ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মানস ঘোষ

গোলক মজুমদারের অপ্রকাশিত আত্মকথা

প্রকাশিত: ০৮:১২, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৫

গোলক মজুমদারের অপ্রকাশিত আত্মকথা

২৫মার্চ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণহত্যা শুরু হবার বেশ আগেই শেখ মুজিব মনস্থির করে ফেলেছিলেন যে, তিনি আত্মগোপন করবেন না এবং ঢাকায় তাঁর ধানম-ির বাসাতেই থাকবেন। তবে তিনি আওয়ামী লীগে তাঁর সেকেন্ড-ইন-কমান্ড তাজউদ্দীন আহমদকে নির্দেশ দিয়ে বলেছিলেন, সেনা অভিযানে তিনি গ্রেফতার কিংবা নিহত হলে আওয়ামী লীগের নেতারা যেন ‘সীমান্ত পাড়ি দিয়ে চীনে চলে যায়’ কারণ তাঁর নির্দেশ ছিল ‘ভারতকে কোন অবস্থাতেই বিব্রত করা যাবে না। তবে চীন সাহায্য করতে অস্বীকৃতি জানালে তখন শেষ অবলম্বন হিসেবে ভারতের সাহায্য চাইতে হবে।’ এমনি আরও অনেক অকথিত কাহিনীর উল্লেখ আছে গোলক বিহারী মজুমদারের অপ্রকাশিত স্মৃতিকথায় যা তিনি শেষ করে যেতে পারেননি। তার আগেই গত জুলাই মাসে তিনি আকস্মিকভাবে মৃত্যুবরণ করেন। গোলক ছিলেন বিএসএফের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তের প্রধান। মুক্তিযুদ্ধের গোটা নয় মাসে তিনি ভারতের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশের স্বনির্বাসিত রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও ভারতে প্রশিক্ষিত মুক্তিবাহিনীর মধ্যে সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করেছিলেন। সেই গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলোতে তিনি সরাসরি প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কাছ থেকে নির্দেশ লাভ করতেন। ইন্দিরা তাঁকে বলে দিয়েছিলেন : ‘তোমার যা উপযুক্ত মনে হবে তাই করবে, জাতীয় স্বার্থে যতদূর যাওয়া সঠিক বলে তোমার কাছে মনে হবে ততদূর যাবে।’ ১৯৭১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শেখ মুজিব ও প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ক্ষমতা ভাগাভাগি প্রশ্নে একটা ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হলে বিএসএফের মহাপরিচালক জেএফ রুস্তমজী আঁচ করতে পারলেন যে, একটা রাজনৈতিক অচলাবস্থা আসন্ন যার পরিণতিতে পূর্ব পাকিস্তানের পরিস্থিতি ফেনিয়ে উঠবে। তিনি মনে করেন ‘বিএসএফকে এ সময় জাতীয় স্বার্থে একটা নিয়ামক ভূমিকা পালন করতে হবে।’ তাই তিনি গোলককে বিএসএফের পূর্বাঞ্চলীয় ফ্রন্টিয়ারের প্রধান করে দিল্লীস্থ বিএসএফ সদর দফতর থেকে কলকাতায় পাঠিয়ে দেন। রুস্তমজী গোলককে কলকাতায় পাঠিয়ে দেয়ার সময় একটা ব্ল্যাঙ্ক চেক দিয়েছিলেন। গোলকের প্রতি তাঁর নির্দেশ ছিল ‘ভারত ও বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থে যা কিছু করা প্রয়োজন তাই করতে হবে, তাঁর কাছে উপযুক্ত বলে মনে হয় এমন পদক্ষেপ নিতে হবে এবং সেই সঙ্গে তাঁর নিজস্ব পরিসীমা ও লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে।’ গোলকের প্রথম দায়িত্ব ছিল সীমান্ত বরাবর একটা সুপরিচালিত গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক স্থাপন করা। তিনি তৎক্ষণাৎ সীমান্তের ওপার থেকে নিয়মিত ভিত্তিতে নির্ভরযোগ্য তথ্যের সরবরাহ পেতে শুরু করে দেন। সেনা অভিযান শুরু হবার তিনদিনের মধ্যে তিনি গোপনসূত্রে খবর পান যে আওয়ামী লীগের কতিপয় সিনিয়র নেতা গরিব চাষার ছদ্মবেশে কুষ্টিয়া-ভারত সীমান্তের দিকে যাচ্ছেন। গোলক সঙ্গে সঙ্গে কানপুর গেদে সীমান্তে ছুটে যান এবং সেখান থেকে গিয়ে পৌঁছান বাংলাদেশের মহকুমা শহর মেহেরপুরে, যেখানকার এসডিও ছিলেন তৌফিক এলাহী চৌধুরী। গোলক তাঁর কাছে এ এলাকায় আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা আছেন কিনা জানতে চান। তৌফিক প্রথমে এ ব্যাপারে তাঁর অজ্ঞতার কথা জানান। তবে পরে স্বীকার করেন যে, আওয়ামী লীগের দুজন সিনিয়র নেতা মেহেরপুরে আছেন। অচিরেই তিনি শ্রান্তক্লান্ত ও ক্ষুধা পিপাসায় অবসন্ন শরীরের ভদ্রলোকের মতো দেখতে দুব্যক্তিকে গোলকের সামনে হাজির করেন। একজন ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ এবং অন্যজন ব্যারিস্টার আমীরুল ইসলাম। তাজউদ্দীনের কাছে গোলক শুনলেন যে মুজিব চীনের সাহায্য চাওয়ার নির্দেশ দিয়ে গেছেন। মুহূর্তের মধ্যে ইন্দিরা গান্ধী ও জেএফ রুস্তমজীর নির্দেশের কথা গোলকের মনের মধ্যে ঝিলিক মেরে গেল। তিনি চাইলেন না তাঁরা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে চীনে চলে যাক। এটার বদলে বরং তার সঙ্গে ভারতে যাওয়ার জন্য তাদের অনুরোধ জানালেন। উপরন্তু গোলক আমন্ত্রণটা জানালেন এই কারণে তিনি নিশ্চিত ছিলেন চীনারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করবে। গোয়েন্দাসূত্রে তিনি জানতে পেরেছিলেনÑ প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরী কিসিঞ্জারের যুগান্তকারী চীন সফরের ক্ষেত্র প্রস্তুত করার কাজে ব্যস্ত। আমন্ত্রণ পেয়ে তাজউদ্দীন গোলকের মুখের দিকে তাকিয়ে সোজাসুজি জিজ্ঞাস করে বসেন, ‘কার কর্তৃত্ববলে আপনি আমাদের ভারতে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। আর ভারত আমাদের কি অফার দিতে পারে। গোলক তৎক্ষণাৎ জবাব দিয়েছিলেন, ‘ভারত সরকার, বিশেষভাবে আমাদের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী আমাকে পাঠিয়েছেন।’ পরবর্তীকালে গোলক ও তাজউদ্দীন দুজনেই জানতে পারেন যে তারা কলকাতার সেন্ট পলস কলেজে একসঙ্গে পড়েছেন। গোলক স্মৃতিকথায় লিখেছেন, ‘একথা জানার পর তাজউদ্দীন ও আমীরুল তাঁর ওপর আস্থা স্থাপন করেন এবং ভারতে যেতে রাজি হন। গোলাকের এই আমন্ত্রণই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে ইতিবাচক পথে দাঁড় করায় এবং বাংলাদেশকে পাকিস্তানী শাসনের জোয়াল থেকে মুক্ত করে ইতিহাস সৃষ্টি করে।’ মেহেরপুর থেকে এই তিনজন মোটরযোগে সোজা দমদম বিমানবন্দরে যান। ওদিকে রুস্তমজী বাংলাদেশী নেতাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য দিল্লী থেকে আসছিলেন। তবে এই দুই বাংলাদেশী নেতা নিজেদের যে পরিচয় দাবি করেছেন তাঁরা প্রকৃতই তা কিনা রুস্তমজী সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চেয়েছিলেন। বিএসএফের গোয়েন্দা প্রধান রাজাগোপালকে এই দুই নেতার সঙ্গে কথা বলতে বলা হলো। তিনিও নিশ্চিত করলেন এরা দুজন আসলেই তাজউদ্দীন ও আমীরুল। তখন রুস্তমজী ও গোলক দুই নেতাকে কলকাতার আসাম হাউজে নিয়ে গেলেন। রুস্তমজী এই দুই নেতাকে পরিধানের জন্য নিজের ব্যক্তিগত পোশাক দিলেন। ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে বেশবাসে ফিটফাট হওয়ার জন্য তাজউদ্দীন ও আমীরুল যখন নতুন পোশাক পরিধান করছিলেন সে সময় এই দুই নেতাকে দিল্লী নেয়ার জন্য ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ বিমান দমদম বিমানবন্দরে প্রস্তুত রাখা ছিল। নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা হিসেবে দিল্লী বিমানবন্দরে সব ধরনের বিমান চলাচল দিনের বেশির ভাগ সময় বন্ধ রাখা হয়েছিল। বিশেষ বিমানটি দমদম থেকে রওনা হতে দেরি করায় দিল্লী পৌঁছাতে বিলম্ব হয়। বিমানটির দিল্লী পৌঁছাতে কেন এত লম্বা সময় লাগছে জানার জন্য ইন্দিরা গান্ধী নিজেও খোঁজখবর নিয়েছিলেন। আসলে গোলক এই দুই নেতার সঙ্গে আলাপচারিতার মাধ্যমে প্রকৃত পরিস্থিতি সবিস্তারে অবহিত হচ্ছিলেন। কারণ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তখন কি ঘটছিল সে সম্পর্কে দিল্লীতে কারোরই তেমন কোন ধারণা ছিল না। পরদিন তাজউদ্দীন ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন। ইন্ধিরা অত্যন্ত সহৃদয়তার পরিচয় দেন এবং ‘তাকে প্রতিশ্রুতি দেন যে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সফল করে তুলতে ভারত সর্বাত্মক সাহায্য দেবে।’ সেই বৈঠকে তাজউদ্দীনের একটি দৃঢ় মন্তব্য ছিল এইÑ তাকে ও বাংলাদেশের অন্যান্য নেতাকে সব বিষয়ে সমান পক্ষ হিসেবে গণ্য করতে হবে। ইন্দিরা তৎক্ষণাৎ তাতে সম্মতি প্রকাশ করেছিলেন। কলকাতায় ফিরে আসার পর গোলক তাজউদ্দীনের জন্য শেকসপীয়ার সরণিতে এক নিরাপদ গৃহের (যা এখন অরবিন্দ ভবন) ব্যবস্থা করেন। ওখানে এই ব্যবস্থা করার কারণ জায়গাটা স্থানীয় বিএসএফ হেড কোয়ার্টারের কাছাকাছি। গোলক তার স্মৃতিকথায় এক অজানা বিপদের উল্লেখ করেছেন যেখানে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের গতিপথ বদলে যাবার আশঙ্কা ছিল। গোলকের ঘনিষ্ঠ বন্ধু নীহার চক্রবর্তী লিটল রাসেল স্ট্রিটে থাকতেন। প্রাতঃভ্রমণের সময় তিনি পর পর কয়েকদিন দেখতে পান কিছু আমেরিকান নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে তাজউদ্দীনকে যে বাড়িতে রাখা হয়েছিল তার ওপর তীক্ষè নজর রেখে চলেছে। তিনি আরও লক্ষ করেন ওই বাড়িটির উল্টোদিকে কাছাকাছি এক হোটেলের জানালায় দূরপাল্লার টেলিস্কোপ এবং অন্যান্য অত্যাধুনিক গোয়েন্দা সরঞ্জাম বসানো আছে। নীহার ছুটে গিয়ে গোলককে এই খবর দেন। হোটেলটিতে হানা দেয়া হয়। কিন্তু আমেরিকানরা আগেভাগে আঁচ করতে পেরে দামী গোয়েন্দা সরঞ্জাম সব ফেলে রেখে তড়িঘড়ি হোটেল ছেড়ে চলে যায়। পরে গোলক গোয়েন্দা বাহিনী ও তার আমেরিকান সোর্সের কাছ থেকে জানতে পারেন সিআইএ ওই নিরাপদ গৃহ থেকে তাজউদ্দীন ও অন্যান্য সিনিয়র আওয়ামী লীগ নেতাকে অপহরণের পরিকল্পনা এঁটেছিল। ঠিক ছিল যে এদের ঝড়ের গতিতে তুলে নিয়ে নিকটবর্তী এক ময়দানে নেয়া হবে। সেখানে মার্কিন নৌবাহিনীর দূরপাল্লার কয়েকটি হেলিকপ্টার নাটকীয়ভাবে এসে নামবে এবং অপহরণকৃত নেতাদের তুলে নিয়ে সে সময় বঙ্গোপসাগরে মোতায়েন মার্কিন বিমানবাহিনী রণতরী এন্টারপ্রাইজে পৌঁছে দেবে। সিআইএর এই অপহরণ পরিকল্পনা প্রেসিডেন্ট নিক্সন নিজেও অনুমোদন করেছিলেন। গোলক সারা বিশ্বে বাঙালী কূটনীতিকদের পাকিস্তানী দূতাবাস ছেড়ে চলে আসার সূত্রপাত ঘটাতেও মুখ্য ভূমিকা রেখেছিলেন। এই কূটনীতিকদের স্বপক্ষ ত্যাগের ঘটনায় বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার একটা মর্যাদা ও পরোক্ষ স্বীকৃতি লাভ করে। রুস্তমজীই বলেছিলেন কূটনৈতিক ফ্রন্টে কিছু করা প্রয়োজন এবং সে কাজটা শুরু করার সর্বোত্তম স্থান হচ্ছে কলকাতা। এ ব্যাপারে দিল্লীর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিপ্রায় জানবার চেষ্টা করা হলে বিএসএফকে এমন কর্মকা- থেকে দূরে সরে থাকতে বলে দেয়া হয়। কারণ যে কোন ভুল পদক্ষেপের কারণে ভারত ও মুক্তিযুদ্ধের কূটনৈতিক বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। কিন্তু বুঝিয়ে রাজি করার ক্ষমতার বদৌলতে গোলক পাক ডেপুটি হাইকমিশনার হোসেন আলীকে বাংলাদেশের স্বপক্ষে নিয়ে আসেন। এক্ষেত্রে তিনি হোসেন আলীর জাতীয়তাবাদী আবেগ ও অনুভূতিকে কাজে লাগিয়েছেন এবং সেই সঙ্গে তাকে ও তার পরিবারকে নিরাপত্তা জোরাল ছত্রছায়াও যুগিয়েছিলেন। প্রথমে আলী এই ভেবে শঙ্কিত ছিলেন যে, পাকিস্তানের প্রতি আনুগত্য ত্যাগ করে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রতি অনুগত্য ঘোষণা করলে পাকিস্তানীরা তার ও পরিবারের ক্ষতি সাধন করবে। তাঁকে তখন সাহস জোগানো হয়। হাইকমিশন ভবন শীর্ষ থেকে পাকিস্তানী পতাকা নামিয়ে বাংলাদেশী পতাকা উত্তোলনে উৎসাহিত করা হয়। ব্যাপারটা দ্বিগুণ নিশ্চিত করার জন্য গোলক কোর্তা পায়জামা পরে ও জুতা পালিশের সরঞ্জাম নিয়ে হাইকমিশন ভবনের সামনের দিকে বসে ছিলেন। রুস্তমজী তিন তিনবার গোলকের সামনে দিয়ে হেঁটে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাকে দেখতে বা চিনতে পারেননি। মুজিবনগরে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার ঘোষণার আগে একটা সংবিধানের প্রয়োজনীয়তা তীব্রভাবে অনুভূত হয়েছিল। কলকাতার স্বনামধন্য ব্যারিস্টার সুব্রত রায় চৌধুরী এবং কলকাতায় সে সময় উপস্থিত কয়েকজন সেরা বাংলাদেশী আইন বিশেষজ্ঞ একত্রে মাথা ঘামিয়ে কয়েকদিন ধরে খেটেখুটে প্রথম সংবিধান প্রণয়ন করেন। সংবিধানটি অস্থায়ী সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয়। মুজিবনগরে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে এই সংবিধান পাঠ করা হয়। মুজিবনগরে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের জন্য গোলককে কৃষ্ণনগর থেকে ভাল ভাল কণ্ঠশিল্পীও জোগাড় করতে হয়েছিল। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন উপস্থিত জনম-লীকে মন্ত্রমুগ্ধ করে ফেলে। এ সময় বিএসএফ কমান্ডরা মুজিবনগর আম্রকাননকে ঘিরে রেখেছিল। কাস্টমস স্টোর থেকে সংগ্রহ করা স্নাইপার রাইফেলসহ বেশকিছু শার্প শুটার মোতায়েন করা হয়েছিল। বিমান হামলা ঠেকাতে অনুষ্ঠানস্থলের চারপাশে বিমান বিধ্বংসী কামানও বসানো হয়েছিল। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে এই অনন্য সাধারণ অবদানের জন্য ভারত সরকার গোলক মজুমদারকে পরম বিশিষ্ট সেবা পদকে ভূষিত করেন। এই প্রথম এ পদকটি একজন বেসামরিক অফিসারকে প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরম বিশিষ্ট সেবা পদকটি সাধারণত ভারতীয় সামরিক বাহিনীর অফিসার ও জওয়ানদের জন্য সংরক্ষিত। অনুবাদ : এনামুল হক
×