ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সমাজ ভাবন ॥ এবারের বিষয় ॥ পোস্টঅফিস

প্রকাশিত: ০৩:৫৮, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫

সমাজ ভাবন ॥ এবারের বিষয় ॥ পোস্টঅফিস

সুলতানা শাহরিয়া পিউ প্রিয় সুনীলদা, Thanks for remembering সব- বুঝলে সুনীলদা? এস.এম. এস-এ তোমার রুমাদির এ ভাষ্য দেখে ঠিক বুঝে নিয়েছি! কদিন এদেশে ভধপবনড়ড়শ ছিল না। ফোনও করিনি। ব্যস্ত ব্যস্ত শুধু ব্যস্ততা! প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবে। আজীবন সম্পর্ক রাখবে। হায়রে ডিজিটাল ব্যস্ততা! তবে যত যাই বল ফেসবুকিং, ই-মেইল, ভাইবার, এ সমস্ত যাই থাক কোথায় যেন কি একটা মিস করি সব সময়- ঠিক ধরেছো- হাতে লেখা চিঠি- নীল খাম- প্রতীক্ষা- রবিঠাকুরের ডাকঘর- ডাকহরকরা- এসবের কি কোন বিকল্প আছে বলো? আমাদের শিশুরা ডাকবাক্স দেখলে বলতে পারবে না ওটা কি! স্বপ্ন দেখেছিলাম একটা চিঠিলেখা গ্রুপ তৈরি করব- যারা সবাই হাতে চিঠি লিখে ডাকঘরে নিজে গিয়ে পোস্ট করবে। চলতে থাকবে আমাদের মধ্যে চিঠি বিনিময়! আমার এক কবিবন্ধু সেদিন বললেন- ডাকঘরকে এখন জাদুঘরের ভেতরে পারমানেন্ট ব্যবস্থা করে নেয়ার সময় হয়ে গিয়েছে। এইতো কয়েক বছর আগে টাঙ্গাইলের এক জমিদার বাড়ির ফটকে ঝোলানো ডাকবাক্সটাকে জড়িয়ে এমন ফটোসেশন চলল, মনে হলো ওটা একটা এ্যানটিক পিস! রুমাদি আমার ‘এস.এম.এস-এ অব্যক্ত চিঠি’ কবিতাটা পড়েই ডিসিশন নিয়েছিল অন্তত আমার সঙ্গে ডাকে চিঠির লেনদেন করবে। এখন আমিই সময় পাই না। ডিসেম্বর মাস এলেই আমি একটু বেশি মাত্রায় নস্টালজিক হয়ে পড়ি। তোমাকে খুব মিস করি। সেই ঢাকা থেকে ‘আবার আসব বলে’ ফিরে গেলে, আর এলে না। বলেছিলে পরের বার এসে দাদার ভিটেয় গিয়ে রুট খুঁজবে- একটা বই লিখবে! আর তোমার দিদাতো কোলকাতার হাসপাতালের বেডে শুয়ে অপেক্ষা করছিলেন। যতক্ষণ না তুমি বাংলাদেশের মাটি তাঁর কপালে ছুঁইয়েছো তিনি জীবিত ছিলেন। আচ্ছা সুনীলদা- ‘৭১ এর চিঠি’ বইটা কি তুমি মাঝে মাঝে পড়ার সময় পাও? আমি নতুন একটা কবিতা লিখেছি, তোমাকে পাঠাচ্ছি। কবিতাটার সাথে কিছু গান জুড়ে দিয়েছি- একটা আবৃত্তির অ্যালবাম বের করার ইচ্ছে আছে। যদিও সিডির বাজার খুব খারাপ- তবুও হৃদয়ে যা ধারণ করেছি, ধমনীতে যা বয়ে বেড়াচ্ছি তাকেতো আর এড়ানো যায় না। চিঠি দিও। কথাটা কতদিন লিখি না! ডাকঘরে কত দিন যাই না! তবুও চিঠি দিও সুনীলদা। ইতি তোমার নীলিমা ধানমণ্ডি, ঢাকা থেকে
×