ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রানা প্লাজা ॥ হত্যামামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণ, ২৩ জনের পরোয়ানা

প্রকাশিত: ২১:৪০, ২১ ডিসেম্বর ২০১৫

রানা প্লাজা ॥ হত্যামামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণ, ২৩ জনের পরোয়ানা

অনলাইন রিপোর্টার ॥ সাভারের রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় করা হত্যামামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করে পলাতক ২৩ আসামিকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। সোমবার ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ আল-আমিন এ আদেশ দেন। বিচারক মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ২৭ জানুয়ারি দিন ঠিক করেছেন বলে সংশ্লিষ্ট আদালত পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের পরিদর্শক মোঃ আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ওই দিন পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে সংশ্লিষ্ট থানাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন আট তলা রানা প্লাজা ধসে এক হাজার ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন আরও হাজারখানেক শ্রমিক, যারা ওই ভবনের পাঁচটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। ভবন ধসে প্রাণহানির ঘটনায় প্রথমে ‘অবহেলাজনিত মৃত্যুর’ অভিযোগে ভবনমালিক সোহেল রানাসহ ২১ জনকে আসামি করে সাভায় মামলা করে পুলিশ। পরে অভিযোগপত্রে এটাকে ‘পরিকল্পিত হত্যা’র মামলা হিসেবে দেখানো হয়। এছাড়া ইমারতবিধি লঙ্ঘন করে ভবন নির্মাণের অভিযোগে রানাসহ ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অন্য মামলাটি করা হয়, যার তদন্তে ভবনের নকশায় ত্রুটি, অনুমোদন না নিয়ে উপরের দিকে সম্প্রসারণ এবং নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের তথ্য উঠে আসে। গত ৭ অগাস্ট এই মামলায় ইমারত নির্মাণ আইনে করা মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে পলাতক ছয় আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। গত ১ জুন দুটি মামলাতেই পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের ( সিআইডি) সহকারী সুপার বিজয়কৃষ্ণ কর ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দেন। হত্যা মামলার অভিযোগপত্রে ৪১ জনকে আসামি করা হয়, যাদের বিরুদ্ধে ‘পরিকল্পিত মৃত্যু ঘটানো’সহ দণ্ডবিধির ৩০২, ৩২৬, ৩২৫, ৩৩৭, ৩৩৮, ৪২৭, ৪৬৫, ৪৭১, ২১২, ১১৪, ১০৯ ও ৩৪ ধারায় বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে, যেগুলোর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। এ মামলায় কারাগারে রয়েছেন সোহেল রানা ও তার মা মর্জিনা বেগম; জামিনে রয়েছেন ১৬ জন, পলাতক ২৩ জন। আর ১৯৫২ সালের ইমারত নির্মাণ আইনের মামলায় ১৮ আসামির মধ্যে পলাতক আছেন ছয়জন। রানা, তার মা ও বাবা আবদুল খালেক ওরফে কুলু খালেকসহ ১৭ জন দুই মামলাতেই আসামি হওয়ায় দুই মামলায় মোট আসামির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪২ জন। হত্যা মামলার অভিযোগপত্রে রাষ্ট্রপক্ষে ৫৯৪ জন এবং ইমারত বিধির মামলায় ১৩০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
×