ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পাকিস্তানী পেসারের নিউজিল্যান্ড সফর নিয়ে সংশয়

জেল খাটায় ভিসা জটিলতায় আমির

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫

জেল খাটায় ভিসা জটিলতায় আমির

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ তীরে এসেও যেন তরীটা ডুবতে চলেছে। নিষেধাজ্ঞা ওঠার পর ঘরোয়া ক্রিকেটে বল হাতে আগুন ঝরাচ্ছেন মোহাম্মদ আমির। ডাক পেয়েছেন জাতীয় দলের ফিটনেস ক্যাম্পে। তবু নিউজিল্যান্ড সফরের নিশ্চয়তা নেই! ২০১০ সালে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারির অপরাধে ইংল্যান্ডে জেল খাটতে হয়েছিল আমিরকে। এটাই এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অপরাধ প্রমাণের পর কারগারে শাস্তি ভোগ করাদের ভিসা দেয়ার ক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ডে আইনগত বাধা রয়েছে। নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড এসব আইনের ক্ষেত্রে বেশ কঠোর। একটাই পথ আছে, কাগজপত্রের সঙ্গে আমিরকে অপরাধ মোচনের সনদও হাজির করতে হবে। এরপরও শতভাগ নিশ্চয়তা নেই। বিবেচনায় নেয়া হয় অপরাধের ধরন, অপরাধের সংখ্যা, অপরাধ কত আগের ইত্যাদি বিষয়। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) ধারণা, নিউজিল্যান্ড সিরিজের জন্য আমিরকে দলে নেয়া হলেও তার ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তাই ইতোমধ্যে তারা আইনী পরামর্শকদের সঙ্গে কথা বলেছে। ইংল্যান্ড থেকেও আমিরের আইনজীবীর কাছ থেকে আইনী পরামর্শ নেয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, গত বছর আমির ইংল্যান্ডের ভিসা চেয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন। সুতরাং নিউজিল্যান্ড সফর নিয়ে ঘোরতর অনিশ্চয়তা থাকছে। আমির এখন ২৬ সদস্যের পাকিস্তান দলের সঙ্গে কন্ডিশনিং ক্যাম্পে আছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়েছেন এই বছর। সামনে সুযোগ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার। ২০১০ সালে ইংল্যান্ড সফরে লর্ডস টেস্টে বহুল আলোচিত স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে পড়েন তৎকালীন পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান বাট, দুই পেসার মোহাম্মদ আসিফ ও মোহাম্মদ আমির। বর্তামনে ২৩ বছর বয়সী এই ফাস্ট বোলার ২০১১ সালের নবেম্বরে স্পট ফিক্সিংয়ের দুই সহযোগীর সঙ্গে শাস্তি পান। দুর্নীতিতে জড়িয়ে টাকা নেয়ার ও প্রতারণার ষড়যন্ত্রে দোষী প্রমাণিত হয়েছিলেন তারা। লন্ডনের একটি আদালত তাদের শাস্তি দেয়। প্রথমে ৬ মাসের জেল হয়েছিল আমিরের। বয়স কম হওয়ায় (তখন ১৭ বছর) এর অর্ধেকটা তাকে কাটাতে হয়েছিল ডরসেটের পোর্টল্যান্ড ইয়ং অফেন্ডার্স ইনস্টিটিউটে (কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে)। গত ১ সেপ্টেম্বর ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি থেকে পাওয়া পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয় তাদের। নিউজিল্যান্ড সফর ও বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত প্রাথমিক দলে সুযোগ পেয়েছেন। দেশে ক্যাম্পে ঘাম ঝরাচ্ছেন। তবে তার ফেরা নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। শহীদ আফ্রিদি-মোহাম্মদ হাফিজের মতো দুই বড় তারকা বিরোধিতা করেছেন। নির্বাচক ও বোর্ডের আন্তরিকতায় ক্যাম্পে ডাক পেলেও এবার ভিসা জটিলতায় জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তনটা বিলম্বিত হতে পারে আমিরের। এবার বাড়িছাড়া হচ্ছেন ব্লাটার স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে নিষিদ্ধ হওয়া সেপ ব্লাটারকে এবার বাড়িও ছাড়তে হচ্ছে। মঙ্গলবার ব্লাটারকে ফিফা জানিয়ে দিয়েছে, ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থার সভাপতির জন্য বরাদ্দকৃত বাসস্থান ২৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ছেড়ে দিতে হবে। ইতোমধ্যে ব্লাটার ফিফার মোবাইল ফোন ও ইমেল এ্যাড্রেস হারিয়েছেন। তবে সুইস আইন অনুযায়ী ব্লাটার বেতন পাবেন। ফিফার নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে ব্লাটার অবশ্য আপীল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অন্যদিকে ফিফার সভাপতি পদে প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছে মিশেল প্লাতিনি। তবে এখনও আশা ছাড়ছেন না তিনি। এজন্য আইনী লড়াই চালিয়ে যাওয়া কথা জানিয়েছেন ফরাসী এই কিংবদন্তি। ২০১১ সালে যে বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়ে গেছে, সেটা নিয়ে ২০১৫ সালে এসে অভিযোগ তদন্ত কেন এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্লাতিনি। তিনি বলেছেন, ‘২০১১ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ফিফার নৈতিকতাবিষয়ক কমিটি কী করছিল? তারা কি ঘুমাচ্ছিল? আর এখন হঠাৎ করেই জেগে উঠেছে? হ্যাঁ, এটা জেগে উঠেছে ফিফার সভাপতি নির্বাচনের বছর। যখন আমি নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছি। এটা খুবই অবাক করার মতো বিষয়। আমি এই অন্যয়ের বিরুদ্ধে লড়ে যাব, এক আদালত থেকে আরেক আদালতে।’ এককভাবে শীর্ষে রানী হামিদ মহিলা রেটিং দাবা স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শমসের আলী মেমোরিয়াল মহিলা রেটিং দাবা প্রতিযোগিতায় ষষ্ঠ রাউন্ডের খেলা শেষে গোল্ডেন স্পোর্টিং ক্লাবের আন্তর্জাতিক মহিলা মাস্টার রানী হামিদ ৬ পয়েন্ট নিয়ে এককভাবে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষস্থান অক্ষুণœ রেখেছেন। পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ফিদেমাস্টার শারমীন সুলতানা শিরিন ও মহিলা দাবা সমিতির জাহানার হক রুনু দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। সাড়ে চার পয়েন্ট করে নিয়ে ফিদেমাস্টার জাকিয়া সুলতানা (অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড দাবা দল) ও ফারজানা হোসেন এ্যানি তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। ষষ্ঠ রাউন্ডের খেলায় রানী হামিদ ইভানাকে, শিরিন ইভাকে, রুনু হামিদাকে, জাকিয়া জিসাকে, এ্যানি সুমাইয়াকে, ফাহমিদা তনিমাকে ও প্রতিভা এরিনাকে হারান। আমেনা শ্রাবণীর সঙ্গে ও জান্নাতুল আঞ্জুমের সঙ্গে ড্র করেন।
×