ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দুই বাংলার নাটকে মুগ্ধ দর্শক ॥ বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী নাট্যোৎসব

প্রকাশিত: ০৪:২৪, ২ নভেম্বর ২০১৫

দুই বাংলার নাটকে মুগ্ধ দর্শক ॥ বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী নাট্যোৎসব

মামুন-অর-রশিদ, রাজশাহী ॥ প্রতিদিন সন্ধ্যা নামলেই দর্শক ছুটে আসছে নাটকের টানে। বাড়ছে প্রাণের উচ্ছ্বাস। এসব দর্শকদের বেশিরভাগই বিশ^বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক। অনেকে আসছেন পরিবার নিয়ে। বসে উপভোগ করছেন নাট্যরস। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তন দর্শকে পরিপূর্ণ হয়ে উঠছে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী নাট্যোৎসবে। দুই বাংলার দশটি নাট্যদলের প্রযোজনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হচ্ছে একের পর এক নাটক। এ উৎসবের নাটক মুগ্ধ করছে দর্শকদের। গত ২৮ অক্টোবর বুধবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগ আয়োজিত এ নাট্যোৎসবের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার পঙ্কজ সরণ। নাট্যোৎসবের প্রথম ও দ্বিতীয় দিনে মঞ্চস্থ হয় রাবির নাট্যকলা বিভাগের প্রযোজনা ‘টিনের তলোয়ার’। বাংলা নাটকের রঙ্গালয়ের শতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘টিনের তলোয়র’ নাটকটি রচনা করেন নাট্যকার উৎপল দত্ত। ড. মীর মেহবুব আলমের নির্দেশনায় এতে অভিনয় করেন নাট্যকলা বিভাগের ২০ শিক্ষার্থী। একইদিন সন্ধ্যা ৭-১৫ মিনিটে মোহিত চট্টোপাধ্যায়ের রচনা ও অনন্ত হিরার নির্দেশনায় মঞ্চস্থ হয় ‘আওরঙ্গজেব’। নাটকটি প্রযোজনা করে ঢাকার নাট্যদল প্রাঙ্গণেমোর। চতুর্থ দিন শনিবার বিকেল ৫টায় মঞ্চস্থ হয় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রামা এ্যান্ড মিউজিক বিভাগের প্রযোজনা ‘শ্যাম-রাই’। নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন রুহুল আমিন। সন্ধ্যা ৭-১৫ মিনিটে মঞ্চস্থ হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযোজনায় পরিবেশিত হয় যাত্রাপালা ‘বাঙালি’। ব্রজেন্দ্রকুমার দে রচিত নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন ড. আবদুল হামিদ প্রামাণিক। ‘জাদুবংশ’ নাটকটির মঞ্চায়ন হয় উৎসবের পঞ্চম দিন রবিবার সন্ধ্যা ৭-১৫ মিনিটে। কলকাতার নাট্যদল সুন্দরম প্রযোজিত এ নাটকটি রচনা, নির্দেশনা ও অভিনয় করেছেন কলকাতার বিশিষ্ট নাট্যকার মনোজ মিত্র। এর আগে বিকেল ৫টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রযোজনায় মঞ্চস্থ হয় ‘কবি’। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালজয়ী উপন্যাস ‘কবি’র নাট্যরূপ ও নির্দেশনা দিয়েছেন ইউসুফ হাসান অর্ক। উৎসবের ষষ্ঠ দিন সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে ত্রিপুরার নাট্যভূমির নাটক ‘আমি মাধবী’ পরিবেশিত হয়। নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন সঞ্জয় কর। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হবে দৃশ্যপটের প্রযোজনা ‘সক্রেটিসের জবানবন্দী’। শিশির কুমার দাস রচিত নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন আলী মাহমুদ। কাল বুধবার সন্ধ্যায় ব্রাত্য বসুর রচনা ও নির্দেশনায় কলকাতার নাট্যদল কালিন্দি ব্রাত্যদলের ‘রুদ্ধ সংগীত’ মঞ্চায়নের মধ্য দিয়ে উৎসবের শেষ হবে।
×