ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রিটেনের ৫শ’ প্রফেসরের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ

ইসরাইলকে বয়কটের আহ্বানে সামিল অক্সফোর্ড শিক্ষাবিদরা

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ১ নভেম্বর ২০১৫

ইসরাইলকে বয়কটের আহ্বানে  সামিল অক্সফোর্ড শিক্ষাবিদরা

প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ইসরাইলকে বয়কট করার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষাবিদদের উদ্দেশে সম্প্রতি ব্রিটেনের ৫শ’ প্রফেসর একটি খোলা চিঠি লিখেছিলেন। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ১১ জন শিক্ষাবিদ এখন ওই চিঠির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। ফিলিস্তিনী ভূখ- দখল করে রাখা ও ফিলিস্তিনী জনগণের ন্যায় সঙ্গত অধিকারের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনের প্রতিবাদে ইসরাইলকে শিক্ষাগতভাবে বয়কটের আহ্বান জানিয়েছিলেন। খবর বিবিসি ও টাইম অনলাইনের। গত সপ্তাহে ব্রিটেনের গার্ডিয়ান পত্রিকায় ৫শ’ প্রফেসর ‘ফিলিস্তিনীদের অধিকারের প্রতি ব্রিটিশ শিক্ষাবিদদের প্রতিশ্রুতি’ শীর্ষক একটি খোলা চিঠি লেখেন। প্রাথমিকভাবে এই চিঠিতে ৩৪৩ জন এই চিঠিতে সই বিশ্বাস করার একদিন পর প্রায় ১৬০ জন এতে তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করেন। যুক্তরাজ্য ও ইসরাইল উভয় দেশের সরকারই শিক্ষাবিদদের এ ধরনের কর্মকা-ের সমালোচনা করেছে। চিঠিতে তারা পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করেন, ফিলিস্তিনী ভূখ- ইসরাইল যেভাবে অবৈধভাবে দখল করে রেখে ফিলিস্তিনীদের মানবাধিকার যেভাবে লঙ্ঘন করে চলেছে তাতে তারা উদ্বিগ্ন। চিঠিতে আরও বলা হয় যারা এখানে নাম সই করেছেন, তারা ইসরাইলের শিক্ষাবিদদের সঙ্গে ব্যক্তিগত পর্যায়ে কাজ করতে পারবেন কিন্তু ইসরাইলের কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণ গ্রহণ বা তাদের উদ্যোগে আয়োজিত কোন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন না। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির যে ১১ জন শিক্ষাবিদ এখন ওই চিঠির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন তারা হলেন, প্রফেসর কারমা নাবুলসি, ড. ওয়াল্টার আর্মব্রাস্ট, প্রফেসর ক্লিভ হোলস, প্রফেসর তারিক রামাদান, ড. পিটার কিং, প্রফেসর ক্লিম ম্যাকফারসন, ড. স্টেফাইন ক্রোনিন, বার্নার্ড সাফরিন, ড. রোজালিন্ড টেম্পল, ড. জেমস ম্যাকডগলাল এবং প্রফেসর লরেন্স ড্রেফুস। স্টাডি অব দি কন্টেম্পোরারি আরব ওয়ার্ল্ডের প্রফেসর এমিরেটাস ক্লিভ হোলস বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইসরাইল শিক্ষানুরাগী ও এই খাতে আর্থিক সহায়তা প্রদানকারী হিসেবে নিজেকে জাহির করার চেষ্টা করলেও দেশটি বছরের পর বছর ধরে ফিলিস্তিনীদের শিক্ষাসহ সব ধরনের মৌলিক অধিকার হরণ করে চলেছে। যেমন স্বাধীনভাবে চলাফেরার অধিকার, এই কারণে ফিলিস্তিনীরা কোন আন্তর্জাতিক শিক্ষামূলক কর্মসূচীতে অংশ নিতে পারে না।’ ইসরাইলের কোন শিক্ষাবিদকে ব্যক্তিগতভাবে এই বয়কটের আওতায় আনা হয়নি। ইসরাইলী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এই বয়কটের লক্ষ্য বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। ট্রিনিটি কলেজের আধুনিক ইতিহাসের অধ্যাপক ড. জেমস ম্যাকডগলাল বলেন, ‘বয়কটের কার্যকারিতা নিয়ে আমি অনেকদিন ধরেই সন্দিহান ছিলাম, এর ফলে ইসরাইলের উগ্রপন্থীদের এই ধারণাকে শক্তিশালী করবে যে বহির্বিশ্ব তাদের গণনার মধ্যে নিতে ইচ্ছুক নয়। তবে গত বছর দেশটি গাজা যে মাত্রায় হামলা চালিয়েছে এবং ইসরাইলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি যেভাবে চরমপন্থার দিকে ঝুঁকছে তাতে একাডেমিক হিসেবে শান্তিপূর্ণ উপায়ে প্রতিবাদ জানানো প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি।’ এদিকে খ্যাতিমান ব্রিটিশ লেখিকা জে কে রাউলিং আরও ক’জন লেখক ও শিক্ষাবিদ বয়কটের বিরোধিতা করে বলেছেন, আলোচনাই ইসরাইল ও ফিলিস্তিনীদের মধ্যে শান্তি স্থাপনের একমাত্র উপায়।
×