ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পলাশবাড়িতে মামলায় অভিযুক্ত জামায়াত নেতাদের মাদ্রাসায় নিয়োগ

প্রকাশিত: ২৩:৫২, ২ নভেম্বর ২০১৫

পলাশবাড়িতে মামলায় অভিযুক্ত জামায়াত নেতাদের মাদ্রাসায় নিয়োগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা ॥ পলাশবাড়ি উপজেলার মাঠেরবাজার আবু বক্কর সিদ্দিক ফাজিল মাদ্রাসায় সম্প্রতি গোপনে পেট্রোল বোমা মেরে যাত্রীবাহি গাড়ি পোড়ানো, নাশকতাসহ একাধিক মামলার পলাতক আসামি জামায়াত নেতা সাইদুর রহমানকে প্রিন্সিপাল পদে এবং রাশেদুল হককে ভাইস প্রিন্সিপাল পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এব্যাপারে অবিলম্বে এই নিয়োগ বাতিল ও প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে পলাশবাড়ি উপজেলা ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। এব্যাপারে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক পলাশবাড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জরুরী ভিত্তিতে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত পূর্বক মতামতসহ প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য বলা হয়েছে। এই অভিযোগ পত্রে স্বাক্ষর করেন পলাশবাড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক এমপি তোফাজ্জল হোসেন সরকার, সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর প্রধান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মতিন সরকার, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ, উপজেলা জাসদ সভাপতি নুরুজ্জামান প্রধান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল সরকার। অভিযোগে উল্লে¬খ করা হয়, পলাশবাড়ি-সাদুল্যাপুর এলাকার সংসদ সদস্য ডা. ইউনুস আলী সরকার সম্প্রতি তার আপন ভাগ্নে শিমুলকে ডিও লেটারের মাধ্যমে পলাশবাড়ি উপজেলার মাঠেরবাজার আবু বকর সিদ্দিক ফাজিল মাদ্রাসার গভর্নিংবডির সভাপতি নিযুক্ত করেন। ওই মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল পদে নাশকতা মামলার পলাতক আসামি জামায়াত নেতা সাইদুর রহমানকে নিয়োগ করেন ওই গভর্ণিংবডির সভাপতি শিমুল। উল্লে¬খ্য, সাইদুর রহমান পলাশবাড়ি উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর, বর্তমান জামায়াতের রোকন এবং নাশকতা-সহিংসতাসহ বহু মামলার পলাতক আসামি এবং পুলিশ যাকে গ্রেফতারের জন্য হন্য হয়ে খুঁজছে। এছাড়াও ওই মাদ্রাসায় ভাইস প্রিন্সিপাল পদে জামায়াত নেতা নাশকতা সহিংসতা মামলার পলাতক আসামি রাশেদুল হক নিয়োগপ্রাপ্ত হন ও বাংলা প্রভাষক এবং কৃষি শিক্ষক পদেও দু’জনকে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
×