ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে গৃহবধুর আত্বহত্যার চেষ্টা

প্রকাশিত: ০১:০৩, ২ নভেম্বর ২০১৫

স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে গৃহবধুর আত্বহত্যার চেষ্টা

নিজস্ব সংবাদদাতা, জয়পুরহাট ॥ স্বামীর নির্যাতনে অতিষ্ট এক গৃহবধু গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে স্বামীর নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে চেয়েছিল। কিন্তু ফাঁস ছিরে পরে যাওয়ায় গরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতেই বগুড়ার শজিমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ঘটনাটি জয়পুরহাট পৌর এলাকার বিশ্বাসপাড়ায় রবিবার বিকেলে ঘটে। এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানা যায় সদর উপজেলার কেশবপুর গ্রামের হোসেন আলী কাজী (৩৫) পাঁচ বছর আগে ধামইরহাট উপজেলার সাপাহার গ্রামের আমিনা বেগম (২৫) নামে এক নারীকে ২য় বিয়ে করে। দ্বিতীয় বিয়ের কারনে পরিবার মেনে না নিলে বিশ্বাসপাড়ার আব্দুর রশিদের বাসায় ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। আগের স্ত্রীও নির্যাতনের কারনে নাসিম (৭) নামে একমাত্র সন্তানকে রেখে চলে যায়। পরে আমিনা বেগমের ঘরে জন্ম নেয় নুসরাত (৩)। নাসিম ও নুসরাতকে নিয়ে সংসার করলেও শ্বশুর বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিতো স্বামী হোসেন আলী। টাকা না পেলেই চরম নির্যাতন করতো স্ত্রীকে। নির্যাতনের ধারাবহিকতায় রবিবার সকাল থেকে নির্যাতন চরমে ওঠে। মা’কে নির্যাতনের সময় নাসিম ও নুসরাত কেঁদে কেদেঁ পিতা হোসেন আলীকে মিনতি করে বলে মা’কে আর মেরো না আব্বু, মরে যাবে ! তখন কাকে মা বলে ডাকবো’। কিন্তু এতেও পাষন্ড পিতার মন গলে না। প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলেও দরজা বন্ধ থাকায় কেউ সাহায্য করতে পারেনি। এ পর্যায়ে স্বামী হোসেন আলী বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বেলা আড়াই টায় ঘরের মধ্যে ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেয় আমিনা। কিন্তু ফাঁস ছিড়ে যাওয়ায় আমিনা মেঝেতে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। প্রতিবেশীরা দরজা ভেঙ্গে আমিনাকে গুরত্বর আহত অবস্থায় জেলা হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করে। হাসপাতালে আমিনার অবস্থার অবনতি হলে রবিবার রাতেই তাকে বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই পাষন্ড স্বামী হোসেন আলী ও তার মা পালিয়ে যায়।
×