ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

এ সময় শিশুর সঙ্গী

প্রকাশিত: ০৬:০৯, ৩০ অক্টোবর ২০১৫

এ সময় শিশুর সঙ্গী

সকালের কুয়াশার জালে আবদ্ধ সূর্যের বিকিরণ যেন শিল্পীর তুলিতে আঁকা ছবি। ঘাসের কণায় শিশির বিন্দু বার বারই যেন কবি গুরুর কবিতাটিকে মনে করিয়ে দেয়। শীতের সকালের এ দৃশ্য সত্যি আন্দোলিত করে তোলে মনকে। ঠিক তেমনি হেমন্তে মনকাড়া বাতাস সকালের আবহটাই বদলে দেয়। আড়মোড়া দিয়ে বিছানাটা যেন ছাড়তে মন চায় না। না ছেড়েও উপায় নেই। দৈনন্দিন কাজ তো আর ফেলে রাখা যাবে না। প্রয়োজনের তাগিদে ছুটতে তো হবেই। সকাল হলেই শুরু হয়ে যায় স্কুল, কলেজ, অফিসে যাওয়ার ধুম। বড়দের তুলনায় ছোটদের বেশ ভোরেই স্কুলে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হতে হয়। অভিভাবকদেরও সচেষ্ট থাকতে হয় এই সময়ে ছোট্ট সোনামণির যেন কষ্ট না হয়। রাখতে হয় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি। কারণ সকালে ঠা-া আবহাওয়া থাকলেও দিন গড়াতেই গরম লাগতে শুরু করে। আবার সন্ধ্যা নামতেই আবার শীতল বাতাস। শুধু সকালের সেশনের জন্যই নয়, পুরো হেমন্তকাল কিভাবে পারি দেবে তার প্রস্তুতি নিতে হয়। যে কারণে বাচ্চাদের প্রতি একটু বেশিই সচেতন হতে হয়। খেয়াল রাখতে হয় আবহাওয়া উপযোগী পোশাকের প্রতি। স্কুলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে ফুলহাতা শার্ট বা পোশাক পরাটাই শ্রেয়। সোয়েটার কিংবা অন্যান্য পোশাক যেমন জ্যাকেট এ সময়ে মানানসই নয়। বাদ সাধে অন্যান্য সময়গুলোতে। কারণ বাচ্চারা স্কুল ইউনিফর্ম অন্য সময় পরতে চায় না। যে কারণে বেড়াতে যাওয়া কিংবা কোন পার্টিতে শিশুদের সঙ্গে নিয়ে যেতে হলে অনেক সময় ভাবনায় পড়ে যান। বেড়াতে যেতে এ সময়ে শিশুদের কেমন পোশাক পরানো উচিত। তবে সুখবর হচ্ছে ফ্যাশন ট্রেন্ডের চলতি হাওয়া এ সমস্যার সমাধান নিয়ে এসেছে। একটা সময় ছিল যখন শিশুদের পোশাকে তেমন একটা ভ্যারিয়েশন ছিল না। আশার কথা হচ্ছে আবহাওয়া এবং উৎসবভিত্তিক প্রচুর পোশাক পাওয়া যাচ্ছে শিশুদের। বিভিন্ন সাইজ এবং প্যাটার্নের এ পোশাকগুলো সহজেই ক্রেতাদের আকর্ষণ করবে। এ প্রসঙ্গে তরুণ ডিজাইনার ইফতেখার জানান, বর্তমানে শিশুদের পোশাক নিয়ে বেশ কাজ হচ্ছে। রীতিমতো গবেষণা চালানো হচ্ছে পোশাকগুলো নিয়ে। যার ফলশ্রুতিতে অভিভাবকদের বাড়তি টেনশন দূর হয়েছে। ঢাকাতেই বেশ কিছু শোরুম রয়েছে যেগুলোতে বাচ্চাদের পোশাকের কমপ্লিট সলিউশন রয়েছে। এর মধ্যে নিউবর্ন বেবিদের জন্য চাঁদের হাসি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এছাড়া অন্যান্য বাচ্চাদের পোশাকের আবদার দীর্ঘদিন ধরে মিটিয়ে আসছে আড়ং। আড়ংয়ে শুধু পোশাকই নয় বাচ্চাদের অন্যান্য উপসঙ্গ যেমন ক্যাপ, মাফলার, টুপি, খেলনা ইত্যাদি পাওয়া যাবে। যার ফলে নিজের পছন্দমতো ঘুরে ঘুরে কিনতে পারবেন পছন্দনীয় পোশাক। গাজী ভবন এবং সিটি হার্ট সুপার মার্কেটে বাচ্চাদের হুডি শার্ট এবং গেঞ্জি দ্যুতি ছড়াচ্ছে আপন মহিমায়। এসব মার্কেটের বেশিরভাগ শোরুম সজ্জিত বাচ্চাদের পোশাক দিয়ে। এছাড়া মিরপুরের বেবি শপ ইতোমধ্যে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। দামও হাতের নাগালে। নিউ বর্ন বেবিদের সেট পাওয়া যাবে ৫৫০ থেকে ১২৫০ টাকা। হুডি শার্ট ৩০০ থেকে ৮৫০ টাকা। গেঞ্জি ৪০০ থেকে ৯০০ টাকা। তবে বাচ্চাদের পোশাকের সবচেয়ে লক্ষণীয় বিষয়টি হচ্ছে কাপড়। বাচ্চাদের স্কিন খুব সেনসেটিভ। যার ফলে যেনতেন কাপড় পরলে গায়ে চুলকানি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ কারণে কাপড় ভাল করে দেখে কেনা উচিত। পরিষ্কারের ক্ষেত্রেও সাবধানতা আবলম্বন করা উচিত। এন্টিসেপটিক পানির সঙ্গে মিশিয়ে কাপড় ধোয়া উচিত। এই হেমন্তে পোশাকের খোঁজে এখন আর বেশিদূর যেতে হবে না। হাত বাড়ালেই পাওয়া যাবে পছন্দনীয় বাচ্চাদের আবহাওয়া উপযোগী পোশাক। শেখ মিলন মডেল : অহনা
×