ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

এসডিজি’র বিষয়বস্তু মাধ্যমিক শিক্ষায় অন্তর্ভুক্তির পরামর্শ আবেদের

প্রকাশিত: ২৩:০৭, ৩১ অক্টোবর ২০১৫

এসডিজি’র বিষয়বস্তু মাধ্যমিক শিক্ষায় অন্তর্ভুক্তির পরামর্শ আবেদের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতিসংঘ গৃহীত ২০১৬-২০৩০ সাল মেয়াদী টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) ১৭টি লক্ষ্য মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা কারিকুলামে অর্ন্তভূক্তির পরামর্শ দিয়েছেন ব্র্যাকের চেয়ারপার্সন স্যার ফজলে হাসান আবেদ। তিনি বলেন, এসডিজিকে কেবল জাতিসংঘ বা বিভিন্ন দেশের সরকারের উন্নয়ন এজেন্ডা ভাবলে ভুল হবে। এসডিজির লক্ষ্যগুলো মূলত ‘সিটিজেন এজেন্ডা’। বাংলাদেশের মতো দেশের প্রত্যেক নাগরিকই দারিদ্র, ক্ষুধা, রোগব্যাধি, অশিক্ষা, জেন্ডার বৈষম্য প্রভৃতি থেকে মুক্তি চায়। কিন্তু এগুলো থেকে মুক্তির উপায় কী হবে তা তাদের জানা নেই। মাধ্যমিকের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হলে এসডিজির ১৭টি লক্ষ্য ও বিষয়বস্তু সম্পর্কে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবার জানতে পারবে। এতে সচেতনতা বাড়বে ও এসডিজি বাস্তবায়নে সহায়ক হবে। শনিবার সকালে রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক ইন সেন্টারের অডিটোরিয়ামে এসডিজি বিষয়ক এক সংলাপ অনুষ্ঠানে তিনি এ পরামর্শ দেন। ‘ন্যাশনাল লেভেল ইমপ্লিমেন্টেশন চ্যালেঞ্জ অব ২০৩০ এজেন্ডা’ শীর্ষক এক সংলাপের আয়োজন করে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)। অনুষ্ঠানে সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বৈদেশিক সহায়তা নয়, দেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ দিয়েই জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়ন করতে হবে। তাই সরকারকে অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণের দিকে বেশি মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নে প্রতি বছর ৩৩০-৪৫০ হাজার কোটি ডলার প্রয়োজন। এসডিজি বাস্তবায়নে অর্থায়নের কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি উন্নত দেশগুলো। এছাড়া এমডিজি বাস্তবায়নে তেমন বৈদেশিক সহায়তা পাওয়া যায়নি। তাই এসডিজি বাস্তবায়নে করতে হবে অভ্যন্তরীণ সম্পদ দিয়ে। এজন্য অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণের দিকে বেশি মনোযোগী হতে হবে সরকারকে। স্যার ফজলে হাসান আবেদের সভাপতিত্বে সংলাপে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ.হ.ম. মুস্তফা কামাল, সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইদুর রহমান, ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন চৌধুরী ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড.এ.বি.এম. মির্জা মো. আজিজুল ইসলাম প্রমুখ।
×