ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ফাইনাল আজ

প্রধানমন্ত্রী সমাপনী ঘোষণা করবেন

প্রকাশিত: ০৫:০৬, ৩০ অক্টোবর ২০১৫

প্রধানমন্ত্রী সমাপনী ঘোষণা করবেন

রুমেল খান, চট্টগ্রাম থেকে ॥ বাংলাদেশে এর আগে যা হয়নি, তাই হয়েছে এবার। কোন আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন। সেটা করেছে চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেড। সহায়তা করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। গত ২০ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া আসরটি শেষ হচ্ছে আজ। সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে অনুষ্ঠিত ফাইনালে শিরোপা জয়ের জন্য মুখোমুখি হবে স্বাগতিক চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেড বনাম ভারতের কিংফিশার ইস্ট বেঙ্গল ফুটবল ক্লাব। বলা যায়, অতি অল্প সময়েই আয়োজকরা অনেক তাড়াহুড়ো করেই টুর্নামেন্টটি আয়োজন করেছে। প্রথমবার বলেই হয়ত অনেক কিছুতেই ভুলত্রুটি বেশি ছিল। যেটা পরের বার থেকে আর হবে না বলেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা। এ টুর্নামেন্টের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক ছিল, স্টেডিয়ামে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে দর্শক সমাগম। শুরুর দিকে কিছুটা কম হলেও শেষের দিকে বেড়েছে। আয়োজকরা অবশ্য দর্শক কম হওয়ার প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন দুর্গাপূজাকে। ৩০ হাজার ধারণক্ষমতার এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে যে কদিন খেলা হয়েছে, তাতে সর্বোচ্চ ২০ হাজার দর্শক এসেছে বলে আয়োজক সূত্রে জানা গেছে। আজকের ফাইনাল ম্যাচ উপভোগের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। কিন্তু ব্যস্ততার জন্য তিনি আসতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তবে না আসতে পারলেও তিনি ঠিকই গ্যালারিতে হাজির থাকবেন! সেটা কিভাবে? ডিজিটাল পদ্ধতিতে, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে। গ্যালারিতে মোট ছয়টি স্ক্রীন স্থাপন করা হবে। সেখানে তিনি স্ক্রীনে টুর্নামেন্টের সমাপ্তি ঘোষণা করবেন। তবে বিজয়ী দলের হাতে প্রধান অতিথি হিসেবে কে ট্রফি তুলে দেবেন, সেটা এখনও জানাতে পারেননি আয়োজকরা। একটি সূত্রে জানা গেছে, শেখ হাসিনা তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানার ছেলে ববিকে পাঠাতে পারেন। এছাড়া ফাইনালে উপস্থিত থাকবেন বাফুফে ও সাফের সভাপতি কাজী মোঃ সালাউদ্দিন। উপস্থিত থাকতে পারেন যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়ও। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেডের মহাসচিব এবং বাফুফের সদস্য শামসুল হক চৌধুরী এমপি, চট্টগ্রাম আবাহনীর চিফ কো-অর্ডিনেটর এবং ক্লাবটির চেয়ারম্যান তরফদার রুহুল আমিন এবং টুর্নামেন্টের আয়োজক কমিটির সম্বন্বয়ক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম। টুর্নামেন্টের ট্রফি এখনও প্রদর্শন করা হয়নি। সেটি দেখতে কেমন বা কিভাবে তৈরি হয়েছেÑ কিছু বলতে নারাজ আয়োজকরা। তাদের বক্তব্য, ‘বিশেষভাবে ট্রফিটি নির্মিত হয়েছে। এটা না হয় আপনাদের জন্য ফাইনালে সারপ্রাইজ হয়েই থাক!’ টুর্নামেন্টে কোন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়নি। তবে সেটা এবার সমাপনী দিনে হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। ফুটবলসংক্রান্ত একটি গানের সঙ্গে কোরিওগ্রাফি, শেখ কামালকে নিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য এবং বর্ণিল আতশবাজির আয়োজন করা হবে। ফাইনাল ম্যাচটি যেন দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণীর মানুষরা স্টেডিয়ামে এসে দেখতে পারেন, সেজন্য তাদের জন্য গ্যালারির একটি অংশ বরাদ্দ থাকবে। সেখানে তারা নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কম দামে টিকেট কিনে খেলা দেখতে পারবেন। এমনিতেই ফাইনালের টিকেটের দাম হচ্ছে গ্যালারি ১৫০ এবং ভিআইপি ৩০০ টাকা। এখানকার স্থানীয় মানুষদের মাঝে ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে দারুণ উত্তেজনা লক্ষ্য করা গেছে। কেননা, তাদের স্বাগতিক দলই তো ফাইনালে! ফুটবলপ্রেমীরা আগে থেকেই টিকেট কেনার চেষ্টা করছেন। টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর থাকা-খাওয়া, আসা-যাওয়ার খরচ দিয়েছেন আয়োজকরা। টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২৫ হাজার ডলার। রানার্সআপ দল পাবে ১০ হাজার ডলার। অংশগ্রহণ ফি হিসেবে দেশী দল তিনটি পাবে পাঁচ লাখ টাকা করে। প্রতিটি ম্যাচে জয়ী দল পাবে এক হাজার ডলার। ম্যাচসেরা খেলোয়াড়েরও পুরস্কার থাকছে ৫০০ ডলার করে। স্টেডিয়ামে আগত দর্শকদের জন্য থাকছে মোটরসাইকেল পুরস্কার। এছাড়া ফাইনালে জিতলে চট্টগ্রাম আবাহনীকে দেয়া হবে বোনাস ৫ লাখ টাকা।
×