ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঝলক

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ৬ নভেম্বর ২০১৫

ঝলক

বিহারী বাবু বনাম বাহারী বাবু ভারতের বিহার রাজ্যের চলমান নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে বিজেপিবিরোধী জোটের প্রধান নিতীশ কুমার ও প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদির বাহাস। এক নির্বাচনী জনসভায় মোদি বলেছিলেন, ‘নিতীশ কুমারের ডিএনএ-তে কিছু সমস্যা আছে। গণতন্ত্রের ডিএনএ এই রকম নয়। গণতন্ত্রের ডিএনএ বিপক্ষ রাজনৈতিক দল ও নেতাদের সম্পর্কে সুআচরণ করতে শেখায়। সহবত শেখায়।’ এর পরই মোদির বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগাতে থাকেন নিতীশ। তিনি বলেন, ‘আমার ডিএনএ বিহারের বরং মোদি ও অমিত শাহর ডিএনএ বিহারের নয়। তারা বহিরাগত।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিহারী আর তারা বাহারী বাবু (অর্থাৎ বহিরাগত)।’ এক টুইট বার্তায় নিতীশ লেখেন, কেন্দ্রীয় সরকারকে কিছু বললে, প্রশ্ন করলে, সরকার কেবল টুইটে জবাব দেয়, প্রতিক্রিয়া জানায় সেখানেই। তাই এ সরকার টুইট সরকার। নরেন্দ্র মোদিকে ‘জুমেলা বাবু’ আখ্যা দিয়ে নিতীশ আরও বলেন, বিহারের ডিএনএর দাম তুমি কি বুঝবে! উল্লেখ্য, জুমেলা বাবু অর্থাৎ যারা ফাঁপা প্রতিশ্রুতি দেন, বড় বড় কথা বলেন। মঙ্গলে বানর! লাইকা নামের কুকুরটির কথা মনে আছে? ১৯৫৭ সালের ৩ নবেম্বর সোভিয়েত মহাকাশযান স্পুটনিক ২-এ চড়ে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিল সে। প্রথম মহাকাশচারী প্রাণী হিসেবে ইতিহাসে লাইকার নাম চিরস্থায়ী। আবার সেই রাশিয়াই ২০১৭ সাল নাগাদ মঙ্গলগ্রহে বানর পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে। ২০১৭ সালের মধ্যে মঙ্গলগ্রহে পাঠানোর জন্য ইতোমধ্যে রেসাস ম্যাকাকিউস প্রজাতির ৪টি বানরকে প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেছে রাশিয়ান একাডেমি অব সায়েন্স। প্রশিক্ষণের পদ্ধতি হিসেবে সহজ ধাঁধা সমাধানের পাশাপাশি জয়স্টিক (বিমানের গতিবিধি নিয়ন্ত্রকযন্ত্র) নিয়ন্ত্রণের প্রশিক্ষণও দেয়া হচ্ছে। রুশ বিজ্ঞানীদের আশা, দ্রুতই মঙ্গলে পাড়ি দেয়ার জন্য তৈরি হয়ে যাবে এই বানরগুলো। তবে তাদের আবার পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হবে কিনা, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি একাডেমি অব সায়েন্স। অবশ্য মঙ্গলগ্রহে বানর পাঠানো নিয়ে এরই মধ্যে আপত্তি তুলেছে পশুপ্রেমীরা। ক্যান্সার রোধে ফ্যাট গ্রেনেড! ক্যান্সারের মতো ভয়ঙ্কর রোগকে বিদায় জানাতে ‘গ্রেনেড’ ছোড়া হবে শরীরের মধ্যেই। সেই গ্রেনেড ধ্বংস করবে টিউমার বা ক্যান্সারে আক্রান্ত কোষ ও কলা। আর এই ‘ঘুমন্ত’ গ্রেনেড রয়েছে আমাদের শরীরেই, এতদিন যা ছিল অজানা। বাইরে থেকে তাপ দিলেই তা জেগে উঠবে। এরপর ছুটে যাবে টিউমার বা ক্যান্সারে আক্রান্ত কোষ ও কলাগুলোকে মারার জন্য। এমনই অভিনব পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক কোস্টাস কোস্টারেলোর নেতৃত্বাধীন গবেষক দল। গ্রেনেডটির নাম লাইপোজোমস। লাইপোজোমস হলো ফ্যাটের ছোট ছোট বুদবুদ। এরা কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে সারাক্ষণ মানুষের মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঘুরে বেড়ায়। এদের বাইরে থেকে কৃত্রিমভাবে তাপ দিয়ে জাগানো হলেই ছুটে গিয়ে শরীরে ঢোকা কোন ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসকে ধ্বংস করে ফেলে। অধ্যাপক কোস্টারেলো জানিয়েছেন, লাইপোজোম-গুলোকে ৪২ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় গরম করতে হবে। আর টিউমার বা ক্যান্সার কোষগুলোকে ধ্বংস করার ওষুধ ওই বাড়তি তাপে লাইপোজোমগুলোতে পাঠিয়ে দেয়া হবে। যেভাবে ক্ষেপণাস্ত্রের মাথায় ‘নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড’ বা পরমাণু অস্ত্রশস্ত্র বসিয়ে দেয়া হয়।
×