ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ব্যানারে ঢেকে গেল পাহাড়তলী রেল কারখানার পরিচয়

প্রকাশিত: ০৭:০৪, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫

ব্যানারে ঢেকে গেল পাহাড়তলী রেল কারখানার পরিচয়

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ পাহাড়তলীর রেলওয়ে কারখানার প্রবেশদ্বার সংলগ্ন আরএনবি ও শ্রমিকদের গেটে ঝুলানো হয়েছে বিশাল ব্যানার। এ ব্যানারের মাধ্যমে অসাধু কর্মচারীদের রাজনৈতিক পরিচয়ে নিজেদের জাহির করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারী দফতরের প্রাচীরের ভেতরে রাজনৈতিক নাম ব্যবহার করে এ ধরনের বিশাল ব্যানার টাঙানোর ফলে বিতর্কিত হচ্ছেন দফতরের শীর্ষ কর্মকর্তারা। বিজয় দিবস পার হওয়ার সাতদিন অতিবাহিত হলেও ব্যানারটি এখনও দফতর আঙ্গিনায় সাঁটানো রয়েছে পেশীশক্তির কারণে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব নেতাকর্মীর ছবি ওই ব্যানারে রয়েছে তারা মূলত রাজনৈতিক কর্মকা-ের নামে অফিস ফাঁকি, চাকরির তদ্বিরসহ নানা ধরনের অবৈধ কর্মকা-ের সঙ্গে জড়িত। দিনের পর দিন অফিস ফাঁকি দিয়ে রেলের বিভিন্ন দফতর ঘেরাওসহ নানা ধরনের রাজনৈতিক কর্মকা-ে মেতে থাকেন এসব কর্মচারী ও শ্রমিকরা। গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে প্রায় ৩শ’ বর্গফুটের ব্যানারটি কারখানা গেটের ভেতরে স্থাপনের ফলে সরকারী দফতরের পরিবেশ নষ্ট হয়েছে বলে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পেশীশক্তির ব্যবহার করা এসব শ্রমিক নেতাকর্মীরা নিজেদের জাহির করতে অপতৎপরতা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ কর্মকর্তাদের। এমনকি হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে পচে গলে বিনষ্ট না হওয়া পর্যন্ত কেউ যেন এটি নামানোর চেষ্টা না করে। এ বিষয়ে ওই দফতরের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাতের আঁধারেই এ ধরনের ব্যানার সাঁটানো হয়েছে দফতর আঙ্গিনায়। যা দূর থেকে দফতরকে কলুষিত করা হয়েছে। কারণ, কারখানার আঙ্গিনার ভেতরে এ ধরনের রাজনৈতিক প্রচারাভিযান চালানোর কোন নির্দেশনা সরকারের পক্ষ থেকেও নেই। কিন্তু অবৈধ হস্তক্ষেপ করে আরএনবি কর্মকর্তাদের দমিয়ে এই ব্যানারটি সাঁটানো হয়েছে। এমনকি এ ব্যানারটি যদি কেউ সরিয়ে নিতে চায় সেক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। তথ্য গোপন রেখে দ্বিতীয় বিয়ের চেষ্টা ॥ বরকে জুতা পেটা নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী (বরগুনা), ২৩ ডিসেম্বর ॥ বরগুনার আমতলী উপজেলার কালিপুরা গ্রামের নুর আলম তালুকাদারের ছেলে হাবিনুর তালুকদার দ্বিতীয় বিয়ে করতে আমতলী কাজী অফিসে এলে জুতা পেটায় ভেঙ্গে যায় বিয়ে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে। জানা গেছে, হাবিনুর তালুকদার তার প্রথম স্ত্রী ও দুটি শিশু সন্তানের তথ্য গোপন রেখে বাবা নুর আলম তালুকদারকে সঙ্গে নিয়ে আমতলী কাজী অফিসে দ্বিতীয় বিয়ে করতে আসে। এ সময় কাজী তার প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের কাগজপত্র দেখতে চাইলে সে তা দেখাতে ব্যর্থ হয়। এ ঘটনা ফাঁস হয়ে পড়লে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ কাজী অফিসে ছুটে এলে বাবা নুরে আলম তালুকদার ও ছেলে হাবিনুরকে স্কুল শিক্ষক আনোয়ার হোসেন মন্টু বেধড়ক জুতাপেটা করেছে। পরে তারা নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়াতে বিয়ে ভেঙ্গে যায়। এ ঘটনা দেখে কনের পক্ষের লোকজন বিয়ে ভেঙ্গে চলে যায়। আমতলী উপজেলা নিকাহ রেজিস্ট্রার মাওঃ শাহ আলম জানান, প্রথম স্ত্রী ও সন্তান থাকা অবস্থায় দ্বিতীয় বিয়ে করতে এসে তথ্য গোপন করায় আমি এ বিবাহ রেজিস্ট্রি করিনি। স্কুল শিক্ষক আনোয়ার হোসেন মন্টু বলেন প্রথমা স্ত্রী ও তার দু’সন্তান রেখে গোপনে বিয়ে করতে আমতলী কাজী অফিসে আসে। এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ছেলে ও তার বাবাকে জুতো পেটা করে বিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছি। ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম স্বপন জানান, কনে আমার এলাকার এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছি।
×