ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পৌর নির্বাচনে ২০ দল সম্মিলিত প্রচারে নামবে ॥ ফখরুল

প্রকাশিত: ০৫:২০, ২০ ডিসেম্বর ২০১৫

পৌর নির্বাচনে ২০ দল সম্মিলিত প্রচারে নামবে ॥ ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে ২০ দলীয় জোট সম্মিলিত প্রচারে নামবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, জামায়াতের সঙ্গে দু’এক জায়গায় সমস্যা থাকলেও তা স্থানীয়ভাবে সমাধান করা হবে। শনিবার দুপুরে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের মহাসচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা জানান। উল্লেখ্য, ২০ দলীয় জোটের মহাসচিব পর্যায়ের এ বৈঠকে জামায়াতের কোন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা শুরু থেকেই সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু পৌর নির্বাচনে সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের আচরণ বিধি লঙ্ঘন ঠেকাতে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ হয়েছে। তবে গণতন্ত্রের স্বার্থে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। তিনি পৌরসভা নির্বাচনে সরকারী হস্তক্ষেপ বন্ধের দাবি জানিয়ে বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ পেলে জনগণ গণতন্ত্রের পক্ষে রায় দেবে। মির্জা ফখরুল বলেন, বৈঠকে বেশ ক’টি বিষয় নিয়ে আলোচনা হলেও প্রধান বিষয় ছিল পৌরসভা নির্বাচন। ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে ২০ দলের যারা প্রার্থী রয়েছেন তাদের সমর্থন দেয়া হবে। কোন কোন জায়গায় নিজস্ব প্রতীক নিয়ে কেউ কেউ নির্বাচন করছেন। তবে যারা ২০ দলের ঐকমত্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরও সমর্থন দেয়া হবে। তিনি বলেন, কোথাও কোথাও ইতোমধ্যে ২০ দলের প্রার্থীদের পক্ষে সম্মিলিতভাবে প্রচার শুরু হয়েছে। শুক্রবার দিনাজপুর ও রংপুরে ২০ দলের নেতারা এক সঙ্গে জোটের প্রার্থীদের পক্ষে প্রচার চালিয়েছেন। দু’এক দিনের মধ্যে সব জায়গায় সম্মিলিত প্রচার শুরু হবে। মির্জা ফখরুল বলেন, পৌর নির্বাচনকে আমরা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পর্যায় হিসেবে নিয়েছি। অতীতে নির্বাচন কমিশন অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ব্যর্থ হয়েছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন থেকে শুরু করে পরবর্তী সকল নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। ওই নির্বাচনগুলোর কোনটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি। এরপরও আমরা পৌর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। বিএনপির প্রার্থীরা গ্রেফতার আতঙ্কে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারছে না অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তফসিল ঘোষণার পর থেকেই প্রার্থীদের ওপর নির্যাতন শুরু হয়েছে। কয়েক মাস ধরে দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে জেলখানা ভরে ফেলা হয়েছে। তিনি গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি দাবি করেন। জামায়াতের প্রার্থীদের পক্ষে আপনারা নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জামায়াতের সঙ্গে একটু সমস্যা আছে। স্থানীয়ভাবে এর সমাধান করা হবে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে ২০ দলীয় জোটের মহাসচিব পর্যায়ের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এলডিপি মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, বিজেপি মহাসচিব আব্দুল মতিন, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এম এম আমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহম্মেদ আব্দুল কাদের, জাগপা মহাসচিব খন্দকার লুৎফর রহমান, এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান, ডিএলের যুগ্ম মহাসচিব খোকন চন্দ্র দাস, মুসলিম লীগের মহাসচিব এ্যাডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, সাম্যবাদী দলের মহাসিচব সাঈদ আহমেদ, এনডিপির যুগ্ম মহাসচিব ফরিদ উদ্দিন, জমিয়তে ওলামার মহাসচিব মহিউদ্দিন ইকরাম, লেবার পার্টির মহাসচিব হামদুল্লাহ মেহেদী, পিপলস লীগের মহাসচিব এ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহাবুব হোসেন এবং ন্যাপ ভাসানীর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব গোলাম মোস্তফা। ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান, সহ-প্রচার সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-দফতর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম। ইসি-সরকার এক সঙ্গে কাজ করছে- রিজভী ॥ পৌরসভা নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও সরকার এক সঙ্গে মিলে কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শনিবার বিকেলে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন এখন মহানগর ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকা পালন করছে। ট্রাফিক পুলিশের মতো নির্বাচন কমিশন সরকারের সব হুকুম মেনে কাজ করছে। এ কারণে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। যুবদলের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন গয়েশ্বর ॥ যুবদলের আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সংগঠনের নেতাকর্মীর ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। আসন্ন পৌর নির্বাচনে নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে অংশ না নিয়ে যুবদলের অনুষ্ঠানে বসে থাকায় তিনি এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিজয় দিবস উপলক্ষে যুবদলের আলোচনা সভায় সংগঠনের নেতাকর্মীদের তিনি বলেন, আপনারা ঢাকায় কেন? ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন শেষ করে আপনাদের ঢাকায় আসার কথা। এখানে বসে আছেন কেন? আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-সভাপতি ফজলুর রহমান, কৃষক দলের নেতা শাজাহান মিয়া সম্রাট।
×