ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাগেরহাটে গলদা রেণুর অভাব ॥ বিপাকে চাষী

প্রকাশিত: ০৬:৩২, ১৩ জানুয়ারি ২০১৬

বাগেরহাটে গলদা রেণুর  অভাব ॥ বিপাকে চাষী

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ বাগেরহাটে মানসম্মত রেণু পোনার অভাবে গলদা চিংড়ি চাষীরা কাক্সিক্ষত উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। প্রাকৃতিক উৎস থেকে রেণু পোনা আহরণ সরকারীভাবে নিষিদ্ধ থাকার কারণে হ্যাচারীর অপুষ্ট ও দুর্বল রেণু পোনা চাষ করে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন চাষীরা। মৎস্য বিভাগ বলছে, সরকারীভাবে স্বাদু পানির রেণু উৎপাদনে জেলায় জেলায় প্রকল্প রয়েছে। ওই প্রকল্পের মাধ্যমে উৎপাদিত মানসম্মত পোনা সরবরাহ করতে পারলে চিংড়ি চাষীদের সমস্যা সমাধান হবে। জানা গেছে, বাগেরহাটের ফকিরহাট, চিতলমারী ও মোল্লাহাট উপজেলায় সবচেয়ে বেশি পরিমাণে গলদা চিংড়ির চাষ করা হয়। এসব এলাকার হাজার হাজার চিংড়ি চাষীদের প্রতিবছর কয়েক কোটি রেণু পোনার চাহিদা রয়েছে। কিন্তু প্রাকৃতিক উৎস নদ-নদী থেকে রেণু পোনা আহরণ বন্ধ থাকায় এবং সরকারীভাবে উৎপাদিত রেণু পোনা চাহিদা মেটাতে না পারায় বেসরকারী হ্যাচারী থেকে উৎপাদিত অপুষ্ট ও গুণগত মানহীন পোনা চাষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন চাষীরা। চাষীরা বলছেন, প্রাকৃতিক উৎস্য থেকে আহরিত রেণুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি, দীর্ঘদিন বাঁচে, অনেক বড় হয় এবং গুণগত মানসম্মত হওয়ায় চাষে উৎপাদন ভাল হয়। কিন্তু হ্যাচারীর পোনার গুণগত মান খারাপ হওয়ায় ঘেরে গলদা মারা যায় এবং উৎপাদন ভাল হয় না। গুণগত মানসম্মত রেণুর অভাবে দুর্বল হ্যাচারীর পোনা চাষ করে ক্ষতির শিকার হচ্ছে। ফকিরহাটের গলদা চিংড়ি চাষী রহমত আলী বলেন, ‘হ্যাচারীর রেণু চাষে খরচ খুব বেশি হয়। আড়াই হাজার রেণু পোনা কিনে ঘেরে ছাড়লে এর ভেতর ৮-৯শ’ রেণু পানির সঙ্গে মানাতে না পেরে মারা যায়। হ্যাচারীর রেণু পোনার খাবারের পরিমাণ বেশি দরকার হয়। এছাড়া শীত মৌসুমে এই গলদা তাপমাত্রার কারণে মারা যায়’। ফকিরহাট উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ইফতেখারুল আলম জানান, মৎস্য সংরক্ষণ আইনে নদী থেকে গলদার রেণু আহরণ নিষেধ রয়েছে। কারণ নদী থেকে রেণু সংগ্রহ করতে গিয়ে রেণু আহরণবারীরা অন্য মাছের অনেক পোনা নষ্ট করে ফেলে। সরকারীভাবে স্বাদু পানির রেণু উৎপাদনে জেলায় জেলায় প্রকল্প রয়েছে। তবে ওই প্রকল্পের মাধ্যমে উৎপাদিত রেণু চাহিদার ২০ ভাগ ও মেটাতে পারে না। সম্প্রতি সরকারী রেণু উৎপাদন কেন্দ্রে রেণুর বাড়াতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে।
×