স্টাফ রিপোর্টার ॥ নার্সদের নানা সঙ্কট নিরসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করে মানববন্ধন করেছে নার্সিং কলেজ টিচার্স এ্যাসোসিয়েশন।
শনিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ কর্মসূচী পালিত হয়। কর্মসূচীর নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ বেসিক নার্সিং কলেজ টিচার্স এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কোহিনূর বেগম এবং মহাসচিব গুলশান আরা বিশ্বাসসহ অনেকেই।
মানববন্ধনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী ২০১১ সালে নার্সদের দ্বিতীয় শ্রেণীর মর্যাদা প্রদানের পূর্বে উচ্চতর পদসমূহ প্রথম শ্রেণীতে উন্নীতকরণ এবং যে সব নার্স ওই পদে কর্মরত ছিলেন তাদের প্রথম শ্রেণীতে নিয়মিতকরণের নির্দেশ দেন। এ নির্দেশ অনুযায়ী নার্সিং ইনস্টিটিউট প্রধান নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ, নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষক নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর ও সেবিকা শিক্ষয়িত্রী, নার্সিং কলেজের শিক্ষক ইনস্ট্রাক্টর ও ডেমনেস্ট্রেটর, জেলা পাবলিক হেলথ নার্স, হাসপাতালের ডিপুটি নার্সিং সুপারিনটেন্ড্যান্ট, ওটি সুপারভাইজার ও নার্সিং সুপারভাইজার এই নয়টি পদই প্রথম শ্রেণীভুক্ত হওয়ার কথা।
অথচ ৪ মে ২০১৫ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত প্রথম শ্রেণীতে উন্নীতকরণের আদেশে সম স্কেল, সমযোগ্যতা ও সমমর্যাদাসম্পন্ন দ্বিতীয় শ্রেণীর ৭টি পদ বাদ দিয়ে শুধু দুটি পদ প্রথম শ্রেণীভুক্ত করা হয়। এ বৈষমের ফলে নার্সিং শিক্ষা ও প্রশাসনের ক্ষেত্রে সঙ্কট-জটিলতা সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সচিব মহোদয়সহ কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি প্রদান, কালোব্যাজ ও মানববন্ধনসহ বিভিন্নভাবে অবগত করা হয়।
সম্প্রতি ৮ ডিসেম্বর আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় দ্বিতীয় শ্রেণীর বাকি ৭টি পদ প্রথম শ্রেণীতে উন্নীত না করে সিনিয়র স্টাফ নার্সদের মধ্য থেকে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদায়ন করে সেবা কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ সিদ্ধান্ত নার্সদের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অবিলম্বে এ দাবি মানা না হলে নার্স সমাজ বৃহত্তর কর্মসূচী গ্রহণে বাধ্য হবে বলে মানববন্ধন থেকে বলা হয়।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ১০ হাজার নার্স নিয়োগদানের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কর্তৃক যথাযথ ভূমিকা ও পদক্ষেপের মাধ্যমে অবিলম্বে ১০ হাজার নার্স নিয়োগের প্রক্রিয়া দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে বলেও মানববন্ধন থেকে দাবি তোলা হয়।