ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কারখানা সরিয়ে নিতে আরও সময় চান ট্যানারি মালিকরা

প্রকাশিত: ০৬:২৭, ১৩ জানুয়ারি ২০১৬

কারখানা সরিয়ে নিতে আরও সময় চান ট্যানারি মালিকরা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সরকার ট্যানারি মালিকদের সাভার চামড়া শিল্প পার্কে কারখানা সরিয়ে নিতে দফায় দফায় আল্টিমেটাম দিলেও এখনও পর্যন্ত শেষ হয়নি কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার নির্মাণ কাজ। এমনকি মেলেনি সরকার ঘোষিত ক্ষতিপূরণের পুরো অর্থও। এমন অবস্থায় ৭২ ঘণ্টার নোটিসে হাজারীবাগ থেকে সব ট্যানারি সরিয়ে নেয়ার সরকারী ঘোষণাকে অযৌক্তিক বলছেন চামড়া শিল্প মালিকরা। তবে, অর্থনীতিবিদরা বলছেন ক্ষতিপূরণ না দিয়ে সরকারের উচিত মালিকপক্ষকে ঋণ দেয়া। ২০০৩ সালে অনুমোদনের পর দফায় দফায় মেয়াদ বেড়েছে সাভারের হরিণধরায় নির্মাণাধীন চামড়া শিল্পনগরীর। সবশেষ হাজারীবাগ থেকে কারখানা সরিয়ে নিতে ২০১৫ সালের ৩০ জুন ছিলো বর্তমান সরকারের বেঁধে দেয়া সময়সীমার শেষ দিন। কিন্তু তাতেও কোন লাভ না হওয়ায় সে বছর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবারও সময় দেয়া হয় মালিকপক্ষকে। যদিও শিল্পনগরীতে সিইটিপির ৪টি মডিউলের কোনটিই ব্যবহারযোগ্য হয়নি এখনও, পাশাপাশি ১৫৫টি ট্যানারির মধ্যে মূল কারখানা ভবন তৈরি হয়েছে মাত্র ৫৬টির। এ অবস্থায়, রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, হাজারিবাগ থেকে কারখানা সরিয়ে নিতে মালিকপক্ষের হাতে আছে মাত্র ৭২ ঘণ্টা তবে, সরকারের আকস্মিক এমন সিদ্ধান্ত মানতে পারছেন না ট্যানারি মালিকরা। এক্ষেত্রে সরকারের কাছে ভুল তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে বলেও দাবি তাদের। অসমাপ্ত সিইটিপি আর ঝুলে থাকা ক্ষতিপূরণই শিল্প স্থানান্তরে বড় বাধা বলেও মত তাদের। যদিও, তড়িঘড়ি না করে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার কারখানা সরিয়ে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা, পাশাপাশি শিল্প স্থানান্তর বাবদ মালিকপক্ষকে ক্ষতিপূরণ নয় ঋণ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘৭২ ঘণ্টার মধ্যে একটি কারখানাকে স্থানান্তর করা বাস্তবসম্মত নয়।’ তবে এখনও মৌখিক কিংবা লিখিত সরকারী কোন আদেশ পাননি মালিকপক্ষ, যে কারণে শিল্পনগরী চালু করতে আরও সময় মিলবে বলেও গুঞ্জন রয়েছে ট্যানারিপল্লীতে।
×