ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দিনাজপুরে নৌকা-শীষে লড়াই

প্রকাশিত: ০৪:১১, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫

দিনাজপুরে নৌকা-শীষে লড়াই

সাজেদুর রহমান শিলু, দিনাজপুর ॥ ‘দিনাজপুরের মাটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি’। আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে দিনাজপুরের ৫ পৌরসভা নির্বাচনে এই প্রবাদ বাক্যটি আবারও সত্য হতে চলেছে। নৌকার পালে এবার শুধু হাওয়াই লাগেনি, ঝড়ো হাওয়ায় তরতর করে নৌকা প্রতীক নিয়ে এগিয়ে চলেছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীরা। জেলার ৫ পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের বিজয় এখন শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র। আর এসব কিছু সম্ভব হয়েছে গত ৭ বছরে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দারিদ্র্য বিমোচন, অর্থনৈতিক মুক্তি ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের কারণে। সচেতন সমাজ মনে করছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের দেশ পরিচালনায় অভাবনীয় সাফল্যের কারণে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের এখন পোয়াবারো অবস্থা। দিনাজপুর পৌরসভায় ৫ মেয়র প্রার্থী রয়েছেন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দিনাজপুর শিল্প ও বণিক সমিতির সহ-সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম (নৌকা) এবং পৌরসভার বর্তমান মেয়র বিএনপির প্রার্থী সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমের (ধানের শীষ) সঙ্গে লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী নারিকেল গাছ মার্কার মেয়র প্রার্থী আলতাফ উদ্দীনও ভোটের প্রচারে এগিয়ে আছেন। জাতীয় পার্টি এরশাদের প্রার্থী আব্দুল মোতালেব (লাঙ্গল) ও বর্তমান পৌরসভার কাউন্সিলর ফয়সাল হাবিব সুমন (মোবাইল ফোন) মার্কা নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। জানা গেছে, মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে নৌকা ও ধানের শীষ প্রার্থীর মধ্যে। তবে বিগত বছরগুলোতে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী থাকায় তারা পরাজিত হয়েছে। এবারে দলের নীতি নির্ধারক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে একজন প্রার্থী থাকায় আওয়ামী লীগের পক্ষে নির্বাচনী জোয়ার কিছুটা বেশি রয়েছে। বীরগঞ্জ পৌরসভায় ৫ মেয়র প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন বাবুল (নৌকা) এবং বিএনপির প্রার্থী আমিনুল বাহার (ধানের শীষ), জামায়াত সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান মেয়র মওলানা মোঃ হানিফ (জগ), জাতীয় পার্টির দেলোয়ার হোসেন আবু (লাঙ্গল) ও জাতীয় পার্টির বিদ্রোহী প্রার্থী রশিদুল আলম (নারিকেল গাছ) মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বীরগঞ্জ পৌরসভায় নৌকা ও জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। ফুলবাড়ী পৌরসভায় ৯ মেয়র প্রার্থী রয়েছেন। আওয়ামী লীগের শাহজাহান সরকার আলী পুতু (নৌকা), বিএনপির শাহাদাত ইসলাম সাহাজুল (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির জামিলউদ্দীন (লাঙ্গল), ওয়ার্কার্স পার্টির এসএম নুরুজ্জামান (কাস্তে). আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী খাজা মইনউদ্দীন (মোবাইল ফোন), স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম জুয়েল (চামুচ), বর্তমান মেয়র স্বতন্ত্র প্রার্থী মুর্তুজা সরকার মানিক (নারিকেল গাছ), স্বতন্ত্র জয়নাল আবেদিন (জগ) ও স্বতন্ত্র আল-আমিন সরকার (কেরাম বোর্ড) মার্কা নিয়ে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিরামপুর পৌরসভায় ৫ মেয়র প্রার্থী রয়েছেন। আওয়ামী লীগের অধ্যাপক আক্কাস আলী (নৌকা), বর্তমান মেয়র বিএনপির আজাদুল ইসলাম আজাদ (ধানের শীষ), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী লিয়াকত আলী সরকার টুটুল (নারিকেল গাছ), জামায়াতের সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. মোসাদ্দিস এনামুল হক (মোবাইল ফোন) ও জামায়াত সমর্থিত বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহিনুর ইসলাম (ইস্ত্রি) মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই পৌরভায়ও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে নৌকা ও ধানের শীষ প্রার্থীর মধ্যে। হাকিমপুর পৌরসভায় তিন মেয়র প্রার্থী রয়েছেন। আওয়ামী লীগের এসএম জামিল হোসেন চলন্ত (নৌকা), বর্তমান মেয়র বিএনপির সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী (ধানের শীষ) ও জাতীয় পার্টির সুরুজ আলী শেখ (লাঙ্গল) মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এখানে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে নৌকা ও ধানের শীষের মধ্যে।
×