ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৫

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা

এইচএম এরশাদ, কক্সবাজার ॥ সম্প্রতি পার্বত্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে গুলিতে এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার ঘটনায় স্থানীয় অধিবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক না থাকলেও জামায়াত ও আরএসও ক্যাডাররা মিথ্যা গুজব ছড়াচ্ছে। অথচ সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে দিনে রাতে পালা করে টহল জোরদার করে দায়িত্বে রয়েছে বিজিবি জওয়ানরা। সূত্র জানায়, আরএসও ক্যাডারদের অনেকে সীমান্ত এলাকায় বলে বেড়াচ্ছে-গভীর রাতে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদল বিজিপি অথবা আরাকান আর্মির লোকজন এসে বাড়ি-ঘরে হামলা চালাতে পারে। মেয়েদের ধরে নিতে পারে। সদ্য বরখাস্তকৃত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা তোফায়েল আহমদের পক্ষে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে এসব গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। তোফায়েল আহমদের স্বজনরা বিষয়টি সত্য নয় দাবি করে বলেন, এসব মিথ্যা অভিযোগ এনে চেয়ারম্যানকে ঘায়েল করার অপচেষ্টা হচ্ছে। সূত্র আরও জানায়, রামু বৌদ্ধ বিহারে হামলা-অগ্নিসংযোগ, পরবর্তীতে শহরের হাসেমিয়া মাদ্রাসা এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর সশস্ত্র হামলা ও চকরিয়া-পেকুয়ার বিদেশগামী বাসিন্দাদের ওপর পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ ইত্যাদি ঘটনা ঘটিয়েছিল মৌলবাদী গোষ্ঠী। এর পরেও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পেরে জামায়াত-আরএসওর জঙ্গীরা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের পরিকল্পনায় নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারা। সোমবার নাইক্ষ্যংছড়ির আশারতলী সীমান্তে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির গুলিতে জয়নাল আবেদীন নামে বাংলাদেশী নিহত হয়। পরদিন ১৫ ডিসেম্বর একই জায়গায় আবারও গুলিতে আরও এক গ্রামবাসী আহত হয়।
×