ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সন্ধ্যার পর মিছিল আর মাইকের শব্দে প্রকম্পিত মাদারীপুর

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৫

সন্ধ্যার পর মিছিল আর মাইকের শব্দে প্রকম্পিত মাদারীপুর

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর, ১৮ ডিসেম্বর ॥ মাদারীপুরের ৩ পৌরসভার নির্বাচনী মাঠ সরগরম হয়ে উঠেছে। প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। তবে এবারের নির্বাচনে প্রতীক নিয়ে প্রার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ থাকলেও এখন নির্বাচনে জয়লাভ করাই মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রচারে সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলর ও সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীরা এগিয়ে আছেন। দিনের চেয়ে রাতে প্রচার বেশ জমছে। নিজ-নিজ প্রার্থীর সমর্থক-কর্মীরা খ- খ- মিছিল নিয়ে নেচে-গেয়ে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন সমান তালে। সন্ধার পর মিছিল আর মাইকের শব্দে প্রকম্পিত হয়ে উঠেছে পৌর এলাকা। সর্বত্র উৎসবের আমেজ পরিলক্ষিত হচ্ছে। শীত উপেক্ষা করে মধ্যরাত পর্যন্ত প্রার্থী-সমর্থকদের পদচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে পৌর এলাকা। ব্যস্ত হয়ে উঠেছে ছাপাখানাগুলো। কদর বেড়েছে চা-নাস্তার দোকানিদের। পোস্টার লাগাতে ব্যস্ত সময় পার করছে বেকার যুবকরা। প্রচারে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আছে কিন্তু কোন দ্বন্দ্ব নেই। সকলেই সৌহার্দপূর্ণ আচরণ করছেন একে অন্যের প্রতি। নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে সকলেই আশাবাদী, তবে পরাজয় মেনে নেয়ার মনমানসিকতাও লক্ষণীয়। মাদারীপুর পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগের খালিদ হোসেন ইয়াদ, বিএনপির মিজানুর রহমান মুরাদ, জাতীয় পার্টির প্রার্থী এ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম স্বপন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন খোকন শরীফ মাঠে রয়েছেন। এছাড়া ৯টি ওয়ার্ডে ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৪৭ ও ৩টি সংরক্ষিত আসনে মহিলা কাউন্সিলর পদে ১০ জন প্রার্থী নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। কালকিনিতে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের এনায়েত হোসেন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মশিউর রহমান সবুজ, লোকমান হোসেন ও আবুল কালাম আজাদ। ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের প্রার্থী লুৎফর রহমান প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। এ পৌরসভায় প্রথম থেকে মেয়র পদে প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অভিযোগ ওঠে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন না করে জেলা আওয়ামী লীগ জামায়াত ঘরানার বিতর্কিত ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিতে কেন্দ্রে সুপারিশ করে। কেন্দ্র থেকে এনায়েত হোসেনকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত করে। এর জের ধরে আওয়ামী লীগের ৩ নেতা বিদ্রোহী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
×