ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশন থেকে জঙ্গীবাদে মদদ দেয়া হচ্ছে ॥ নৌমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৪:৪২, ২১ ডিসেম্বর ২০১৫

ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশন থেকে জঙ্গীবাদে মদদ দেয়া হচ্ছে ॥ নৌমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পাকিস্তান হাইকমিশন থেকে বাংলাদেশে জঙ্গীবাদের মদদ দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। রবিবার সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এ অভিযোগ করেন। ঢাকায় পাকিস্তানী হাইকমিশনের এক কর্মকর্তার ‘জঙ্গী যোগসাজশের’ কথা প্রকাশিত হওয়ার পর এই প্রথম সরাসরি দেশটিকে দায়ী করে দেশের কোন মন্ত্রী বক্তব্য দিলেন। শাজাহান খান বলেন, ফারিনা নামে পাকিস্তান হাইকমিশনের এক কর্মকর্তার জঙ্গীবাদে মদদ দেয়ার খবর। তার ফলশ্রুতিতে চট্টগ্রামে নেভির মসজিদে বোমা হামলা হয়েছে। জঙ্গীদের অর্থায়নে জড়িত সন্দেহে গত জানুয়ারিতে পাকিস্তান হাইকমিশনের মাযহার খান নামে এক কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর গ্রেফতারকৃত এক জেএমবি সদস্য স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে বলেন, পাক হাইকমিশন কর্মকর্তা ফারিনা আরশাদের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল, যার ভিত্তিতে গণমাধ্যমে খবর ছাপা হয়। শাজাহান খান আরও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে পাকিস্তান। একাত্তর সালে গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে বাংলাদেশের কাছে ‘পায়ে ধরে’ ক্ষমা চাওয়ার আহ্বানও জানান তিনি। আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ১৯৫ যুদ্ধাপরাধী সদস্যের প্রতীকী বিচারের রায় ঘোষণা করা হবে বলেও এই সভায় জানান শাজাহান খান। একাত্তরে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মতো অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পাকিস্তানের সরকার ও রাজনীতিকদের নেতিবাচক মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন এই শ্রমিক নেতা। যুদ্ধাপরাধী বিএনপি নেতা সাকা চৌধুরী এবং জামায়াত নেতা মুজাহিদের ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার পর তা নিয়ে পাকিস্তানের তেহরিক-ই ইনসাফ নেতা ইমরান খানেরও সমালোচনা করেন তিনি। শাজাহান খান বলেন, এই ইমরান খানকে আপনারা জানেন? ধূর্ত নিয়াজী যে ছক গণহত্যার ছক এঁকেছিল, সেই নিয়াজীর আপন ভাতিজা ইমরান খান নিয়াজী। সে তো আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলবেই। চলতি বছরের শুরুতে বিএনপি-জামায়াতের হরতাল অবরোধে যেসব চালক, হেলপার, শ্রমিক ও পুলিশ হত্যাকা-ের শিকার হয়েছেন, তাদের ‘শহীদ’ আখ্যা দেয়ার দাবি জানান তিনি। মতবিনিময় সভা থেকে শ্রমিক ইউনিয়নের আগামী কয়েক মাসের কর্মসূচীর কথাও জানানো হয়। এর মধ্যে রয়েছে ৩ জানুয়ারি বিকেল তিনটায় শাপলা চত্বরে গণজমায়েত এবং বিক্ষোভ মিছিল। ৬ জানুয়ারি যুদ্ধাপরাধী নিজামীর ফাঁসির রায় বহাল ও দ্রুত কার্যকরের দাবিতে সকাল নয়টা থেকে প্রেসক্লাবের সামনে গণঅবস্থান।
×