ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

গৃহায়ন তহবিলের অর্থ দ্রুত ছাড়ের দাবি

প্রকাশিত: ০০:০০, ১ নভেম্বর ২০১৫

গৃহায়ন তহবিলের অর্থ দ্রুত ছাড়ের দাবি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর আবাসন সমস্যা দূরীকরণে গৃহায়ন তহবিল থেকে এনজিওগুলোর মাধ্যমে বিতরণকৃত ঋণের পরিমান বৃদ্ধি ও দ্রুত ছাড় করার দাবি জানিয়েছেন এনজিওগুলোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা। রবিবার রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেনিং একাডেমীতে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর আবাসন সমস্যা দূরীকরণে গৃহায়ন তহবিল শীর্ষক ওয়ার্কশপে অংশগ্রহনকারী এনজিও’র প্রধানরা এ দাবি জানান। গৃহায়ন তহবিল স্টিয়ারিং কমিটির আয়োজনে আয়োজিত ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ও গৃহায়ন তহবিল স্টিয়ারিং কমিটির সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ। অনুষ্ঠানের শুরুতেই গৃহ নির্মাণ ঋণ বিতরণে এনজিওগুলোর সুবিধা, অসুবিধা ও পরামর্শ নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনা হয়। ওয়ার্কশপে দেশের বিভিন্নস্থানের একশটি এনজিওর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ৪০জন উপকারভোগী অংশ গ্রহন করেন। আবুল কালাম আজাদ বলেন, আপনাদের দাবিগুলো আমরা কিভাবে পূরণ করতে পারি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে নির্ধারণ করা হবে। অর্থ ছাড় করণ দ্রুত করতে আপনাদের আবেদন পাওয়ার দিন থেকে একটি নিদিষ্ট সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। গৃহায়ন ঋণের সঙ্গে সোলার প্যানেল ও বন্ধু চুলা স্থাপনের প্রস্তাবটি বিবেচনা করা হবে। আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঋণের পরিমান ১লাখ টাকা না করা গেলেও ৭০-৭৫ হাজার টাকা করা হবে। যাতে সঙ্গে একটি স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা স্থাপন করা যায়। এছাড়াও আগামী সভায় একজন এনজিও প্রতিনিধি রাখারও আশ্বাস দেন আজাদ। স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুর রহিম বলেন, ৯৭-৯৮ অর্থবছরে ৫০ কোটি টাকা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে গৃহায়ন তহবিল। বর্তমানে মূলধন প্রায় সাড়ে ৩শ কোটি টাকা। যাত্রা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৫১৪টি এনজিওর মাধ্যমে ৬৩২২০ টি গৃহ নির্মাণ করা হয়েছে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এনজিও নির্বাহীদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন অর্থমন্ত্রনালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ড. এম আসলাম আলম। তিনি বলেন, খেলাপী ঋণ কমাতে গ্রহিতা নির্বাচনে এনজিওগুলো আরও অভিজ্ঞ হতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ড. আতিউর রহমান বলেন, ঋণ খেলাপীর তকমা গরীব মানুষের জন্য চাইনা। এজন্য আপনাদের চেষ্টা করতে হবে। গরীব মানুষ ১০০% ঋণ ফেরত দেয়, ধনীরা দেয় না। আমরা সেই পার্থক্য সৃষ্টি করতে চাই। গর্ভনর বলেন, অনাদায়ী ঋণের ঘাটতি মেটাতে এনজিও, ব্যাংক ও গৃহায়ন তহবিলের সমন্ধয়ে একটি ফান্ড গঠন করতে হবে। গৃহায়ন তহবিলকে একটি আদর্শ রুপ দিতে যা যা করার সব করা হবে।
×