগগিরই বস্ত্র আইন অনুমোদন দেয়ার পাশাপাশি টেক্সটাইল খাত সম্পর্কিত সব ধরণের সেবা বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় থেকেই দেয়া হবে বলে জানান বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম। বর্তমানে সারাদেশের ৯ হাজার ৪০টি টেক্সটাইল মিলে কর্মসংস্থান হচ্ছে ১০ লাখের বেশি মানুষের, আর এ খাতে বাৎসরিক মোট বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকায়। ##
×