ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

থিয়েটার মানুষের জন্য ॥ আল নোমান

প্রকাশিত: ০৬:০৬, ৭ নভেম্বর ২০১৫

থিয়েটার মানুষের জন্য ॥ আল নোমান

অভিনেতা ও নির্দেশক আল নোমান। দেশে-বিদেশে কাজ করছেন। ক্যান্সার আক্রান্ত মেধাবী ছাত্রের চিকিৎসার সাহায্যার্থে শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে আজ সন্ধ্যায় তাঁর দল নাটুকে ‘ঠাকুর ঘরে কে রে’ নাটকের ৩৩তম মঞ্চায়ন করবে। এ প্রসঙ্গে তাঁর সঙ্গে কথা হয়। ‘ঠাকুর ঘরে কে রে’ নাটকটি সম্পর্কে বলুন আল নোমান: আমার সংগঠন নাটুকের ষষ্ঠ প্রযোজনা এ নাটকটি। ফরাসী নাট্যকার মার্ক ক্যামলতি রচিত নাটকের বাংলা রূপান্তর ও নির্দেশনা আমার। হাস্য-রসাত্মক কিন্তু গতিশীল নাটকটিতে দর্শক এক নির্মল আনন্দ পাবে বলেই আমার বিশ্বাস। আজকের প্রদর্শনী সম্পর্কে বলুন আল নোমান: ‘থিয়েটার ক্যান ফান্ড’ এর মাধ্যমে আমরা ২০০৯ সালে থেকে এক কোটি ৩২ লাখ টাকা ক্যান্সারসহ দূরারোগ্য রোগীদের সাহায্য করেছি। আজকের শোয়ের অর্থ আমরা নোয়াখালীর প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ক্যান্সারে আক্রান্ত নিশান চাকমার চিকিৎসার সাহায্যার্থে পরিবারের হাতে তুলে দেব। আমরা বিশ্বাস করি থিয়েটার মানুষের জন্যে, মানবতার জন্যে। আপনিতো ফরাসী নাট্যোৎসবের সাতে যুক্ত আল নোমান: উদ্যোক্তা ও সমন্বয়ক হিসেবে ২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত উৎসব করেছি। দেশের বিখ্যাত নাট্য ব্যক্তিত্বদের সম্মাননার পাশাপাশি ভাল ভাল নাটক প্রযোজনা করছি, সামনে আরও বড় উৎসব করার পরিকল্পনা রয়েছে। আপনি তো বিদেশেও কাজ করেছেন? আল নোমান: লন্ডনে ২০০৫ সালে অসীম দাশ নির্দেশিত ‘জর্জ ডঁড্যা’ ও ‘তমসা’ নাটকে অভিনয় করি। ২০০৬ সালে ওয়ালসের হোটেল মেরিয়েটে ‘আজকের দ্রোপদী’ নাটকের মঞ্চ ও আলোকসজ্জার কাজ করি। আগামী এপ্রিলে সুইজারল্যান্ডে সুইচ বাংলা থিয়েটারে একটি নাটক নির্দেশনার কথা রয়েছে। সেখানে গত বছরের এপ্রিলে ১৫ দিনের একটি ওয়ার্কশপ করিয়েছিলাম। বাংলাদেশে নাট্যচর্চার প্রেক্ষাপট কেমন? আল নোমান: থিয়েটার মানুষকে প্রদীপ্ত করে, সমাজকে আলোকিত করে, চিন্তা-চেতনায় মনুষ্যত্ব জাগায়। তবে এখানে কমিটমেন্টের সংকট চলছে। আর সম্ভাবনা নতুন প্রজন্মের আগ্রহ। তবে ভাল নাটক আর শক্তিশালী অভিনয়ই পারে দর্শক টানতে। -গৌতম পা-ে
×