ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সাঁড়াশি অভিযানে এ পর্যন্ত মামলা প্রায় ২ হাজার ;###;ব্যবসায়ীরা বলছেন- পাটের বস্তার দাম ৩-৪ গুণ বেশি, পর্যাপ্ত বস্তা পাওয়া যায় না ;###;এসবই ‘অজুহাত’- মন্ত্রণালয়

পাটের ব্যাগে দ্বিধা ॥ বাধ্যতামূলক ব্যবহারের নির্দেশ উপেক্ষা

প্রকাশিত: ০৫:০০, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫

পাটের ব্যাগে দ্বিধা ॥ বাধ্যতামূলক ব্যবহারের নির্দেশ উপেক্ষা

আনোয়ার রোজেন ॥ ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার ও চিনি- এই ছয়টি পণ্যের বিপণনে পাটের বস্তা বা ব্যাগের ব্যবহার সরকার গত ৩০ নবেম্বর থেকে বাধ্যতামূলক করেছে। নির্দেশ বাস্তবায়নে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দেশজুড়ে পরিচালিত হচ্ছে সাঁড়াশি অভিযান। চলমান অভিযানে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৯১৪টি মোবাইল কোর্টে এক হাজার ৯৮০টি মামলা, ৮০ লাখ টাকা আর্থিক জরিমানা এবং দুইজনের কারাদ-ও হয়েছে। কিন্তু তারপরও নির্দেশ মানছেন না সংশ্লিষ্ট পণ্যের ব্যবসায়ীরা। ওই ছয়টি পণ্য, বিশেষ করে চাল, এখনও প্লাস্টিকের বস্তায় বাজারজাত করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, তারা আইন মেনেই পাটের বস্তা ব্যবহার করতে চান। কিন্তু এক্ষেত্রে চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংখ্যক বস্তা পাওয়া যাচ্ছে না। পাটের বস্তার ডিলার বা এজেন্টের সঙ্কট রয়েছে। তাছাড়া প্লাস্টিকের বস্তার তুলনায় পাটের বস্তার দাম তিন-চারগুণ বেশি। বেশি দামে পাটের বস্তা কিনলে ওই পণ্যের দাম, বিশেষ করে চালের, বেড়ে যাবে। আর বাজার ও ভোক্তার ওপর এর প্রভাব পড়বে। কিন্তু ব্যবসায়ীদের এসব যুক্তিকে ‘অজুহাত’ বলে মনে করছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। তারা বলছে, হঠাৎ করেই এ আইন কার্যকর করা হচ্ছে না। পরিবেশ রক্ষায় আইনটি করা হয়েছে চার বছর আগে। আর প্লাস্টিকের বস্তার মজুত নিঃশেষ করার জন্য গত দুই বছরে ব্যবসায়ীদের একাধিকবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু এতদিনেও তারা তা আমলে নেননি। পাটের বস্তারও কোন সঙ্কট নেই, এজেন্টের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দামও মাঝে মাঝে কেজিপ্রতি ৭০Ñ৮০ টাকা বেড়ে যায়। সেক্ষেত্রে পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ ২০ টাকার প্লাস্টিকের পরিবর্তে পরিবেশসম্মত ৫০ টাকার পাটের ব্যাগ ব্যবহারে বাজারে বিরূপ প্রভাব পড়বেÑ এ ধারণা ঠিক না। ইতোমধ্যে সাধারণ মানুষ পাটের ব্যাগকে স্বাগত জানিয়েছে। এক বছরের কারাদ- ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রেখে সরকার ২০১০ সালে পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক আইন করে। এরপর থেকেই সরকারিভাবে ধান, চাল ও গম বাজারজাত করার ক্ষেত্রে খাদ্য অধিদফতর শতভাগ পাটের বস্তা ব্যবহার করে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা তখন থেকেই আইনটি উপেক্ষা করে আসছেন। ছয়টি পণ্যের কথা বলা হলেও মূলত চালের বিপণনের ক্ষেত্রেই পাটের বস্তা ব্যবহারে কঠোর হচ্ছে সরকার। এ প্রসঙ্গে পাট অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) এবং দেশব্যাপী চলমান বিশেষ অভিযানের মনিটরিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ কেফায়েত উল্লাহ জনকণ্ঠকে বলেন, দেশে প্রতিবছর গড়ে সাড়ে তিন কোটি মেট্রিক টন চাল উৎপাদিত হয়। এর মধ্যে বিক্রির উদ্দেশে বাজারজাত করা হয় পৌনে দুই কোটি মেট্রিক টন। সরকার চাইছে, বাজারজাত করা চালের শতভাগ যেন পাটের ব্যাগে করা হয়। এতে পরিবেশ রক্ষা হবে এবং পাটকলগুলোতে ৪Ñ৫ লাখ মানুষের প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। আমদানি পণ্য হওয়ায় সার ও চিনির ক্ষেত্রে এ আইন শিথিল। তবে আইনে থাকা অন্য চারটি শস্যসহ দেশে উৎপাদিত যে কোন পরিমাণ সার ও চিনির পরিবহন ও বিপণনের ক্ষেত্রে পাটের ব্যাগ ব্যবহার বাধ্যতামূলক। কিন্তু উচ্চ আদালতে দেশীয় চিনি ব্যবসায়ীদের করা একটি রিটের কারণে চিনিতে বাধ্যতামূলক পাটের বস্তা ব্যবহারের বিষয়টি বর্তমানে ঝুলে আছে। পাট অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চারটি খাদ্যশস্য, সার ও চিনি বিপণনে বছরে ৬০Ñ৬৫ কোটি পাটের বস্তা প্রয়োজন। আর বিজেএমসি এবং বাংলাদেশ জুট মিলস এ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএমএ) বছরে সেই পরিমাণ পাটের বস্তা তৈরির ক্ষমতা আছে। কিন্তু এতদিন ব্যবহার ছিল না বলে ওই পরিমাণ বস্তা তৈরি হতো না। বর্তমানে দেশে কাঁচাপাটের বার্ষিক গড় উৎপাদন ৭৫ লাখ বেল। এর মধ্যে প্রতিবছর ১২ থেকে ১৫ লাখ বেল কাঁচাপাট রফতানি হয়। পাটজাত রফতানি পণ্য তৈরিতে ব্যবহৃত হয় ৪০ থেকে ৪৫ লাখ বেল। ৫ থেকে ৭ লাখ বেল পাট ব্যবহার করে সরকারী-বেসরকারী ৮০টি পাটকল অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটায়। বাকি পাট অব্যবহৃত বা উদ্বৃত্ত থেকে যায়। ২০১৪Ñ’১৫ অর্থবছরে পাট অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী দেশে উদ্বৃত্ত পাটের পরিমাণ ছিল ৯ দশমিক ৯৫ লাখ বেল। এ প্রসঙ্গে মোহাম্মদ কেফায়াত উল্লাহ বলেন, উদ্বৃত্ত থাকা পাট দিয়েই বস্তার বর্তমান চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। তাছাড়া সঙ্কট এড়াতে সরকার এরই মধ্যে কাঁচাপাটের রফতানি নিষিদ্ধ করেছে। বস্তা তৈরিতে প্রয়োজনে অন্যান্য পাটজাত পণ্য থেকে রেশনিং করে কাঁচাপাট সরবরাহ করা হবে। এছাড়া পাটের ব্যাগের শত্রু ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ডব্লিউপিপি ব্যাগ স্থানীয় বাজারে নিষিদ্ধ করার চিন্তা-ভাবনাও আছে। এখন শুধু ব্যবসায়ীদের সদিচ্ছা জাগলেই হলো। তবে আইন বাস্তবায়নে সরকার বদ্ধ পরিকর। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তবে ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশন (বিজেএমসি) অনুমোদিত এজেন্টরা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা জানান, পাটকলগুলোতে এখন দুই ধরনের পাটের বস্তা তৈরি হচ্ছে। ৭০০ গ্রাম ওজনের যে ‘স্যাকিং’ বস্তা (৮০ কেজি) রফতানি হয়, তার দাম ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা। আর দেশীয় চাহিদা মেটাতে তৈরি ৩৬০ গ্রাম ওজনের ‘হেসিয়ান’ (৫০ কেজি) বস্তার দাম ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। দাম, আকার ও অন্যান্য সুবিধা বিবেচনায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে হেসিয়ান বস্তার চাহিদাই বেশি। কিন্তু পাটকলগুলো দুটি স্যাকিং বস্তার বিপরীতে একটি হেসিয়ান বস্তা নিতে এজেন্টদের বাধ্য করেছে। কিন্তু স্যাকিং বস্তা কেউ কিনছে না। এ প্রসঙ্গে দিনাজপুরের দক্ষিণ বালুবাড়ির এজেন্ট মোঃ সহিদুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, মোটা ও ভারি হওয়ায় স্যাকিং বস্তার ওপর আলাদাভাবে শস্য বা পণ্যের ব্র্যা- প্রিন্ট করা যায় না। তাছাড়া এটির দামও বেশি, সাইজেও বড়। চালকল মালিকরা এই বস্তা নিতে চান না। আমার গুদামে ৪০ হাজার স্যাকিং বস্তা পড়ে আছে। কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও লালমনিরহাটের এজেন্টদের সঙ্গে কথা বলেও পাওয়া গেছে অভিন্ন বক্তব্য। বিজেএমসির খুলনা আঞ্চলিক লিয়াজোঁ অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত সাতটি পাটকলে অবিক্রিত বস্তার মোট পরিমাণ ছিল ৭২ লাখ ৭৭ হাজার পিস। এর বেশিরভাগই স্যাকিং বস্তা। তবে এ বিপুল পরিমাণ বস্তা পড়ে থাকা সত্ত্বেও খুলনা অঞ্চলের চালকল মালিকদের অভিযোগ তারা বস্তার সরবরাহ ঠিকমতো পাচ্ছেন না। কুষ্টিয়ার অটোরাইস মিল মেসার্স মাহফুজ আহমেদের মালিক জয়নুল আবেদিন জনকণ্ঠকে বলেন, সরকারের নির্দেশ মানতে আমরা বাধ্য। আমরা পাটের বস্তায় করেই চাল সরবরাহ করব। কিন্তু রাতারাতি এটা করা যাবে না। প্লাস্টিকের বস্তা যত সহজে আমরা পাই, পাটের বস্তা তত সহজে পাই না। ডিলার কম ও দূরত্ব বেশি হওয়ায় পরিবহন খরচ বেশি হয়। আবার বস্তার দামও বেশি। সরকারকেও এ বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হবে। ব্যবসায়ী ও এজেন্টদের বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে পাট অধিদফতরের মহাপরিচালক মোঃ মোয়াজ্জেম হোসাইন জনকণ্ঠকে বলেন, স্যাকিংয়ের তাঁত হেসিয়ানে রূপান্তর একটি চলমান প্রক্রিয়া। বিজেএমসির ৩৫ শতাংশ তাঁত ইতোমধ্যে হেসিয়ানে রূপান্তর করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকেই পাটকলগুলো থেকে একটি স্যাকিংয়ের বিপরীতে একটি হেসিয়ান বস্তা দেয়া হবে। বর্তমানে প্রতিদিন সাত লাখ পিস বস্তা তৈরি হচ্ছে। আগামী তিন-চারমাসে হেসিয়ানের উৎপাদন বাড়বে। তখন আর বস্তার সঙ্কট হবে না। প্রসঙ্গত, প্রতিবেশী দেশ ভারতও ১৯৮৭ সালে পাটের বস্তা ব্যবহার আইন করেছে। এর আওতায় বিভিন্ন খাদ্যপণ্যে পাটের ব্যাগ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। দেশটিতে আইনটির অনেকাংশেই বাস্তবায়ন করা গেছে। ভারতের জুট কমিশনারের কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে বর্তমানে ৯০ শতাংশ খাদ্যশস্যে (চিনি ছাড়া) বাধ্যতামূলকভাবে পাটের ব্যাগ বা বস্তা ব্যবহার করা হচ্ছে। বাংলাদেশও ভারতে পাটের বস্তা রফাতানি করে। এজেন্ট তালিকা নিয়ে বিজেএমসির অস্পষ্টতা ॥ দেশে চালু থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ হলো বিজেএমসি। বস্তা তৈরি হয় এমন ২৬টি পাটকলের উৎপাদন, বিপণন ও এজেন্ট নিয়োগের কাজও তারাই করে। পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি দেশজুড়ে এজেন্ট নিয়োগ করে আসছে। কিন্তু দেশব্যাপী পাটের বস্তার এজেন্টের সঙ্কট যেমন আছে, তেমনি এ সঙ্কটকে পুঁজি করে এজেন্ট নিয়োগের ক্ষেত্রে বিজেএমসির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন আছে খোদ নিয়োগকৃত এজেন্টদেরই। দিনাজপুরে বিজেএমসির একজন এজেন্ট নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিবেদককে বলেন, বিজেএমসির এজেন্ট লাইসেন্স পেতে তিন লাখ টাকা লাগে। তবে এজেন্ট নিয়োগে রাজনৈতিক বিবেচনা বেশি ভূমিকা রাখে। কেবল রাজনৈতিক বিবেচনায় লালমনিরহাটের একজন ব্যক্তি দিনাজপুরের এজেন্ট হয়ে গেছেন। কুমিল্লার একজন হয়ে গেছেন বগুড়ার এজেন্ট। কুমিল্লার লোক কীভাবে দিনাজপুরের চাহিদা বুঝবেন? এজেন্ট নিয়োগ নীতিমালায় স্থানীয়দের অগ্রাধিকার দিয়ে পরিবর্তন না আনলে পাটের বস্তার সরবরাহ সহজলভ্য করা যাবে না। তার এ অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া গেছে। নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ হলেও বিজেএমসির ওয়েবসাইটে এজেন্টদের কোন তালিকা নেই। তবে পাট অধিদফতরের ওয়েবসাইটে থাকা তালিকা অনুযায়ী সারাদেশে এজেন্ট সংখ্যা ১২৪ (২২ নবেম্বর, ২০১৪) পর্যন্ত। তালিকায় থাকা নাম ও ঠিকানা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে বেশিরভাগ এজেন্টের প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা ও যে জেলার জন্য তিনি নিয়োগ পেয়েছেন তা এক নয়। এর মধ্যে প্রতিষ্ঠান ঢাকায় অথচ এজেন্ট হয়েছেন রংপুর (১৭ জন) অথবা রাজশাহী (৩২ জন) বিভাগের বিভিন্ন জেলায় এমন এজেন্টের সংখ্যা ১৫ জন। একই রকম গরমিল পাওয়া গেছে অন্য পাঁচটি বিভাগের বিভিন্ন জেলার এজেন্টদের ক্ষেত্রেও। তালিকা অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি এজেন্ট আছে ঢাকা বিভাগে (৩৫ জন)। এছাড়া খুলনায় ২৪ জন, চট্টগ্রামে ১০, সিলেটে ৩ ও বরিশাল বিভাগে ১ জন এজেন্ট আছেন। দেশের কুষ্টিয়া, দিনাজপুর, বগুড়া, নওগাঁসহ যে সকল জেলায় ধান, চাল উৎপাদন বেশি হয় সে সব এলাকায় ডিলার সঙ্কট রয়েছে। তালিকানুযায়ী, জেলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি এজেন্ট আছে দিনাজপুরে, তাও মাত্র ৯ জন। নওগাঁয় ৭ জন, বগুড়ায় ৭ জন ও কুষ্টিয়ায় আছেন মাত্র ৬ জন এজেন্ট। এজেন্টের হালনাগাদ তালিকা বিষয়ে জানতে এ প্রতিবেদক রবিবার দুপুরে মতিঝিলে বিজেএমসির প্রধান কার্যালয়ে যান। বিপণন বিভাগ থেকে জানান হয়, দেশব্যাপী এজেন্টের সংখ্যা বাড়ান হচ্ছে। বর্তমানে এ সংখ্যা ১৬৫ জন। তবে হালনাগাদ তালিকা দেখতে চাইলে বিপণন বিভাগের সহকারী মোঃ ফারুক বলেন, শামীম স্যারের অনুমতি ছাড়া এ তালিকা দেখান যাবে না। এ বিষয়ে কথা বলতে বিপণন বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক শামীম রেজা খানের কক্ষে গেলে তিনি প্রথমে প্রতিবেদককে অপেক্ষা করতে বলেন। এক ঘণ্টা পর তিনিও কিছু না বলে দ্রুত কক্ষ ত্যাগ করেন। সার্বিক বিষয়ে জানতে বিজেএমসির মহাপরিচালক হুমায়ুন খালেদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য জানা যায়নি।
×