ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

‘শিল্পের স্বার্থ ক্ষুণ্নকরে সিদ্ধান্ত নয়’

প্রকাশিত: ০৪:৩০, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫

‘শিল্পের স্বার্থ ক্ষুণ্নকরে সিদ্ধান্ত নয়’

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আমদানি শুল্ক আরোপের মাধ্যমে দেশীয় শিল্প সংরক্ষণের সুযোগ কমে গেলেও দেশের শিল্পের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করে এমন কোনো সিদ্ধান্ত সরকার নেবে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। বুধবার ট্যারিফ কমিশন আয়োজিত দিনব্যাপী এক কর্মশালায় মন্ত্রী বলেন, দেশীয় শিল্পের স্বার্থ রক্ষা করে শুল্ক নির্ধারণ করা হচ্ছে। দেশীয় কোনো শিল্পের স্বার্থ ক্ষুন্ন হতে পারে এমন সিদ্ধান্ত সরকার নেবে না। বর্তমান সরকার ব্যবসা বান্ধব। বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় বিভিন্ন ধরনের বাণিজ্য বাধা হ্রাস ও শুল্কহার কমিয়ে আনতে হওয়ায় সরকারকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক আরোপ করতে হচ্ছে, যাতে দেশীয় শিল্প সংরক্ষণের সুযোগ কমে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী। বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত সচিব) এটিএম মুর্তজা রেজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, এফবিসিসিআই‘র সভাপতি আবদুল মতলুব আহমাদ এবং বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের সদস্য আফরোজা বেগম কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন। তোফায়েল আহমেদ বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে প্রতিযোগিতামূলক বাজার ব্যবস্থা একদিকে রাষ্ট্রগুলোকে বিশ্ব বাণিজ্যে টিকে থাকার সুযোগ করে দিলেও এতে অনেক সময় স্বল্প বাণিজ্য ক্ষমতাসম্পন্ন দেশগুলোর দেশীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রতিযোগিতার এ সব ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দেশীয় উৎপাদনকারীদের রক্ষা করতে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) বাণিজ্য প্রতিবিধান আইনের আওতায় এন্টি ডাম্পিং, কাউন্টারভেইলিং এবং সেইফগার্ড ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে। ডব্লিউটিও সদস্যভুক্ত বিভিন্ন দেশ প্রয়োজনে এ ধরনের ব্যবস্থা নিয়ে থাকে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৫ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সদস্যভুক্ত অনেক দেশ ৩০৫৮টি এন্টি-ডাম্পিং মেজার্স, ২০২টি কাউন্টারভেইলিং মেজার্স এবং ১৪৭টি সেইফগার্ড মেজার্স আরোপ করেছে। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদেরও এ বিষয়ে একটি স্বচ্ছ ধারণা থাকা দরকার। বর্তমান সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপে দেশের সিমেন্ট শিল্প, টিন শিল্প, কাগজ শিল্প বিকশিত হয়েছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল। তিনি বলেন, এ সকল শিল্প এখন দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রপ্তানি করছে। এক সময় এগুলো পণ্য আমদানির উপর নির্ভর ছিল।
×