ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বই পড়ুন

প্রকাশিত: ০৫:১৫, ৩১ অক্টোবর ২০১৫

বই পড়ুন

প্রমথ চৌধুরী একবার এক সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘বই পড়াটাকে আমি শখ মনে করি না, এটা একটা প্রয়োজন’ কথাটা আসলেই সত্যি। ১৬ কোটি মানুষের এই দেশে যখন জীবন ধারণ করাই সবচেয়ে দুশ্চিন্তার বিষয়, সেখানে শখ আহ্লাদের বিষয়টাকে অনেকেই রসিকতা মনে করবেন। কারও কাছে তা নির্মমও ঠেকবে। কিন্তু বই পড়া যে প্রয়োজন তা কে না জানে! যদি নাইবা জানত, তাহলে বাসায় ফিজিক্স আর কেমিস্ট্রির এত বই থাকত কি করে! কিন্তু আমি পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে কিছু সাহিত্য, সায়েন্স ফিকশন, কবিতার কিংবা গল্পের বই আছে সেসব বইয়ের কথা বলছি। আর তা বলার যথেষ্ট কারণও রয়েছে। যে কিনা বীজগণিতের ফাংশনগুলো অনর্গল বলে দিতে পারে, তাকে সেই রাখাল বালক ‘রূপাই’ এর কথা জিজ্ঞেস করলে কি উত্তর পাওয়া যাবে তা নিশ্চিত হয়ে বলতে পারি না। আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্ব ও যার অজানা নয়, সে দুখু মিয়ার কয়খানা কবিতা পড়েছে, তা শুধু সে ই জানে! নিউটনের ‘ফিলোসফিয়া ন্যাচারালিস প্রিন্সিপিয়া ম্যাথমাটিকা’ গ্রন্থ থেকে শরৎচন্দ্রের ‘দত্তা’ যে অনেক সাবলীল তাতে আমার সন্দেহ নেই। কিন্তু শরৎচন্দ্রের গ্রন্থগুলো নাকি সাধু ভাষায় লেখা, পড়তে নাকি সমস্যা হয়!! এইরকম হাজারো অজুহাতে আজ তরুণ সমাজ সাহিত্য থেকে দূরে সরে গিয়েছে। আর যে মানুষগুলো এখনও সাহিত্যের দুয়ারে পায়চারী করছে, তারা যে শুধুই সময় কাটানোর দায়ে কিংবা অবসর যাপনের জন্য তা অনেকটা সহজেই বলা যায়। যদি সিলেবাস অন্তর্গত পাঠ্যবই একমাত্র জ্ঞানের ভাণ্ডার হতো, তাহলে রবিঠাকুর কতটকু জ্ঞানী বলে সমাদৃত হতো তা নির্ভয়ে বলা চলে না। সাহিত্যের প্রসারতা যে আজ দরকার তা কিন্তু নয়। আসলে এর প্রসারতা ব্যতীত অন্য কোন অনুকূল উপায় আজ আমাদের নেই। যাই হোক, গ্রামে গ্রামে, পাড়া মহল্লায় পাঠাগার গড়াই যে এর একমাত্র সমাধান, তা নিছক ভুল ধারণা। যতদিন না পর্যন্ত দেশের আপামর জনসাধারণকে সাহিত্যে মনোনিবেশের প্রয়োজন চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়া হবে না, ততদিন পর্যন্ত বইয়ের পাতাগুলোকে জীর্ণ হওয়ার জন্য রেখে দিতে হবে, রেখে দিতে হবে উন্নত চিন্তা ধারণার অমূল্য সম্পদগুলোকে ধুলার আশ্রয়দাতা হিসেবে। প্রিয়াংকা রায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট পেঁয়াজে চোখ জ্বলে কেন? রান্নার ক্ষেত্রে মসলা হিসেবে পেঁয়াজের রয়েছে বিশেষ উপযোগিতা। রান্না করার সময় বিশ্বের প্রায় সকল দেশের মানুষই পেঁয়াজ ব্যবহার করে থাকে। মুখরোচক রসনা পণ্য ছাড়াও পেঁয়াজের রয়েছে বিভিন্ন ঔষধি গুণও। সবার কাছে সমাদৃত এই পণ্যটির একটি বিশেষ অসুবিধা রয়েছে। পেঁয়াজ কাটার সময় চোখ জ্বালাপোড়া করে ও চোখে পানি আসে। পেঁয়াজ কাটলে কেন এমন হয়? মূলত পেঁয়াজ কাটার সময় এক বিশেষ ধরনের এ্যাসিডের কারণে এমনটি হয়। পেঁয়াজের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ এ্যামিনো এ্যাসিড। এই এ্যাসিডে সাধারণত চোখ জ্বালা করার কথা নয়। তবে পেঁয়াজ কাটার সময় এই এ্যামিনো এ্যাসিডের সালফোক্সাইড উপাদানটি বিক্রিয়া করে সালফোনিক এ্যাসিডে পরিবর্তিত হয়। যেটি চোখে জ্বালাপোড়ার কাজে সহায়ক। পেঁয়াজের মধ্যে আরও এক ধরনের পদার্থ থাকে যা এই সালফোনিক এ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে প্রোপেন থায়োল এস অক্সাইড তৈরি করে। এই এ্যাসিডটি আবার দ্রুত উড়ে গিয়ে চোখের পানির সঙ্গে মিশে সালফিউরিক এ্যাসিড তৈরি করে। এই সালফিউরিক এ্যাসিডই চোখ জ্বালাপোড়া করা এবং চোখে পানি আনার মতো কাজ করে থাকে। চোখে যখন পেঁয়াজ কাটার সময় সালফিউরিক এ্যাসিড এসে পড়ে তখন সেটি ধুয়ে ফেলার জন্যই অতিরিক্ত পানি নিঃসৃত হয় চোখে। এর মাধ্যমে চোখ হয়ে পড়ে অশ্রুম-িত। আবুল বাশার মিরাজ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ বিশুদ্ধতা কমছে হোমিও ওষুধে সেবার ব্রত নিয়ে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার পেশায় আসেন চিকিৎসকরা। কিন্তু পুঁথিগত বিদ্যার্জনের পর সেই জ্ঞান রোগীর শরীরে প্রয়োগকালে যদি যথোপযুক্ত ওষুধের অভাব পরিলতি হয়, তবে সমস্ত অর্জন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। যে চিকিৎসা পদ্ধতি থেকে আধুনিককালের চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রসার, সেই হোমিও চিকিৎসা আজ শুধুমাত্র মানহীন ওষুধের কারণে মানুষের আস্থা হারাতে বসেছে। বাংলাদেশের সঙ্গে পার্শ¦বর্তী দেশ ভারতের চিকিৎসা ব্যবস্থায় রয়েছে বিশেষ পার্থক্য। একাডেমিক ক্ষেত্রেও এই পার্থক্য বিরাজমান। চিকিৎসা পেশার পাশাপাশি হোমিও ওষুধ ব্যবসা মহান পেশা হলেও একশ্রেণীর অর্থলোভী মানুষের কারণে এর দায় নিতে হচ্ছে চিকিৎসক সমাজকেও। সম্প্রতি চট্টগ্রামের দু’জন হোমিও চিকিৎসককে ভেজাল ওষুধ তৈরির দায়ে গ্রেফতার করে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে চিনি-আটার সঙ্গে কেমিক্যাল মিশিয়ে গর্ভবতী মায়েদের জন্য ওষুধ তৈরি করে আসছেন তারা। তবে ল্যাব টেস্টে তা প্রমাণিত হয়েছে কিনা সেটা পরবর্তীতে আর নিশ্চিত করা হয়নি, এমনকি এই দুই চিকিৎসক কোন ষড়যন্ত্র বা কারও ইন্ধনে এমন পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলেন কিনা-তাও আর জানা যায়নি। তাদের ছয় মাসের জেল দেয়া হয়েছিল। এর পরের ঘটনা ছিল বেদনাদায়ক। পরিবারের উপার্জক্ষম দুই চিকিৎসকের হঠাৎ সৃষ্ট এমন পরিণতিতে নেমে এসেছে দুর্ভোগ। এ থেকে সকল ওষুধ ব্যবসায়ীদের বিশেষ শিক্ষা নেয়ার যেমন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তেমনি দাবি উঠেছে-হোমিও ওষুধের বিশুদ্ধতা ফিরিয়ে আনতে নিয়মিত করা হোক এ ধরনের অভিযান। ডাঃ শোভন দাশ ঢাকা সাইবার ক্রাইম আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ইন্টারনেটের গুরুত্ব কতখানি তা আর নতুন করে না বললেও চলে। বর্তমানে প্রায় সব ধরনের কাজকর্মেই ইন্টারনেটের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। আবার ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে সংঘটিত হচ্ছে বড় বড় অপরাধ। ইন্টারনেট বর্তমানে সন্ত্রাসীদের ভয়ঙ্কর হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। কারণ ইন্টারনেটের জন্মই হয়েছিল সন্ত্রাসবাদী চিন্তা ধারা থেকে। তাই ইন্টারনেট এখন সন্ত্রাসের নিরাপদ অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। আর ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেসব অপরাধ সংঘটিত হয় তাকে সাইবার ক্রাইম বা প্রযুক্তি সংক্রান্ত অপরাধ বলা হয়। আর যারা সাইবার ক্রাইম করে তাদের বলা হয় প্রযুক্তি সন্ত্রাসী। বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি অন্যতম জনপ্রিয় সাইট হচ্ছে ফেসবুক। আর এই ফেসবুকে ভুয়া আইডি বা পেজ খুলে কোন ব্যক্তিবিশেষ বা গোষ্ঠীকে হয়রানি করা হচ্ছে অহরহ। শুধু বিনা অনুমতিতে এ রকম একটি পেজ খোলা নয়; সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে মোকাবেলা, ই-মেইল ও ব্যাংক এ্যাকাউন্ট হ্যাক করা, ব্যক্তিগত আক্রমণ, আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও শেয়ার করাসহ বিভিন্ন ধরনের সাইবার অপরাধের শিকার হচ্ছেন অনেকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত এক তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, অনলাইন কার্যক্রমের ‘নিরাপত্তা দুর্বলতার সুযোগ’ নিয়ে স্বনামধন্য একটি ব্যাংকের বেশ কয়েকজন গ্রাহকের হিসাব ‘হ্যাক’ করে অর্থ সরিয়ে নেয়ার ঘটনা। কোন ব্যক্তি যদি সাইবার ক্রাইমের সঙ্গে যুক্ত থাকে তার জন্য রয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে শাস্তির ব্যবস্থা। অথচ এর প্রয়োগ খুবই সীমিত। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। আবু করিম ঢাকা
×