ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সুস্থ মানসিকতার অভাব

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৫

সুস্থ মানসিকতার অভাব

নারী কখনও মা, কখনও বোন, কখনও বা সহধর্মিণী। নারীকে বলা হয় মায়ের জাতি। যাদের আসন সব সময় উপরে। কিন্তু বর্তমান সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনায় গণপরিবহনে নারী যাত্রীরা চরম নিপীড়ন ও নাজেহাল হচ্ছে। বেশিরভাগ সময়ই বাসে নানা ধরনের বিচিত্র অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়। শোনা যায় নারী যাত্রীর পাশে কোন পুরুষ যাত্রী বসলে প্রথমে ঠেস দিয়ে বসে। তারপর শরীর স্পর্শ করার অজুহাত তৈরি করে। লক্ষ্য করলে দেখা যায়, সাধারণ বাসে মহিলাদের জন্য ৪/৫টি সিট থাকে। সেখানেও বসে থাকে পুরুষ যাত্রী। এছাড়া প্রত্যহ পুরুষ যাত্রীর সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করে গাড়িতে ওঠা, নামার সময় নারী যাত্রীদের সুযোগ দেয়া হয় না। দ্রুতগতিতে নারী যাত্রীরা বাসে উঠলে দুর্বলতার সুযোগে বাসের হেলপাররা গায়ে হাত দেয়। এমনকি অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটায়। এ ধরনের ঘটনা, ভোগান্তি, নাজেহাল নৈমিত্তিক। নারীরা অভিযোগ করলে পুরুষশাসিত সমাজ সমঅধিকারের ধুয়া তুলে অজুহাত দেয়। তাই নীরবে এ অপমান, নাজেহাল, ভোগান্তি সহ্য করতে হয়। এ বিষয়গুলো বিবেকবান মানুষসহ কর্তৃপক্ষকে ভাবতে হবে। আমরা একদিনে এ সমস্যা সমাধান হয়ত করতে পারব না। তবে ইচ্ছা করলে ধাপে ধাপে বদলে দিতে পারি। প্রাথমিকভাবে গণপরিবহনে ৪/৫টি আসনের স্থলে ১০/১২টি আসন বরাদ্দ করা যেতে পারে। আধুনিক বাসের দুটি দরজা রাখা যেতে পারে। যার একটি দিয়ে পুরুষ অন্যটি দিয়ে নারী যাত্রী উঠতে পারে। বিভিন্ন রুটে নারী যাত্রীসেবা বাস চালু করতে হবে। পুরুষ ও বাসের হেলপারদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। প্রয়োজনে শাস্তির ব্যবস্থা করা যেতে পারে। খেয়াল রাখতে হবে যাতে নারী যাত্রীদের যাত্রীসেবা নিরাপদ হয়। রাধানগর, পাবনা থেকে
×