ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাড়ছে একুশে গ্রন্থমেলার পরিসর ও নিরাপত্তা

প্রকাশিত: ০৫:০৬, ২২ ডিসেম্বর ২০১৫

বাড়ছে একুশে গ্রন্থমেলার পরিসর ও নিরাপত্তা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এ বছর শেষ হতে বাকি আছে আর মাত্র নয়টি দিন। এরপর আগামীর প্রত্যাশা নিয়ে হাজির হবে নতুন বছর। পহেলা জানুয়ারি থেকে শুরু ২০১৬ সালের নতুন পথচলা। এই মাসটি পেরুতেই স্বমহিমায় হাজির ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। আর ফেব্রুয়ারির কথা এলেই সহজাতভাবে মনে পড়ে অমর একুশে গ্রন্থমেলার কথা। ভাষা শহীদদের স্মৃতিতে নিবেদিত মেলাটি একই সঙ্গে আলো ছড়ায় বাঙালীর প্রাণ ও মননে। তাই এ বছরের ডিসেম্বর থেকেই শুরু হয়েছে অগামী বছরের গ্রন্থমেলা আয়োজনের তৎপরতা। কর্মপ্রবাহের সেই সূত্র ধরে জানা গেছে, একইসঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে বইমেলার পরিসর ও নিরাপত্তা। সোমবার বিকেলে একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার হলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। মেলার পরিসর বৃদ্ধির তথ্য জানিয়ে সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চটিও এবারও অন্তর্ভুক্ত হবে মেলা প্রাঙ্গণের। একইসঙ্গে মেলার পরিসর উদ্যানের ভেতরে বাংলা একাডেমির সংলগ্ন রাস্তার কাছাকাছি নিয়ে আসা হবে। যাতে অন্যবারের মতো দূরে মনে না হয়। অতীতের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবারের গ্রন্থমেলায় নিñিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে জানিয়ে সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, মেলাকে নির্বিঘেœ করার লক্ষ্যে সব ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হবে। কারণ, মেলার নিরাপত্তায় বিঘœ ঘটানো কঠিন কিছু নয়। একজনই দশজন সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বিঘœ করতে পারে। সে বিষয়টিকে মাথায় রেখেই সাজানো হচ্ছে নিরাপত্তার ব্যবস্থা। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, এবার শুধু গ্রন্থমেলা প্রাঙ্গণ নয়, আশপাশের পুরো এলাকা ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার আওতায় থাকবে। সেই সঙ্গে মেলা প্রাঙ্গণসহ চারপাশে থাকবে পর্যাপ্ত আলো । মেলার উদ্যান অংশে দুই দফা বাঁশের বেষ্টনী দেয়া হবে। আর নিরাপত্তার খাতিরে কোন খোলা জায়গা পেরিয়ে নয়, উদ্যানের বাউন্ডারি দেয়াল ঘেঁষেই স্টল বানানো হবে। মেলায় প্রবেশ করতে বরাবরের মতোই থাকবে আর্চওয়ে। প্রকাশকদের বই আনা-নেয়ার জন্য আলাদা ফটকের ব্যবস্থাও থাকবে। এছাড়া মেলার দুই প্রান্ত দোয়েল চত্বর থেকে টিএসসি এলাকা পর্যন্ত রাস্তায় কোন ভ্রাম্যমাণ দোকান থাকবে না। মন্ত্রী আরও জানান, পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকে ২৯ তারিখ পর্যন্ত প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত গ্রন্থানুরাগীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে বইমেলা। এছাড়া ছুটির দিনগুলোয় মেলা চলবে সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি সচিব আক্তারী মমতাজ, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মনজুরুর রহমান, একাডেমির সচিব আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনের আগে একাডেমির সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে পুলিশ, র‌্যাবসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ২০১৫ সালের গ্রন্থমেলায় ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার’ অভিযোগ এনে রোদেলা প্রকাশনীর স্টল বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে প্রশ্নে সংবাদ সম্মেলনে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বলেন, বইমেলার জন্য একটি নির্দিষ্ট নীতিমালা আছে। সেই নীতিমালা পরিপন্থী কোন প্রকাশনীকে মেলায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে না। প্রকাশকদের সঙ্গে বৈঠক করে বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হবে।
×