ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ফিফা সভাপতি নির্বাচন

ইনফ্যান্টিনোর সমর্থনে মরিনহো-ফিগো

প্রকাশিত: ০৭:১৬, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

ইনফ্যান্টিনোর সমর্থনে মরিনহো-ফিগো

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্ব ফুটবল পরিবর্তনের মাসে পদার্পণ করেছে। কারণ এ মাসেই বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার কর্তৃত্ব বর্তাবে নতুন কারও কাঁধে। সেপ ব্লাটার যুগের অবসান ঘটেছে দীর্ঘদিন পর দুর্নীতির অভিযোগে গত বছর অপসারিত হওয়ার কারণে। ২৬ ফেব্রুয়ারি জুরিখে বিশেষ কংগ্রেসের ভোটাভুটিতে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবে। অনেক আগে থেকেই প্রার্থীরা নিজেদের সমর্থন বাড়াতে তৎপর হয়েছেন। জিয়ান্নি ইনফ্যান্টিনো একদিন আগেই লন্ডনের বিখ্যাত ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে প্রচারে অংশ হিসেবে একটি ইভেন্ট আয়োজন করেছিলেন। আর সেই মঞ্চে তাকে সমর্থন দিতে উপস্থিত ছিলেন রিয়াল মাদ্রিদ ও চেলসির সাবেক পর্তুগীজ কোচ জোশে মরিনহো। এছাড়া সাবেক তারকা ফুটবলাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় নাম হিসেবে ছিলেন সাবেক পর্তুগীজ ফরোয়ার্ড লুইস ফিগোও। ইনফ্যান্টিনো জানিয়েছেন তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ইউরোপের বাইরে থেকে ফিফার বড় পর্যায়ে দায়িত্ব দেবেন এবং নারী নেতৃত্ব বাড়াবেন। বর্তমানে ইউরোপের ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফার জেনারেল সেক্রেটারি ৪৫ বছর বয়সী ইনফ্যান্টিনো। এবার নতুন সভাপতির জন্য প্রথম পরীক্ষা হবে ৯০ দিনের মাথায় ইউরোপিয়ান ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপস। আর সে কারণেই ওয়েম্বলিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ইউরো আয়োজক ফ্রান্সের উজ্জ্বল নক্ষত্রদের আধিক্য দেখা গেল মঞ্চে। আর এর মধ্যে উজ্জ্বলতম ও গুরুত্বপূর্ণ দুটি নাম মরিনহো ও ফিগো। গত ফিফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে একজন প্রার্থী ছিলেন ফিগো। এবার তিনি ইনফ্যান্টিনোর পেছনে। এছাড়াও ছিলেন সাবেক এসি মিলান ও ইংল্যান্ড কোচ ফ্যাবিও কাপেলো, ব্রাজিলের তারকা রবার্তো কার্লোস এবং সাবেক স্প্যানিশ অধিনায়ক ফার্নান্দো হিয়েরো। ফিফা সম্প্রতি যে সঙ্কটের মধ্যে আছে সেটার বর্ণনা দিয়ে ইনফ্যান্টিনো বলেন, ‘আমার মূল কাজ হবে ফিফাতে ফুটবলের মর্যাদাটা ফিরিয়ে আনা এবং ফুটবলে ফিফার মর্যাদা সমুন্নত করা। ফিফার ভাবমূর্তি আরও বাড়াতে হবে এবং আবার শীর্ষস্থানীয় পর্যায়ের সংস্থায় পরিণত করতে হবে। আমরা সেটা পারব যদি ফুটবল আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসে জড়িয়ে থাকে এবং আমরা ২ হাজার শতাংশ কাজ করে বাঁচি। যেসব কিংবদন্তি এখানে আছেন তারাই এর প্রমাণ যে আমাদের ভালবাসা আছে ফুটবলের প্রতি।’ অনুষ্ঠান শেষে সাবেক পর্তুগীজ তারকা ফিগো বলেন, ‘আমি মনে করি এই মুহূর্তে আমরা খুবই সঙ্কটকালে আছি। মানুষের ভেবে দেখা জরুরী হয়ে পড়েছে যে এই অবস্থার মধ্যেই সবকিছু চলমান থাকবে নাকি তারা পরিবর্তন দেখতে চায়। অন্য প্রার্থীদের দিকে নজর দিলে আপনারা বুঝতে পারবেন যে তিনিই (ইনফ্যান্টিনো) সেই পরিবর্তনের জন্য উপযুক্ত ব্যক্তি।’ ইনফ্যান্টিনোর বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আছেন এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) সাবেক প্রেসিডেন্ট বাহরাইনের শেখ সালমান বিন ইব্রাহিম আল খলিফা, দক্ষিণ আফ্রিকার ধনকুবের ব্যবসায়ী টোকিও সেক্সওয়েল, জর্দানের সাবেক ফিফা সভাপতি প্রিন্স আলী বিন হুসেন এবং সাবেক ফিফা কর্মকর্তা ফ্রান্সের জেরেমি শ্যাম্পেন। ইনফ্যান্টিনো চাইছেন এবার নির্বাচিত হতে পারলে ফিফা জেনারেল সেক্রেটারি পদে একজন ইউরোপের বাইরের কোন উপযুক্ত ব্যক্তিকে আসীন করবেন। দুর্নীতির দায়ে এ পদ থেকে বরখাস্ত হন জেরেমি ভ্যালকে। সুইজারল্যান্ডের ফুটবল ব্যক্তিত্ব ইনফ্যান্টিনো জানিয়েছিলেন তিনি উয়েফার ম্যাচ ফিক্সিং ও দুর্নীতি তদন্ত পরিচালনা শুরুর পর থেকেই হত্যা হুমকি পেয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি জীবনের ওপর হুমকি পেয়েছি। এমনকি আমার পরিবারকেও হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। কারণ উয়েফা ম্যাচ ফিক্সিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। আমাকে এমনকি পুলিশী প্রহরায় নিজের সন্তানদের নিরাপত্তা দিতে হয়েছে।’
×