ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রথম পৌরসভা ভোটে উৎসবের আমেজ

কুয়াকাটায় বিরামহীন প্রচার

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ২২ ডিসেম্বর ২০১৫

কুয়াকাটায় বিরামহীন প্রচার

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ২১ ডিসেম্বর ॥ পর্যটন কেন্দ্র নবগঠিত কুয়াকাটা পৌরসভা নির্বাচনে এখন চলছে বিরামহীন প্রচার। পোস্টারে ছেয়ে গেছে সর্বত্র। প্রথম এ নির্বাচনে মেয়র পদ বাগিয়ে নিতে পারবেন তা নিয়ে চলছে প্রচারযুদ্ধ। পাশাপাশি পেশিশক্তি প্রয়োগের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ চলছে সমানতালে। এছাড়া আধুনিক পর্যটন নগরী গড়ার প্রত্যয় নিয়ে সবাই ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। ছয় হাজার আটশ’ ৪৫ জন ভোটার অধ্যুষিত কুয়াকাটায় মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পাঁচ মেয়র প্রার্থী। মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ত্রিমুখী। আওয়ামী লীগ মনোনীত আব্দুল বারেক মোল্লা, জাতীয় পার্টি (এ) ও বিএনপির আব্দুল আজিজ মুসল্লির মধেই হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা। প্রার্থীরা এখন চষে বেড়াচ্ছেন বাড়ি বাড়ি। মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছাড়াও এনপিপি থেকে রাবেয়া খাতুন আম প্রতীক এবং ইসলামী আন্দোলন থেকে হাজী নুরুল ইসলাম পাখা প্রতীকে নির্বাচনে নেমেছেন। সচেতন ভোটারদের ধারনা প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের গ্রুপিংয়ের প্রভাব পাল্টে দিতে পারে ভোটের ফলাফলের হিসাব। তাদের মন্তব্য ভূমিদস্যুতা ও দালালদের ভোটাররা প্রত্যাখ্যান করবেন। সাধারণ ভোটারদের এন্তার অভিযোগ, কুয়াকাটা পৌর নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী মেয়র ও কাউন্সিলর অধিকাংশ প্রার্থী তাদের হলফনামায় সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মোঃ নুরুল ইসলাম মুসল্লি তার হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণী, পেশায় কৃষি উল্লেখ করলেও বাড়ি-ঘর, কৃষিজমি, ব্যাংক হিসাব, আয়ের উৎস ও ব্যয় সম্পর্কে কোন তথ্য উপস্থাপন করেননি। তেমনি বিএনপি, আ’লীগ, জাপা (এ) ও এনপিপি মেয়র প্রার্থীরা হলফনামায় প্রকৃত সম্পদ, আয়ের উৎস-ব্যয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করেননি। এমনকি কোন কোন প্রার্থী মামলা সম্পর্কিত তথ্য গোপন করেছেন বলে ভোটারদের অভিযোগ। এরই মধ্যে বিএনপি ও জাপা (এ) মেয়র প্রার্থী রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ ও সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগসহ প্রাচারণায় বাধার অভিযোগ করেছেন। আর এসব অভিযোগ গণমাধ্যমের কাছে অস্বীকার করেছেন আ’লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী। প্রথম পৌর নির্বাচনকে ঘিরে কুয়াকাটার ভোটারদের মাঝে বিরাজ করছে নির্বাচনী উৎসব আমেজ। একজন পর্যটনবান্ধব, সুশাসনের মেয়র নির্বাচনের প্রতীক্ষায় আছে সাধারণ ভোটার। প্রার্থীদের নিয়ে চলছে ভোটারদের মধ্যে চুলচেরা বিশ্লেষণ। ৩৪৯৫ জন পুরুষ, ৩৩৫০ জন নারী ভোটার প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করবেন আগামী পাঁচ বছরের জন্য তাদের পর্যটনবান্ধব জনপ্রতিনিধি। দিন যতই এগিয়ে আসছে নির্বাচন নিয়ে সংঘাত, সহিংসতা আর সংশয় ততই বাড়ছে ভোটারদের মধ্যে। নির্বাচনী প্রচারে আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ প্রার্থীদের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে তপ্ত হয়ে উঠছে কুয়াকাটা পৌরসভার নির্বাচনী পরিবেশ। ভোটার এবং প্রার্থীদের অভিযোগ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এলাকায় বেড়ে গেছে বহিরাগতদের আনাগোনা। ভোটারদের আশঙ্কা এমন অবস্থা অব্যাহত থাকলে নির্বিঘœ নির্বাচন অনেকটাই অসম্ভব হয়ে পড়বে। সাধারণ ভোটাররা সর্বশেষ কলাপাড়ার মহিপুর ইউনিয়নের মতো নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করতে প্রত্যেকটি কেন্দ্রে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ-র‌্যাব মোতায়েন রাখার দাবি করেছেন।
×