ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

স্বর্ণ নদী!

প্রকাশিত: ০৫:১৯, ৩০ অক্টোবর ২০১৫

স্বর্ণ নদী!

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ একটি দেশের সকল নদীতে যদি রাশি রাশি স্বর্ণের কণা পাওয়া যায় তাহলে খবরটি ওই দেশের জন্য খুবই আশাব্যঞ্জক নয় কি? হ্যাঁ এবার বুলগেরিয়ার অন্তত ২শ’ নদী থেকে নুড়িপাথর এবং কাঁকর তুলে ছেঁকে নিলেই তাতে মিলছে স্বর্ণের কণা। আর এই স্বর্ণের কণাগুলো সংগ্রহে নদী তীরে ভিড় করছে ইউরোপের অন্যতম দরিদ্র এই দেশটির শ’য়ে শ’য়ে নারী-পুরুষ। মধ্য বুলগেরিয়ার নদী তুন্দজা। এই নদীর তীরে রঙিন বাসন নিয়ে হাঁটু পানিতে দাঁড়িয়ে নুড়িপাথর এবং কাঁকর সংগ্রহ করছে অনেকে। আর এসব ভালমতো ধুলেই বেরিয়ে আসছে স্বর্ণের কণা। আর তা বাজারে নিলেই মিলছে টাকা। দীর্ঘদিন থেকে এভাবে স্বর্ণ সংগ্রহ করা হলেও বিষয়টি সম্প্রতি সবার নজরে এসেছে। এসব স্বর্ণ সংগ্রহে স্থানীয়রা মিলে একটি সংগঠন গড়ে তুলেছে। সংগঠনটির প্রধান কিরিল স্টামেনভ বলেন, নদীতে স্বর্ণ সংগ্রহের বিষয়টি এখন সবাইকে আকৃষ্ট করছে। অনেকেই এসব স্বর্ণ সংগ্রহের জন্য দূরদূরান্ত থেকে আসছে। বিশেষ করে গত আগস্টে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর বিষয়টি সবার নজরে আসে। তিনি বলেন, তুন্দজা নদী থেকে সপ্তাহে অন্তত ৮ গ্রাম স্বর্ণ পাওয়া যায়। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, এই পরিমাণ ২০ গ্রামে উন্নীত হলে আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি সুখী দেশ রেখে যেতে পারব। এ কাজে স্বল্প শিক্ষিতদের পাশাপাশি এখন অনেক শিক্ষিত লোকও আসছে। এদেরই একজন নিকোলাই কোস্তাদিনভ। সম্প্রতি স্নাতক শেষ করেছেন। ৩১ বছর বয়সী এই বুলগেরীয় বলেন, গত দুই বছর আমি এই কাজ করছি। আমি এখন দিনের পুরোটা সময় এই স্বর্ণ সংগ্রহ করতে চাই। আমি এটাকে পেশা হিসেবে নিতে চাই। অবশ্য নদীতে এভাবে স্বর্ণ কণা পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে অনেকেই অনেক কথা বলছেন। অনেকেই বলছেন, এই স্বর্ণের কণাগুলো থ্রেসানদের তৈরি করা আলংকারের টুকরো। দুই হাজার বছর আগে বুলগেরিয়া ছিল থ্র্রেসান সভ্যতার অংশ। আর থ্রেসানযুগে এই অঞ্চলে ব্যাপকহারে স্বর্ণালঙ্কার এবং শৌখিন দ্রব্য ব্যবহার করা হতো। তখন নদীতে ওই যুগের অনেক স্বর্ণ মিশে গিয়েছিল। কিন্তু কিরিল স্টামেনভ এই দাবি মানতে নারাজ। তিনি বলেন, এখানে সবসময়ই স্বর্ণ ছিল। এই অঞ্চল থ্রেসান সভ্যতার অংশ হওয়ার জন্যই স্বর্ণ মিলছে বিষয়টি এমন নয়। বুলগেরিয়ার সকল শ্রেণীর মানুষকেই এই স্বর্ণের চাকচিক্য আকৃষ্ট করছে...হুরিয়াত ডেইলি নিউজ অবলম্বনে নাজিম মাহমুদ
×