ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ১২ জানুয়ারি ২০১৬

ঢাকার দিনরাত

জীবনে যেমন রয়েছে ছন্দ ও ছন্দপতন, সুখ ও দুঃখ, গতানুগতিকতা ও নাটকীয়তা- তেমনি ঢাকার জীবনপ্রবাহেও রয়েছে সঙ্গতি ও অসঙ্গতি, প্রথাবদ্ধতা ও অনিয়ম, সুস্থতা ও অস্বাভাবিকতা। কে ভেবেছিল নতুন বছরের শুরুতেই ভূমিকম্পে কেঁপে উঠবে ঢাকা, একটা উটকো হরতাল ঘোষিত হবে, ৫ জানুয়ারি পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী দেয়া হবে? যাক, বড় ধরনের সমস্যা বা ক্ষতি কোনটাই শেষ পর্যন্ত নগরবাসীর সামনে এসে দাঁড়ায়নি। মেট্রোরেলের রুট নিয়ে বিতর্ক ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডনে বিশ্বের প্রথম পাতাল রেলস্টেশনটি নির্মিত হয়েছিল এখন থেকে দেড় শ’ বছরেরও বেশি আগে। ১৮৬৩ সালের ৯ জানুয়ারি লন্ডন টিউব রেলওয়ে যাত্রা শুরু করে। উদ্বোধনের পরদিন অর্থাৎ ১০ জানুয়ারি প্রথম যাত্রী পরিবহন শুরু হয়। ঢাকায় পাতাল রেল হবেÑ এমন কথাবার্তা এবার জোরেশোরেই শোনা যাচ্ছে। তবে তার আগে মাটির ওপর দিয়ে মেট্রোরেলের যাত্রা শুরু হওয়ার কথা। যদিও রুট নিয়ে বার বার এই প্রকল্পটি বাধার মুখে পড়ছে। বিমানবাহিনীর আপত্তির কারণে ইতোমধ্যে একবার রুট পরিবর্তন করা হয়েছে। গত সপ্তাহে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছে। তাদের বক্তব্য, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বুক চিরে মেট্রোরেল করার মাধ্যমে শিক্ষার পরিবেশকে বিনষ্ট করার পাঁয়তারা চলছে।’ সমাজবিজ্ঞান বিভাগের একজন তরুণ শিক্ষক মন্তব্য করেছেন, ‘আমরা উন্নয়নের বিপক্ষে নই, আমরা মেট্রোরেল চাই। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যকে ধ্বংস করে নয়।’ কথা হচ্ছে ইংল্যান্ড-আমেরিকার মতো দেশে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় লাগোয়াই রয়েছে রেলস্টেশন। এমনকি ক্যাম্পাসের মধ্যেও রেলস্টেশন আছে। তাই ইতোমধ্যে রুট পরিবর্তনের বক্তব্যের যৌক্তিকতা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। অনেকেই বলছেন, এই রেল হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বরং উপকারই হবে; আর এমন কোনো বড় প্রাচীন স্থাপনা ভাঙতে হবে না। যাহোক, দু’দিকের যুক্তিরই চুলচেরা বিশ্লেষণ দরকার। অনেক দেরি হয়ে গেছে, মেট্রোরেলের কাজ দ্রুত শুরু হোক। মানবজীবনকে সহজ ও গতিশীল করার জন্য কোনো উদ্যোগ গৃহীত হলে প্রথমদিকে কিছু প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়, এটা সত্য। কিছু কিছু সমস্যা হয়, ক্ষতি ও ত্যাগ স্বীকারেরও প্রয়োজন পড়ে। হাওয়া থেকে তো কিছু তৈরি হয় না। মেট্রোরেল চালু করতে হলে রেলপথ বসাতে হবে, এই পথ আবার শূন্যে। তার ওপর যাত্রী ওঠানামার জন্য স্টেশনের প্রয়োজন পড়বে। এসব মহাকাজের জন্য জায়গা চাই, টাকা চাই। সর্বোপরি বাধাবিঘœতা উজিয়ে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাওয়া চাই। এসব বাস্তবতাকে পাশ কাটিয়ে কি আমরা উন্নতি করতে পারব? প্রস্তাবিত ঢাকা মেট্রোরেলের কিছু ছবি দেখছিলাম ইন্টারনেটে। দেখে মন ভরে ওঠে। দেশে প্রথমবারের মতো মেট্রোরেল চলবে। এই সোপান বেয়ে আগামীতে আমরা নিশ্চয়ই মাটির নিচ দিয়েও দ্রুতগতির রেল চলতে দেখব। ঢাকায় নাগরিক যোগাযোগ অনেকটাই সহজ হয়ে উঠবে। ধানমন্ডির কন্যাটি অফিস শেষে উত্তরায় তার জননীর সঙ্গে দু’দ- গল্প করে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে আবার ফিরতে পারবে নিজের বাসায়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হবে না যানজটে। ভূমিকম্পে প্রস্তুতি গত বছরের এপ্রিলে হয়েছিল ভূমিকম্প, এবার জানুয়ারিতে। তবে আগের তুলনায় একটু শক্তিশালী। আগের সোমবার উপর্যুপরি ভূমিকম্পে বিরাট আকারের কোন ক্ষতি না হলেও গোটা দেশের মানুষকে তা ক্ষণিকের জন্য কাঁপিয়ে দিয়ে গেছে। বিশেষ করে বিপুল জনঅধ্যুষিত ঢাকার বিভিন্ন এলাকার বহু মানুষের হৃদকম্পের কারণ হয়েছে এই ভূমিকম্প। এবারের ভূমিকম্পটি অনেকের মনেই আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এই দুর্ভাবনা মানুষের মনে স্থায়ী হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না। বিপদে পড়লে মানুষ তার স্বাভাবিক প্রবৃত্তি অনুযায়ী তা থেকে পরিত্রাণের পথ খোঁজে। আর বিপদের আশঙ্কা থাকলে মানুষের ভেতর সচেতনতা বৃদ্ধির তাগিদ তৈরি হয়। কিন্তু এর চেয়ে উচ্চমাত্রার ও দীর্ঘস্থায়ী ভূকম্পন হলে কী পরিমাণ ক্ষতি হবে তা কল্পনা করতেও শিউরে উঠতে হয়। বিশেষ করে ঘনবসতির এই রাজধানীতে মাত্রাতিরিক্ত বহুতল ভবনের জঙ্গলে বড় ধরনের ভূমিকম্প রীতিমতো কেয়ামত ঘটিয়ে ফেলতে পারে। ঢাকার কোন একটি ক্ষুদ্র এলাকাতেও যদি ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প হয় তাহলে ভবনে ভবনে আটকে পড়া লোকদের উদ্ধার করা ভীষণ জটিল এক দুঃসাধ্য কর্ম হয়ে উঠতে পারে। তাই অবশ্যই জরুরী প্রস্তুতি থাকা চাই। বিশ্ব এজতেমা ঢাকা গত সপ্তাহে লাখ লাখ নতুন অতিথি পেয়েছে। এই ধারা চলতি সপ্তাহেও বজায় থাকবে। বলছি বিশ্ব এজতেমার কথা। জঙ্গী আক্রমণের আশঙ্কা উপেক্ষা করেছেন লাখো মুসল্লি। রাজধানীতে গণপরিবহনের স্বল্পতা নিয়ে মহাভোগান্তি থাকে। এজতেমা শুরুর আগের দিনে ও রাতে টঙ্গী অভিমুখে মুসল্লিদের যাত্রা শুরু হয়। ফলে কর্মসূত্রে যেসব নগরবাসী ঘরের বাইরে বেরোন তাদের ঘরে ফেরা অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়ে। বিশেষ করে ঢাকার দক্ষিণ প্রান্তে (মতিঝিল ও ধানম-ি রুটে) যেসব কর্মজীবী আসেন উত্তরপ্রান্ত থেকে, কাজ শেষে বাড়ি ফিরতে গিয়ে পরিবহন সঙ্কটে পড়নে তারা। অধিকাংশ গণপরিবহন তখন মুসল্লিদের পরিবহন করে থাকে, লোকাল গাড়িও সিটিং হয়ে যায়। ফলে দাঁড়িয়ে বা ঝুলে গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর সুযোগ সীমিত হয়ে পড়ে। এবারও যেভাবেই পারুক মানুষ এজতেমায় যোগ দিয়েছে। প্রশাসন থেকে অবশ্য যোগাযোগের ক্ষেত্রে কিছুটা সহযোগিতা দেয়া হয়েছে। গত বছর আখেরি মোনাজাতের আগের সন্ধ্যায় জনকণ্ঠ ভবন থেকে উত্তরায় ফেরার পথে মহাখালীতে দেখেছি প্রশাসনের পক্ষ থেকে মিনিবাস রাখা ছিল টঙ্গীতে এজতেমায় যোগদানকারীদের জন্য। এবার অবশ্য এমনটা চোখে পড়েনি। কারণ এবার আরও দূর স্টপেজে গাড়ি রিজার্ভ রাখা ছিল। এজতেমার সমাবেশ নিয়ে বলতে গেলে বলতে হবে- এবারও যথারীতি পার্শ্ববর্তী এলাকাজুড়ে বাসাবাড়ি, কলকারখানা, অফিস, দোকান ও যানবাহনের ছাদে অবস্থান নেন মুসল্লিরা। জরিমানা বাঙালীর সুনাম আছে অতিথি আপ্যায়নের। অতিথিকে মিষ্টিমুখ করানোতেও সে সুখ খুঁজে পেত। পেত বলছি কেন! এখন পায় না? হয়ত পায়। কিন্তু বাঙালী ব্যবসায়ী শ্রেণী, বিশেষ করে মিষ্টি তৈরির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা স্বজাতিকে ‘মিষ্টিমুখ’ করানোর বদলে রাসায়নিক গেলাচ্ছে হরদমÑ সেটিও বলা দরকার। এই তো গত সপ্তাহে রাজধানীর কয়েকটি বেকারি ও মিষ্টান্ন ভাণ্ডারকে প্রশাসন জরিমানা করল কাপড়ের রং মিশিয়ে দই-মিষ্টি-লাড্ডু তৈরি এবং কাপড়ে ব্যবহার করার বিষাক্ত রং আবার ঘি ও বনস্পতি তেলে মিশিয়ে বাজারে বিক্রি করার জন্য। বেকারির কেক ও বিস্কুটে মেশানো হয়েছে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ঘন চিনি। সত্যি সৃজনশীলতায় বাঙালীর তুলনা নেই। ‘ঝাড়ুদারের’ ফ্ল্যাট ঢাকায় নানা অবৈধ উপায়ে উপার্জন করে বহু লোক ফ্ল্যাটের মালিক হয়েছেন। সেই সব আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়াদের কথা নয়, বলছি শ্রম দিয়ে কর্তৃপক্ষের আস্থা অর্জন করে ফ্ল্যাটের মালিক হওয়ার বিষয়। সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের ‘ঝাড়ুদার’ বলেই সম্বোধন করে থাকেন ‘অভিজাত’ নগরবাসীরা। বলাবাহুল্য, এদের একবেলা অনুপস্থিতিতে কিংবা কর্মবিরতিতে নাগরিকদের কী দশা হবে তা কল্পনা করতেও নাক-মুখ কুঁচকে আসে। এই সব পরিচ্ছন্নতাকর্মীর ভেতর ১৮০ জনের বরাত খুলেছে সম্প্রতি। হাজারীবাগের গণকটুলির সিটি কলোনিতে নির্মিত তিনটি ছয়তলা ভবনের ফ্ল্যাটের প্রতীকী চাবি প্রদান করা হয় গত সপ্তাহে। অনুষ্ঠানে মেয়র সাঈদ খোকন তার অভিনব একটি অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, কিছু পরিচ্ছন্নতাকর্মী সিটি কর্পোরেশন থেকে চাকরি নিয়ে অন্য আরেকজনকে কম টাকা দিয়ে নিজের কাজ করাচ্ছেন। এদের মেয়র সাবধান করে দেন। একটি কথা না বললেই নয়। মহানগরীর সড়ক পরিচ্ছন্ন রাখেন, ঝাড়ু দেন এবং বর্জ্য অপসারণ করেন যেসব পরিচ্ছন্নতাকর্মী তাদের কর্মঝুঁকির কথা আমরা ভাবি না। দুর্গন্ধ সয়ে, নাকেমুখেচোখে ধুলোর অত্যাচার সয়ে তারা নগরের সুস্থতা রক্ষায় কাজ করে চলেন। এদের আবাসন ও চিকিৎসার বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিই না। এদের মুখের দিকে আমরা ফিরেও তাকাই না; এদের কাজ আমরা দেখেও দেখি না। তাই এদের চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান এদের জন্য কিছু করলে অবশ্যই আমাদের প্রশংসা পাবেন। কিন্তু আমাদেরও যে কিছু করণীয় রয়েছে, সেটাও যেন আমরা মনে রাখি। হ্যান্ডমাইক নিয়ে দুই বোন হ্যান্ডমাইকের বিচিত্র ব্যবহার করেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। অনেক হকার আবার লাইভ ক্যানভাসের ঝক্কিতেও যেতে নারাজ। তারা সিডি প্লে করেন। এই প্রথম দেখলাম সাহায্যপ্রার্থীরাও (ভিক্ষুক বলা অনুচিত!) হ্যান্ডমাইক ব্যবহার করছেন। আখেরি মোনাজাতের পর উত্তরার আবাসিক ফ্ল্যাটগুলোর সামনে চলে এলো দুই বোন। হাতে মাইক। ‘আমরা এতিম, এক বোন অন্ধ, সাহায্য দেন।’ তাকিয়ে দেখি উঁচু ভবনের দিকে অস্থির চোখ রেখে বড় বোনটি শুদ্ধ বাংলায় বাসিন্দাদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে চলেছেন। সৌন্দর্যবর্ধন সম্প্রতি ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে কিছু কিছু নতুন স্থাপনার কাজ চলছে। নগরীর আকর্ষণ বাড়ানোর জন্যই এসব উদ্যোগ। দোয়েল চত্বরে সাজসজ্জা চলছে। সামনের মাসেই বইমেলা। ফলে এটি মেলাপ্রেমীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। তবে বিশেষ উপলক্ষে নয়, সারা বছরই পরিকল্পনামাফিক সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ হাতে নিতে পারে ডিসিসি। শাহবাগের মোড়ে জাদুঘরের সামনে ত্রিভূজাকৃতির স্থাপনা ইতোমধ্যেই নজর কেড়েছে। কাজটি যদিও এখনও শেষ হয়নি। স্থাপনার তিনদিকেই থাকছে বিশাল এলইডি স্ক্রিন। বিচিত্র এনিমেশন ও ছবি এখানে প্রদর্শিত হওয়ার কথা। বিউটিফেকেশনের বাংলা করা হয়েছে সৌন্দর্যবর্ধন। নানা উপলক্ষে রাজধানীর কোন কোন এলাকায় কিছু স্থাপনা নির্মাণ করা হয়Ñ এটাকেই আমরা সৌন্দর্যবর্ধন বলে থাকি। রাজধানীর যত্রতত্র যে অপরিচ্ছন্নতা ও অসৌন্দর্য, অনিয়ম বিরাজ করছে, অরুচির ছড়াছড়ি যেখানে, সেখানে নির্দিষ্ট কিছু স্থানে সুন্দর কিছু একটা তৈরি করলে তা যে প্রকৃত সৌন্দর্যবর্ধন হয় নাÑ বলাই বাহুল্য। বিষয়টি অনেকটা নারীর অসম্পূর্ণ সৌন্দর্যচর্চার সঙ্গে তুলনা দিতে পারি। সারা মুখাবয়বে প্রসাধন না করে যদি অধরযুগলের অর্ধেকটা রঞ্জিত করা হয় তাহলে সেটি কি ভাল দেখাবে? অতীতে আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা খুব সুখকর নয়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেট উপলক্ষে রাজধানীতে সৌন্দর্যবর্ধনের নামে কিছু অপচয়ও আমরা দেখেছি। নগরের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য মিরপুরের অনেক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। ভাল সড়কে নতুন করে কার্পেটিং করা হয়েছে। অন্যদিকে, ভাঙাচোরা সড়কগুলো সংস্কারের কোন উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায়নি। সড়ক বিভাজকের ওপর বসানো লোহার গ্রিল উঠিয়ে ইটের স্থাপনা নির্মাণের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। ব্যস্ততম সড়কে এ ধরনের স্থাপনা শুধু নগরের সৌন্দর্যহানিই ঘটায় না, জনগণের চলাচলেও সমস্যা তৈরি করে। প্রয়োজনীয় তদারক, যতœ ও সংস্কারের অভাবে হারিয়ে যেতে পারে নব স্থাপিত সব সৌন্দর্য। আসলে সৌন্দর্যবর্ধনের প্রকল্পগুলো নিয়মিত তদারক ও সংস্কারের জন্য বিশেষ কোন তহবিল নেই। নেই জনবলও। ফলে এগুলোর দেখভাল করা হয়ে ওঠে না। সৌন্দর্যবর্ধনের বা বলা ভাল অসুন্দরতা হ্রাসের কাজ করতে গেলে এসব বিষয় নিয়ে ভাবতে হবে। প্রিয় মেয়র, আপনাকেই বলছি ফুটপাথের ওপর খোলা বা ভাঙ্গা ম্যানহোল থাকা যে কত বিপজ্জনক তা ভুক্তভোগীমাত্রই জানেন। লেখার সঙ্গে প্রকাশিত ছবিটি উত্তরার ৩ সেক্টরের ৭ নম্বর রোডের ফুটপাথের। প্রিয় মেয়র, চলতি সপ্তাহে উত্তরার সব সেক্টর না হোক, অন্তত ৭টি সেক্টরের ফুটপাথের ওপর জুড়ে থাকা এসব ফাঁদ থেকে মুক্তি পাওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিন। ১০ জানুয়ারি ২০১৬ সধৎঁভৎধরযধহ৭১@মসধরষ.পড়স
×